হুটুট টুউউউ
হুটুট টুউউউ
ওরে ঘুম ভাঙানিয়া, তুই কি সেই মন ভোলানো পাখি!
এ কোন নতুন সুরে আমায় করছিস ডাকা ডাকি?
হুটুট টুউউউ, হুটুট টুউউউ, হুটুট টুউউউ______
কুয়াশার ভোরে কি করে বুঝি যে তুই সেই বেনেবৌ!
অনেকদিন তোর সাথে যে হয়নি দেখা, হয়নি কথা,
ঘুম ভেঙে বাইরে আসতেই ডেকে উঠলি ইষ্টি-কুটুম!
আরে বাবা, হ্যাঁ, তুইই সেই অতিথি-বন্ধু-কুটুম, হুঁউম।
আগে তোর সাথে কত কথাই তো বলেছি,
আরো অনেক কথাই তো রয়েছে বলা বাকি।
রোজ রোজ আরো নতুন কত কথাই তো জমে যায়,
কি করে আর বল্ নিজেকে আমি দিই ফাঁকি।
হয়তো মনে মনেও আমি সদাই, বকবক করে যাই,
জানি তুই সবটা শুনতে পাস না যে কিছুতেই,
তাই তো আমি থাকি আশাতে আর বেশ নিশ্চিন্তেই।
সব কথা তোর কানে গেলেই অথবা পুরোটাই,
মানে সহ বোধগম্য হলেই, আর রক্ষা নেই রে নেই,
আই এ্যাম সিওর, তুই পাগোল হবি আমার মতোই।
না লিখে থাকতে পারবিনা তুই যে কিছুতেই!
আমার মাথার গোবর, এবার হয়ে গেছে পচে সার,
চাষ করবো ভাবছি, গোলাপ, গাঁদা অথবা জবার।
মন বাগানের মালি হবো, গাছেদের ভালোবাসবো,
অসময়ে ফুল ফোঁটাবো, একটু সুগন্ধ নাহয় পাঠাবো।
পোকায় ফুল, পাতা কাটতে এলে বেশ পাহারা দেবো,
প্রজাপতি আর মৌমাছিদের বন্ধু বলেই ভাববো।
ভোর বেলাতেও, সাঁজি হাতে কেউ ফুল তুলতে এলে,
তাকে নাহয় দুটো স্হলপদ্ম দেবোই হাতে তুলে।
জানি তো সব ফুল যাচ্ছে দেবতাদেরই পদতলে।
আসলে তো তা যায় একই ভগবানেরই বেদীমূলে।
প্রসাদ নিয়ে তো জানি মানুষেরা কাড়াকাড়ি করেই,
জুটবেনা হয়তো আমাদের কারো ভোগ বা হরির লুট,
তাতে কি! নিক নাহয় সে সব কিছু অন্যেরা নিয়েই!
দেবতার পায়ের ঐ নির্মাল্যটুকু যেন থাকে তোরই।
আমার ঘামের ও শ্রমের পূজো এভাবেই পৌঁছে যায়,
মানুষের অন্তরেতে, ঈশ্বরের বন্ধ দুয়ার যে খুলে যায়।