অপ্রেমকে'৪
অপ্রেমকে'৪


প্রেম-অপ্রেমের দ্বন্দ্বের ওপারে যেটুকুনি পথচলা বাকি পড়ে থাকে;
সেই পথটুকু ,
একমুঠো শিউলি ফুলের মতন স্নিগ্ধ।
চাঁপা ফুলের মতন অভিমানী।
একটা ভোর-রাতের মতন চুপচাপ।
এই ভোর-রাতগুলোয় বড্ড একা লাগে।
নভেম্বরের হঠাৎ শীত জাপটে ধরে
অজান্তে।
শীতের বেড়াল ছানার মতন উষ্ণতা খুঁজি।
কিন্তু,
তুমি তো দূর অন্তরিপ।
এই আলোর শহরে সবচেয়ে ঝলমলে তুমি।
যে তারার আঁচ তো পাওয়া যায়,
তবে সেই তারা বড় স্পর্শকাতর।
আমার ঘরের নিয়ন আলোর বাতি আর জ্বালাই না।
আমার পৃথিবীর সব আলো চেয়ে-ছিনে নিয়ে তোমার দুরত্ব আরো এক আলোকবর্ষ।
আলোর শহর ধীরে ধীরে ফিকে হয়ে আসে।
রুমির কবিতার বইটায় অযত্নের ছাপ পড়েছে।
আজকাল তাড়াতাড়ি ঘুম আসে আমার।
অভ্যাসী হাত মাঝরাতে পাশের বালিশটা খোঁজে।
এই শহরের আবদারি নিয়ন আলোর দলও।
বিকেলের ছাদের কোন বহুদিন যাবৎ মনখারাপ দেখেনি।
আচ্ছা,তোমার শহরে বৃষ্টি হয়?
কংক্রিটের শহরের মেঘেরা কি তোমার মতন যান্ত্রিক ?
নাকি আমার মতন এখনো নতুন নতুন ভালোবাসতে শিখেছে?
মনখারাপ করতে শিখেছে?
কথায় কথায় কাঁদতে বসে আমারই মতন?
তুমি বলো আমি খুব বোকা।
কিন্তু যদি আমি তোমার থেকে একটা বিকেল দাবি করি,
এও কি আমার অনেক চাওয়া?
এই চিঠিটাও বাকিগুলোর মতনই ঘ্যানঘ্যানে
তাই না?
এটার উত্তর অন্ততঃ দুলাইনে দিও না।
তুমি ফিরবে কবে?
যাক গে ছাড়ো।
কখনো-সখনো সময় পেলে তোমার শহরের মেঘেদের মন বুঝো।
তখনো বলবে আমি অবুঝ?
তোমার ফেরার অপেক্ষায়,
তোমার কুসুম।