গুণের কদর
গুণের কদর


আর দুটো দিনেই বাকি অর্দ্ধেক কাজ হয়েছে শেষ,
বাসাটা যেন এক উল্টো কলসি,দেখতে লাগছে বেশ।
পুরো বাড়ি টা "মা ভীমরুল" বানালো একা একাই,
ভেতরের কাজ কর্ম গুলো, আর দেখবার উপায় নেই।
দরজা দিয়ে বাইরে যাওয়া আসাটা রয়েছে বজায়,
ওনার ব্যস্ত আচরণ বলে দেয়, কাজের বিরাম নেই।
কোথায় পেলো এমন শিক্ষা, ভেবে অবাক হয়ে যাই ,
টুনটুনি পাখিরাই বা কোথায় শিখেছে পাতা সেলাই !
বাবুই পাখির বাসা দেখতে অবশ্য এমন অনেকটাই,
দর্জি ও শিল্পী নাম কিন্তু ওরা পায়নি এমনি এমনিই।
শরীরের প্রতি কোষের জিনে,প্রতিভা থাকে এভাবেই,
তোমার ঠোঁট কোন পূর্বপুরুষের মতো অনেকটাই ?
বাবার নাক বা মায়ের কপাল ঠিক যেন কার মতোই!
নিজের মামার বাড়ি কোথায় তা তো জানে সবাই,
মা,বাবা,দাদু ,ঠাকুমার মামার বা
ড়ি কিংবা ভদ্রাসন,
ছিলো ঠিকঠাক কোন জেলায়, কতদিন, কোথায় ?
ওনাদের জীবন গঠন বা পড়াশুনোর পেছনে____
কার ভূমিকা কতটুকু, সম্ভব নয় চুলচেরা বিশ্লেষণ।
জেদ, সন্দেহ, আই কিউ, অভিমান অথবা ডিপ্রেশন,
আমাদের মধ্যে থাকে যত দোষ অথবা যত গুণ,
জিনের, আর নিজের ওপরে নির্ভর করে অনেকটাই।
কিছু দোষ থাকলে তা ধীরে ধীরে কাটিয়ে ওঠা চাই,
গুণের জন্যে যথেষ্ট বাবা মার কাছে কৃতজ্ঞতা টুকুই।
সব নয়, চোদ্দ পুরুষের নাম নিয়ে পূজো করাটাই!
শুভ কাজে কেন ওনাদের সকলকে স্মরণ করা হয়,
বোঝো কি,সে সবের মাঝে রয়েছে এই মূল কথাটাই !
দোষ গুণ কিছু কিছু উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়ে যাই,
আমাদের কাজ নতুন কিছু শেখা, সংস্কার করাটাই।
জীবনে ডিপ্রেশন কে জায়গা দিলে, তা সম্ভব নয়।