ঘটৎকচ পুত্র
ঘটৎকচ পুত্র
ঘটৎকচ পুত্র আমি বীর ও শিবভক্ত বার্বারিক,
মাংসাশী, তবে পশু নই , শক্তি আমাদের অমানুষিক।
রাতে শক্তি বাড়ে, ক্ষত্রিয় জনেরা বলে রাক্ষস জাতি,
আমি মহাবীর ভীমের নাতি, পান্ডুর পুতি।
মহাবীর অভিমণ্যূ ছিলেন আমার পিতার ভাই,
লোকের কাছে কে বড় বীর সে কথা বুঝিতে না পাই।
অভিমণ্যূকে ঘিরে মারে কৌরবদের সপ্ত মহারথী,
পিতাকে মারায় ইশারায় অর্জুনের সারথী।
অর্জুন কে বাঁচাতে কর্ণের একাঘ্নি বান,
আমার পিতাই করেছিলেন নিজ বক্ষে ধারন।
মাংস খেয়ে হয় আমাদের সকলেরই বিশাল কলেবর,
এক অক্ষৌহিনী কুরুসেনা মারা যায় অনায়াসে,
আমার পিতার দেহের চাপে তাঁর মৃত্যুর পর।
মাকে দিয়েছিলাম কথা,পিতার সম্মানের কথা ভাবি,
কুরুক্ষেত্রে লড়াই করবো সদাই দুর্বল এর তরে।
বুদ্ধিমান শ্রীকৃষ্ণ দেখেন হিসেব করে,
একসময় কৃপাচার্য সহ রবে কৌরব সেনা মোটে তিন,
কৌরব পক্ষে আমায় যুদ্ধ করতে হবে সেইদিন।
আমি যে পক্ষেই যুদ্ধ করি জয় নিশ্চিত তার,
নিজের চোখে দেখবনা কিছুতেই পান্ডবদের হার।
হতে পারি রাক্ষস তবু কোমল ও উদার আমার মন,
এ কথা শুনে নিজের হাতে করি নিজের মস্তক ছেদন।
আমার মস্তক করি শ্রীকৃষ্ণের পায়ে অর্পন,
এ যে আমার পরম প্রভুভক্তির নিদর্শন ।
উঁচু থেকে ভালো করে দেখা যায় নিচের দৃশ্যাবলী,
শ্রীকৃষ্ণ আমার মস্তক করেন এক পাহাড়ে স্হাপন।
বলেছিলেন লোকে নাকি যুগ যুগ ধরে করবে পূজন,
আমার বাসনা ছিল দেখব কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ সমাপন।
পেয়েছি "রাক্ষস" বদনাম, তবু কিন্তু আমরা মহান,
মাংসাশী নামের তলে চাপা পড়ে গেল সব অবদান।
