“দুজন শুধু দুজনার”
“দুজন শুধু দুজনার”


নিস্তব্ধ পূর্ণিমার রাত।
থেমে থেমে বয়ে যাচ্ছে হিমেল সমীরণ।
কিছুটা বিষণ্ণ হয়ে কানে হেডফোন দিয়ে শুনছিলাম-
"তুমি অন্য কারোর সঙ্গে বেঁধো ঘর"!
তোমায় অনুভব করতে গিয়ে-
গড়িয়ে চলেছে আঁখি থেকে অশ্রুজল।
আঁখি আমার তখনো বন্ধ-ইচ্ছে করছে তোমায় বলতে;
"ভালবাসি বড্ড ভালবাসি তোমায়"!
হঠাৎ অনুভব করলাম আমার হাতটি কেউ ধরে রেখেছে।
আমার ভেতরের কান্না চেপে রেখে আখি মেলে দেখলাম;
সে তো আর কেউ না- সে আমার জীবন।
পারছিনা বিশ্বাস করতে-
তুমি সত্যি এসেছো নাকি আমার কল্পনায় বিচরণ।
আলতো করে আমার আঁখি স্পর্শ করে বললে
"এইবার বাস্তবে ফিরে এসো"!
লজ্জা পেয়ে একটু হেসে সরে গেলাম-
ছাঁদের ইটের ফাঁকে বেড়ে উঠা;
নাম না জানা ছোট ছোট ফুলকে স্পর্শ করতে।
তুমি পেছন থেকে আমায় জড়িয়ে রাখলে-
আর কানে কানে বললে-
"খুব সুন্দর লাগছে তোমায় আমার পাগলীটা"
আমি ঘুরে তোমায় মারতে মারতে বললাম
"কেন কষ্ট দাও আমায়"!
তোমার প্রতিউত্তর না পেয়েই হঠাৎ আকাশের বুকে-
একরাশ আলোর ঝলকানি দেখে ভয়ে কেঁপে উঠলাম।
তুমি শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললে
"শুভ জন্মদিন পাগলী; দেখো তো আকাশে"।
এমন কিছু দেখবো কখনো কল্পনাও করতে পারিনি।
আলোকরশ্মিতে লেখা ছিল "আমার জীবনসঙ্গী হবে পাগলী"।
কেঁদে ফেলেছি অঝোরে আমার এই পাগলটার পাগলামি দেখে।
পূর্ণিমার চাঁদ আর আমার পাগলের চমক;
সবমিলিয়ে সেই রাতে হলাম আমরা দুজন শুধু দুজনার।
কোনদিন যাবো না আমার এই পাগলটাকে ছেড়ে!
তুমি যে আমার সব।
তোমায় ছাড়া নেই কোন আমার অস্তিত্ব।
এমন করে সারাজীবন বেঁধে রেখে-
তোমায় আমার হৃদয় মাঝে;
হবো তোমার জীবনের ভালবাসার প্রদীপ!