ধর্ষণ
ধর্ষণ


ধ দিয়ে ধড় হয়, যেটা নারী-বৌ-মেয়ে-বেশ্যা যারই হোক্ চেটে খাওয়া যায়।
ধ দিয়ে ধাক্কা হয়, যেটা আমাদের আজকাল আর ভেতরে লাগে না।
ধ দিয়ে ধ্বনি হয়, যেটা সাময়িক শোনা যায় তারপর মিলিয়ে যায়।
ধ দিয়ে ধর্ণা হয়, যাতে বিচার কম, টিআরপি বাড়ে বেশী।
ধ দিয়ে ধর্ম হয়, যেটার কোনো গুণ না থাকলেও আমরা ঢকঢক করে গিলে নিই।
ধ দিয়ে ধর্ষণ হয়, রোজ হয়, প্রতিটা মুহূর্তে হয়, আমরা অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি।
দোকানে মোমবাতি কম পড়ছে আজকাল,
মিছিলে হাঁটতে হাঁটতে জুতোর তলা ক্ষয়ে যাচ্ছে,
মাস্কের নীচে কালো কাপড় বাঁধার আর প্রয়োজন পড়ছে না,
খানিক হেঁটে ক্লান্ত হয়ে পড়লে একটা সিগারেট আর এককাপ চা খেয়ে বাড়ি ফেরাটা নিত্যদিনের পায়চারি হয়ে গেছে।
ধ দিয়ে ধিক্কার হয়
, আজকাল আর ওটাও বেকার হয়ে পড়েছে।
কাকে ধিক্কার জানাবেন? প্রশাসন, সরকার, রাষ্ট্র, পুরুষজাতি, নারীজাতি, নাকি মানবজাতি!
পুরুষেই তো বাপ-ভাই-দাদু-দাদা সব হয়;
আবার পুরুষেই খুবলে খাওয়া মাংসাশী হয়।
লাভ নেই কোনো এসব লেখার,
এমনিতেও এখন কৃষকের অধিকার থেকে শুরু করে গাঁজারু অভিনেত্রীর মহামিলনতীর্থ হয়ে উঠেছে আমার দেশ;
সেখানে একটা দলিত মেয়ে বড়ো বেমানান ডিজিটাল মানচিত্রে!
সিলেট-শিয়ালদা-উন্নাও-কামদুনি-পার্কস্ট্রীট-হাথরাস
সর্বত্র মাংসের একদর,
কেউ পুড়িয়ে খায়, কেউ খেয়ে পোড়ায়
ধ দিয়ে ধন্যবাদ হয়, প্রতিটা পীড়িত নারীর প্রতি জ্ঞাপন করি...
তোমরা না মরলে আমার লেখার জন্ম হত না!