চিত্রকূট
চিত্রকূট
প্রেম? সে যে সদাই হতে চায় বন্যা বা অচল পাহাড়,
চেষ্টা করেও পারেনা বুঝতে কিছুতেই, কে আমার?
সময় নামে আছে জানি এক বিশাল বুলডোজার।
মানুষের আছে অবশ্যই ভালো বাসবার অধিকার,
কিন্তু অযাচিত প্রেম পেলেও গজায় অহঙ্কার!
রাম - সীতা - লক্ষণ ওঁনাদের বনবাস কালে,
কাটিয়েছিলেন কিছুদিন চিত্রকূট পাহাড়ের কোলে।
গাছপালা, পশু-পাখি, পাহাড়েতে একসাথে রয়,
খাবার প্রয়োজন ছাড়া জানেনা হিংসা কারে কয়।
এ ভূবন আসলে সকলের জন্যেই, অনন্ত প্রেমময়।
হরধনু ভঙ্গ করে রাম মন জয় করেছিলেন সীতার,
কিন্তু গয়ায় এসে দাম দেননি তার মুখের কথার।
সীতাও বোকামো করেছিলেন চেয়ে হরিণ সোনার,
শুধু তাই নয় হয়ে অকুতভয় লক্ষণ রেখা করেন পার,
সেই সুযোগেই রাবন তাঁকে নিয়ে করেন সাগর পার।
প্রেমের টানেই রাম যদি করেন পার সাগর ও পাহাড় ,
সীতার অগ্নি পরীক্ষার কেন হয়েছিলো দরকার ?
বাড়িতে ফিরেও কদিন আর শান্তি ছিলো মনে,
সীতাকে অবশেষে তো যেতেই হলো বনে।
ও ভাই, এই দুনিয়ায় যে প্রেমের মহিমা অপার !
প্রকৃতি তো অবুঝ নয় ঐ প্রেমের মতো,
তাই সে সহ্য করেনা তো কারোরই ঔদ্ধত্য।
গর্বে উঁচু করেছিলো বিন্ধ্যাচল তাঁর মাথা অযথা,
গুরুদেব অগস্ত্য শাস্তি দিতে রাখেননি তো কথা।
ফেরেননি আর, বিনয়ে নিচু হয়েই রইলো যে মাথা!

