চিলেকোঠার রোদ্দুর
চিলেকোঠার রোদ্দুর


চেয়ে থাক মগ্নজিতা,
কেবল অপলক চেয়ে দেখ...
আকাশের নীলে নীলাক্ত মেঘের ভেসে যাওয়া..
শ্রেফ মুখ তুলে দে সেই বৈকুন্ঠ নীলে....!
বাতাসের যখন প্রজাপতি সঙ্গমের গন্ধ ভেসে ভেসে,
আমাদের বকুল তলায় জড়োসড়ো হয়ে নিজেদের মধ্যে
ফিসফাস করে কথা বলে যাবে বেঁচে থাকার...,
আমাদের তখন শৈশবের দেখা..
আমাদের তখন কৈশোরের প্রেম..
আমাদের তখন যৌবনের ভালোবাসা.....!
আহ, মগ্নজিতা...
আজ তোর পায়ে আলতা নেই কেন...??
কপালের ঠিক বাঁ দিক ঘেঁষে তোর কালো টিপ...?
বুকের পাঁজরে যে তোর পায়ের নুপুরের সুর বেঁধেছি..!
সেই কবেকার এক
বৈশাখের আম্রকাননে আমাদের প্রথম ছুঁয়ে দেখা...
মুঠোয় শক্ত করে ধরে থাকা তোর সমর্পণের মাধুকরী অঙ্গুলি...!
মুহু, আরেকটু কাছে, আরেকটু...
একেবারে বুক ঘেঁষে ছুঁয়ে থাক মগ্নজিতা,
শ্রেফ ছুঁয়ে থাক মনের চিলেকোঠায়....
যেখানে প্রিয়তমা সুখ রোদ্দুর হয়ে
পুরোনো জানালার ফাঁকে
এক মুখোমুখি নৈশব্দ স্বর্গের রচনা করে....!
ভালোবাসলে দুঃখেরা হয়ে যায় নির্বাসিত মথ...
ইচ্ছেরা খেলা করে আমাদের প্রজাপতি শরীর হয়ে.....!