ছল
ছল
বড় হিংস্র শঠ এই ছলনা
শান্তি টুকু কেড়ে , অন্তরে অশান্তি দেয় ।
চেতনার গভীর থাকা বোধগুলো শেকলে বাঁধা ।
প্রিয় সম্পর্কদের জন্য বেদনাই অভিকর্ষ ।
বেদনা শূণ্য হৃদয় শেকড় ছেঁড়া বৃক্ষ ।
বেদনা মুক্ত হতে বন্ধনেই ফিরে যাওয়া ।
রক্তের সম্পর্কগুলোর প্রতি স্পর্শকাতরতা
কখনোবা স্বার্থপরতা মনে হয় ।
দুঃখ আসে অপেক্ষায় থাকে প্রহর ।
দুঃখের বিপ্রতীপে আসেনা সুখ ।
সুখের খোঁজে সময় চলে যায় ।
ফাঁকিটাই আত্মসাৎ করি নিজের মনে করে ।
ফাঁকিটাই বুঝি ভবিতব্য ?
ভরাট হলে শূন্যে বিলীন হওয়া চলেনা ।
আত্মা অবিনশ্বর তাই মহাশূন্যের সাথে তার যোগ ।
মহাশূন্য ! সেই বিরাটের সাথে আত্মার পরিচয় !
এ'এক চরম বিস্ময় ।
অভিকর্ষের বিপরীতে ভরশূন্য অবস্থা ,
মায়াহীন কায়াহীন অন্তহীন শুধু তমসা ।
হয়তো সেও এক ছলনা ।
কাঙ্খিত কি ?
এ এক জিজ্ঞাসা !!
সৃষ্টির মায়াজাল ভেদ করে কি রহস্য উন্মোচন হবে ?
তাতে মানবের ভুমিকা কতটুকু ?
অতি মানবীয় যা , তার স্বরুপ কতটা ব্যপ্ত ?
আত্মসমর্পণ না আত্মবিসর্জন ?
কাল শুধু ভক্ষণ করে , বর্জ কিছু কি নেই ?
কালরুপ তমসাই কি উপাস্য ?
কিন্তু কেন ? ভয় !!
ভয় থেকেই ভক্তি !!
আর তাই বেদনা মুক্ত হতে বন্ধনেই ফিরে যাওয়া ।
আত্মজনের জন্য প্রেমেই ভয় আর সেখানেই ভক্তি ।
দেবালয় মনুষ্য সৃষ্ট ;
সেখানে দেবতা অধিষ্ঠান করেন না ।
সমুদ্রের গভীরে ডুবে থাকা রত্ন
মানুষের হৃদয়ের মানবতাই দেবতা ।
সকল শুভবুদ্ধির উৎপত্তি স্থল ।
দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন সেখানেই ।
সংসারের প্রতি মায়াই মানুষকে মানবিক করে ।
মায়ামুক্তির ছলনায় কেউ ভুলোনা।