যেখানে লক্ষ্যের শেষ
যেখানে লক্ষ্যের শেষ


পরিবর্তনের নেশায় সেই একই জীবনের পুনরাবৃত্তি,
অবশেষে প্রবৃত্তি একঘেয়ে লাগে বহুবারের পর।
নিবৃত্তির পথে হাঁটতে থাকে পুরোনো সেই মানুষটা,
খুঁজে নিতে আবার উল্টো রাস্তায় নিজের ঘর।
আমরা যাকে জীবন বলি সেটা তার কাছে দাসত্ব,
নিজস্বতা একটুও নেই, তাতে আছে শুধু কার্যকারণ।
তার কাছে শৃঙ্খলা মনে হয় নিয়মের বেড়াজাল,
শাস্তিস্বরূপ লাগে তার এরকম আবদ্ধ শরীরধারন।
কেউ ভেসে আনন্দ পায় কেউ বা আবার কেউ বা ডুবে,
তাই সন্দেহ হয় আমরা সত্যিই জীবিত নাকি মৃত।
শাশ্বত জীবন
পেয়েও আমরা তাই জীবন-মরণের চক্রে,
খুঁজে চলেছি বিষবৃক্ষের ফলের স্বাদের মাঝে অমৃত।
তবু জীবনমুক্ত যে জন সে জন চলে নিজের খেয়ালে,
প্রবৃত্তি-নিবৃত্তির কখনো সে আর ধার ধারে না।
বন্ধ চোখে আজ আর বাড়েনা তার কোন রকম স্বপ্ন,
খোলা চোখেও কিছু তার স্বপ্ন কাড়তে পারে না।
খেলার মাঠে শিশুর মত কখনো ফড়িং ধরে দেখে সে,
আবার কখনো খেয়াল হলে বন্ধ মুঠো খুলে দিয়ে হাসে।
শিশুর জীবনদর্শনেই তার হয় সকল প্রকার আনন্দ,
প্রবৃত্তি-নিবৃত্তি পেরিয়ে সে ধরা দেয় না কোনো মায়াপাশে।