হাতি আর পিঁপড়ে
হাতি আর পিঁপড়ে


জঙ্গলেতে লাগলো দাবানল
জ্বললো একটা গাছের গোড়া
পিঁপড়ের চোখে এলো জল
ভাবলো সে তার কপাল পোড়া
সে করলো এক হাতিকে বিনতি
আমায় রক্ষা করো দাদাভাই
দাদাভাই মেনে তার মিনতি
পিঁপড়েকে বাঁচালো সেদিন তাই
গাছের ডাল তার শুঁড়ের টানে
ভেঙ্গে পড়লো হুরমুড়িয়ে
হাতি বললো তখন অভিমানে
যা পালা এখন সুরসুরিয়ে
পিঁপড়ে দাদাভাইকে বললো
বিপদ হলে জানিও আমায়
হাতি তাতে খুব হেসেই চললো
হাতির সে হাসি কেইবা থামায়
তার অনেক দিন পরে হাতির
মাথার ভেতর ফাটলো ফোড়া
তাকে কেউ করলোনা খাতির
ভাবলো যে তার কপাল পোড়া
মাথার ভেতরে পোকা ধরলো
হাতির যন্ত্রণা হলো ভারী
সবাই ভাবলো হাতি মরলো
পিঁপড়েরা শুঁড়ে দিল সারি
এক এক করে পোকা মেরে
পিঁপড়েরা হাতির ফেরালো প্রাণ
শেষে হাতি বাঁচলো হাঁফ ছেড়ে
ওরা করলো হাতির পরিত্রাণ
হাতির কাজে পিঁপড়ে লাগে
পিঁপড়ের কাজেও তেমন হাতি
তাইতো পিঁপড়েগুলোর আগে
হাতি ফোলায় নাকো বুকের ছাতি
(দ্রষ্টব্য:
ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণদেবের গল্পকে কবিতা করে লিখেছি)