চাঁদ মধুময়
চাঁদ মধুময়
নিউমুন, হাফমুন, ফুলমুন এর মতোই
হানিমুন বলে একটি শব্দ আছে বটে !
ছোটোবেলার চাঁদ মামা বিয়ের পরেও,
থেকে যায়, জীবনে উঁকি দিতে এভাবেই!
কিন্তু বিয়ের পরপর যে নতুন চাঁদ আসে জীবনে,
তাকে ছেড়ে চাঁদের দিকে তাকাবার সময় কোথায়!
তবে প্রথম দুজনে একসাথে একলা ঘুরতে যাওয়া?
বাড়ির বাইরে নতুন জায়গায় রাত কাটানোর ইচ্ছে,
হ্যাঁ, হয়তো কোনো গভীর তাৎপর্য আছে নিশ্চয়ই।
সুযোগ হলে ভালো, না হলেও কোনও আপত্তি নেই,
আসলে মাত্র কয়েকটি দিন ও রাত দুজনের কাছে,
নতুন করে চেনার, ভালোবাসার জন্যে যথেষ্ট নয়।
কখনও কখনও তো পেঁয়াজের খোসার মতোই,
মানুষের অন্তরের রূপ ধীরে ধীরে বিকশিত হয়।
একসাথে সারাজীবন কাটিয়ে বুড়ো বয়েসেও,
দুজনে কোথাও বেড়াতে যাবার ইচ্ছেটা যদি রয়,
হয়তো শরীরটা তখন অত শক্ত পোক্ত নয় !
তাহলেই সার্থক, বিবাহিত জীবন যেন মধুময়।
সময়-সুযোগ পেলে শরীরে শক্তি বজায় থাকতেই,
যতটা পারা যায় বাইরে, দূরে, ঘুরতে যেতে হয়।
চলার ক্ষমতা চলে গেলে যে এসব আর সম্ভব নয় !
কিন্তু আমি তো ভাবি, কোথাও যাবার বেলায়,
চাঁদের অবস্হান মেনে, তবে কি টিকিট কাটা হয় ?
নাকি শুক্ল পক্ষ, কৃষ্ণ পক্ষ এসব দেখে ঘুরতে যায়!
চাঁদের যে পাশ আমরা আলোকিত দেখতে পাই,
বোধহয়, তেমন সুন্দর ভাবেই জীবন কাটাতে চাই।
চাঁদের সাথে মানুষের জীবন এভাবেই জুড়ে যায়,
চাঁদের যে পাশ যায়না চোখে দেখা, তা অন্ধকারময়।
মানুষের মন, চাঁদের মতোই দুঃখ, কষ্ট, ক্ষত, বেদনা,
সবকিছু মনের অন্ধকারে লুকিয়েই রাখতে চায়।
হিংসা, লোভ, পরশ্রীকাতরতা, যত আছে খারাপ গুণ,
নিজের কাছে প্রকাশ পেলেও মুশকিল,
তাহলেই খারাপ হয়ে যায় মানুষের পরিবর্তনশীল মন,
অমাবস্যা, পূর্ণিমা নিয়েই তো মানুষের জীবন,
হাসি কান্নায় ভালোবেসে কাটালে ভালো লাগে মন।
কে যে অনুবাদ করেছিল বাংলায় , জানা নেই !
তবে এই "মধুচন্দ্রিমা" কথাটা কিন্তু সত্যিই তুলনাহীন।