ব্যার্থ প্রেম
ব্যার্থ প্রেম
জানিনা আজ কেন সহসা তুমি পড়লে মনে,
আমার এ উদাস মনে অকারণে!
একদিন নীরবে গিয়েছিলে চলে
কোন কথা না বলে।
অনেক খুঁজেছি তোমায়, অনেক কেঁদেছি,
আমার প্রেয়সীকে আমি হারিয়ে ফেলেছি।
কি যে করেছি দোষ, কোথায় যে ছিল ভুল!
আজও ভেবেও পাইনা কোন কুল।
প্রথম দেখার সেই শুভক্ষণ
আজও মনের মণিকোঠায় উদ্ভাসিত-
নবীন বরণের সন্ধ্যায় নীল শাড়ী পরিহিতা-
প্রথম দেখেছিলাম তোমায় নবাগতা।
তোমার কানের ঝুমকো দুল,
হাওয়ায় এলোমেলো খোলা চুল,
সহসা চোখে চোখ-অপলক দুটি নয়ন,
ক্ষণিকের সেই দেখা জাগালো শিহরণ!
একটু চোখের দেখা,একটু পরশ পাওয়া,
এতেই ছিল স্বর্গ সুখ খুঁজে নেওয়া।
দুজনে পাশাপাশি কত পথ চলেছি,
বুনেছি কত স্বপ্নের জাল!
বলেছি কত কথা, করেছি কত মান-অভিমান!
শিমুল-পলাশ বনে
কৃষ্ণচূড়া বিছানো শয্যায়-
জ্যোৎস্না মাখা স্বপ্নময় সেই অভিসার!
রাত জাগা পাখিরা মধুর কন্ঠে শুনিয়েছিলো
আমাদের ভালোবাসার গান,
লক্ষ তারারা করেছিলো অভিবাদন,
চন্দ্রমা ছড়িয়েছিলো তার স্নিগ্ধ নরম দ্যুতি ।
আশীর্বাদ হয়ে ঝরে পড়েছিলো পলাশ-বকুল,
শাল-মহুয়া ছড়িয়ে দিয়েছিলো
তাদের মন মাতানো সুরভি,
দুটি কায়া,দুটি মন
এক হয়েছিল সেদিন।
স্বর্গ,মর্ত্য,পাতাল বুঝি
সাক্ষী হয়েছিলো সেই মধুযামিনীর।
হয়েছিলাম প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
জন্মজন্মান্তর কাটাব একসাথে।
প্রেমের আবেশে ছিলাম মগ্ন,
আজও তা ভেবে হই শিহরিত,
অনুভবি রোমাঞ্চ।
আমার মনের মন্দিরে
রেখেছিলাম তোমারে সাজায়ে,
ভেবেছিলাম বাঁধব বাহুডোরে,
রাখব জীবনভর বক্ষে জড়ায়ে তোমারে।
জানিনা কি যে হলো,
কি ছিল তব মনে-
সহসা একদিন কক্ষ পথ বদলে
অজানার উজানে নিশ্চুপে
চলে গেলে তুমি গোপনে সন্তর্পণে।