বুজকুড়ি
বুজকুড়ি
শিক্ষার উদ্দেশ্যটা আজ কি করে যেন গেছে গুলিয়ে।
এই পৃথিবীতে যেকোনো প্রানী কাটায় নিজের জীবন,
এবং সেটাকে তো, দেয় বেশ ভালোভাবে কাটিয়ে।
খুব সম্ভবত একমাত্র মানুষই সেই জীব, যে চায় জ্ঞান,
জ্ঞানের বিকাশ ছিল যাদের একমাত্র ধ্যান।
তাই তো তৈরী হয়েছিলো নানা গুরুকুল, টোল, স্কুল,
কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এসব নানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
কিন্তু ক্রমশঃ পৃথিবীর মানুষ বেড়ে হয়েছে যে প্রচুর,
অভাব যেমন খাবারের, অপ্রতুল হলো যে বাসস্হান।
বিজ্ঞানের দৌলতে বিকাশ হলো নানা টেকনোলজির,
কিন্তু আজ মনুষ্যত্বের হচ্ছে দিনে দিনে অধঃপতন।
চারদিক থেকে অসুখ ঘিরে ধরেছে আজ অনেককে,
অসুস্থ শরীর ও মন, চিন্তায় যে ব্যাতিব্যস্ত সারাক্ষণ ।
পড়াশোনা করে চাকরি পাওয়াটাই শুধু এখন লক্ষ্য,
লোক দেখানো মেকি বন্ধুত্ব, নেই সত্যিকারের সখ্য।
প্রতিযোগীতার ইঁদুর দৌড়ে আপনজনও চাপা পড়ে,
নেই সেদিকে কারো ঘুরে তাকানোর একটু সময়,
সেটা যে হবে দামী এই সময়ের নিতান্ত অপচয়।
"আমাকে দেখুন" এর হাস্যকর মানুষের মিছিলে,
সাগ্রহে যোগ দেয় কতো মেয়ে আর আছে যত ছেলে।
কলেজ তো নয়, এ যেন ফ্যাশন প্যারেডের এক মঞ্চ,
বাইক থাকা চাইই চাই যদি ছেলে না হয় খন্জ।
তবেই বন্ধুরা "ভাই" বলে ডেকে কথা বলে,
সুন্দরী মেয়েরাও সহজেই যায় গলে।
গরীবের মেয়ে, একটা স্মার্ট ফোন হাতে থাকা চাই,
কন্যাশ্রীর টাকা দিয়েছে যে ভালোবেসে দিদিভাই।
অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, এই তিনের সাথে এখন,
জুড়ে গেছে সরকারী যতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
পড়তে গেলেই পাওয়া যায় মিড ডে মিল,
অপুষ্টিতে ভোগেনা কেউ, শিশুরা হাসে খিল খিল।
সার্টিফিকেট আছে তো ঘরে ঝুরি ঝুরি,
ঝাঁপিয়ে রাজনৈতিক তর্ক করে,ফেসবুকে পোষ্ট করে,
সোসাল মিডিয়ার পুকুরে, যখন খুশী ডুবসাঁতারে,
কাটে তারা নানারকম বদহজমের যতো বুজকুড়ি।
