বর্তমান
বর্তমান
যদি একটু অতিতের দিকে তাকাই,
একসাথে তিনটে পত্রিকা দেখতে পাই।
সন্দেশ, চাঁদমামা ও শুকতারার মধ্যে,
আমার পছন্দ কিন্তু ঐ চাঁদমামাটাই।
পেরেছে আমার মন জিতে নিতে,
সুদুর দক্ষিণ ভারত থেকে এসেই।
বিক্রমাদিত্য কে ওখানেই প্রথম পাই,
বেতালের ঐ মাথা ফেটে চৌচির হবার হুমকি!
সে কি আর কখনও ভোলা যায় ?
এতোবার ঠকেও সাহসী বিক্রমাদিত্য,
ঐ দুষ্টু বেতালকে আবার কাঁধে তুলে নেয়।
রহস্য, রোমাঞ্চ, রূপকথায় মোড়া চাঁদমামা আর নেই!
বড়দের হাতে নবকল্লোল যেন অচ্ছুত আমার কাছে,
কখনো পরে ভালোবাসা জন্মায়নি ওটার প্রতি তাই।
কয়েক বছর বাদে বাড়িতে আনন্দমেলা এলে
ভাইয়ের সাথে কাড়াকাড়ি করে গোগ্রাসে অক্ষর খাই,
এখন কিন্তু ঐ কাড়াকাড়ির আনন্দটাও আর নেই।
এর কিছুদিন পর এক নতুন ম্যাগাজিন হাতে এলো,
হয়তো খুব কম দিন তা এই পৃথিবীতে বেঁচে ছিলো।
হয়তো ভুলেছে "আজকাল" এর সংস্থার লোকজন,
হাসির কথা নয়, পত্রিকাটার নাম ছিল "টেলিভিশন"।
নব্বুই এর দশকের প্রথম দিক তখন,
বাড়িতে টিভি এলেও কেবল লাইন নেই, মন উচাটন।
টিভি দেখার চেয়েও বেশী ভালোবাসি পড়তে তখন !
এরপর জীবনে এলো "সাপ্তাহিক বর্তমান"!
আর বিয়ের কয়েক বছর পর এলো "সুখি গৃহকোন",
মাঝে মধ্যে সানন্দা, আনন্দলোক খুশি করতো মন।
পূজো সংখ্যা বাড়িতে একাধিক নিয়ে আসতো বর,
নিজে কিনলে "আমার সময়" পছন্দ ছিল আমার।
সেই সময় বোধহয়, সময় দিতো কুমড়ো গড়গড়ি!
বর্তমানে পড়ার ইচ্ছে আছে, কিন্তু কোথায় সময়?
মোবাইল ফোনে যে আজ পি.ডি.এফ এর ছড়াছড়ি!