বর্ষারানী
বর্ষারানী
অঝোরে ঝরে শ্রাবণধারা,
আকাশের মুখ গোমড়া আজ।
জলকন্যার রূপে মুগ্ধ,
জলপরির কি সুন্দর সাজ।
জল টলমল কচুর পাতায়,
ব্যাঙের ছাতা খড়ের গাদায়।
বর্ষারানী মুকুট মাথায়,
দুষ্টু চোখে আমায় তাকায়।
নদীর বুকে বান এসেছে,
আনমনে তাই ছুটে চলি।
চঞ্চল ওই বর্ষারানী,
তুমি যৌবনা প্রেমের অলি।
সাগর ডোবে বর্ষা জলে,
দিলাম ডুব অতল জলে।
বর্ষারানী কোথায় গেলে,
সিন্ধু হতে বিন্দু হলে।
জানালা হতে পাহাড় দেখি,
মৃদুমন্দ হাওয়া বয়।
বর্ষারানী পাহাড়মনি,
তোমার চোখই কথা কয়।
পাহাড় ছেড়ে মরুর দেশে,
যাওনা এবার তুমি।
সেই দেশেতে তোমার খোঁজে,
দাঁড়িয়ে রব আমি।
সেদিন তুমি উগ্ররূপে,
ঝাঁপিয়ে পড়বে জানি।
মরুভূমির মরীচিকা হয়ে,
তোমায় দেখবো আমি।
বর্ষারানী কোথায় তুমি,
মোর চোখেও নাই জল।
দুফোঁটা জল দেবে ধার,
শুকনো কান্না হোক সজল।
বর্ষারানী জলকুমারী
শুভ্র বসনে শীতল তুমি।
একবারটি দেখো আমায়,
তোমার প্রেমিক হব আমি।