অ'পছন্দ
অ'পছন্দ
দেখেছো ছেলেটাকে!
মোটা গোঁফ, হাতে রিবকের ঘড়ি।
হয়তো বাপের পকেট কেটে
ভেক দেখি বাড়াবাড়ি।
তাবলে প্রেম আমার মেয়ের সাথে!
তাব্যাটা মাইনেটা পায় কত শুনি?
দেখ দেখো ওই বন্য গোঁফ-দাড়ি- চুল,
আবার হলুদ পাঞ্জাবি পছন্দ!
সে বলে কিনা এবার পুজোয়-
আমার মেয়ের হাত ধরে ঘুরবে।
বুঝি ব্যাটা করে প্রেম,
তা ব্যাটা মাইনেটা পায় কত শুনি?
ঠেলে মিনিবাস, ঝাড়ি মারে,
আমার মেয়েকে সকালে ও বিকালে!
স্কুল ফেরতে অতিষ্ঠ মেয়েটা,
জড়িয়েছে প্রেমে আমারই মেয়েটা!
অতিষ্ঠ পাড়াময় ছিঃ ছিঃ রব ওঠে,
তা ব্যাটা মাইনেটা পায় কত শুনি?
বাসস্টপে মুখ কাচুমাচু
বাসে উঠলেও ভাড়া দেওয়ার পয়সা নাই।
এদিকে আবার প্রেমে হাবুডুবু,
একি জ্বালা সহেনা সহেনা সহেনা।
বাসেও প্রেম করার চেষ্টা!
তা ব্যাটা মাইনেটা পায় কত শুনি?
ফক্করবাজ ফাঁকিবাজ পড়াশুনায় অষ্টরম্ভা,
কলেজে গেলেই, মুখে বিড়ি ক্লাসরুমে মনিটারি!
মেয়ে দেখলেই পেছনে লাগার অভ্
যাস!
তা আমাদের মেয়েরা কি যাবেনা কলেজে?
মুখচুপ প্রিন্সিপাল ভয়পায় বদমেজাজীকে।
তা ব্যাটা মাইনেটা পায় কত শুনি?
মেলায় বেরোলেই ওড়নায় টানাটানি
আমার মেয়েটাও কেমন জানি।
ঘুরছে মেয়েটা বখাটের পেছনে!
গ্রামেগঞ্জের দেখছে সবাই,
এইবার মাথা বুঝি যাবে কাটা
তা ব্যাটা মাইনেটা পায় কত শুনি?
রক্তদানেও রক্ত দেয়
বিপদে-আপদে পাশে দাঁড়ায়!
ঘুরেফিরে সেই আমার মেয়েটার পিছু নেয়!
সকাল-সন্ধ্যা আমার মেয়ের নাম জপ করে!
মেয়েটাও পড়লো বুঝি ওর ফাঁদে
তা ব্যাটা মাইনেটা পায় কত শুনি?
আমার দেখেছে অট্টালিকা
একমাত্র বাড়ির মেয়ে বলে!
পিছু ধরেছে আমার মেয়ের
এ ভারী অন্যায় ঘোর অন্যায়-
দেব পুলিশের খবর! না দেবো বিয়ে?
তা ব্যাটা মাইনেটা পায় কত শুনি?
চাকুরীরতা আমার মেয়ে
গরমেন্টে তার নাম আছে ডাক।
ফক্করবাজ আড্ডাবাজ ধান্দাবাজ ছেলেটা!
পিছু ধাওয়া করে আমার মেয়ের!
বুঝেছি মতলবটা কি তার?
তা ব্যাটা মাইনেটা পায় কত শুনি?