পূর্বরাগ
পূর্বরাগ


শীতল ছায়াতলে তোমার আগমন।
অঙ্গালঙ্কারে সুশোভিত দেহ।
বাতাসে তখনও সুমিষ্ট স্বাদ।
দুনয়নে শুধুই তোমার মোহমাখা।
ভঙ্গ হয়েছিল নীরবতা,
ওই বসন্তের সুমিষ্ট কোকিলকণ্ঠ শুনে।
ঝমঝম বাজে নুপুরের ঝুমকো।
পাখির বাসাই শাবকের রঙ্গমঞ্চ।
সুবাসিত এলোচুল হওয়ায় ভাসে।
নাক শোভাপায় নোলক।
বিন্দুবিন্দু জমা ঘাম জানান দেয়
এটাই পূর্বরাগের লক্ষণ।
আমি মজেছিলাম তোমার রূপে।
তখনও উথালপাথাল হৃদয় সাগর।
হয়তো তোমার রূপসাগরের
সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম বালুকনা খুঁজতে চায়।
চোখের কথা বলে শৃঙ্গারে মাতবে।
নির্জনতার আড়ালে রাগমোচনে।
আবেদনমাখা দুহাত তখনও মুষ্টিবদ্ধ
শুধু সময়ের অপেক্ষা।
উড়ে আসা ময়না জানেইনা।
এসময় মুক্ত আকাশের তলে
দন্ডায়মান দুটি মন ছুঁতেচায়
হৃদয়ের অতল অনুভূতি।
চার পা দুপা করে এগোতেই
পূর্বরাগের ঘ্রাণ যেন মন মাতায়
মৌলের গন্ধ ন্যায়।
আমিও মেখেছিলাম সেই গন্ধ।
শুধু অনুভবে নীরবে নিভৃতে
একাকী অলিঙ্গনেরত প্রকৃতির-
সাথে নতুন স্বাদের খোঁজে।
পূর্বরাগের চারুকলায়।
মিষ্টিহাসি মুদিত নয়ন,
পূর্বরাগের আবেদনমাখা
স্পর্শ মনে ঘ্রানে আর দেহে
কে যেন আগুন ঢেলে গেল।