বর্ণমালার বর্ণালী
বর্ণমালার বর্ণালী
ছোটোবেলায় মনে মনে ছবি আঁকতে চেয়েছিলাম,
আসলে কিছু রঙীন ছবি সৃষ্টি করতে চেয়েছিলাম।
তখন শুরু হয় লেখাপড়া, অক্ষর চেনার পালা!
হিজিবিজি অ-আ-ক-খ , এ,বি,সি,ডি এসব বর্ণমালা।
আর তার পরে , সময় , সুযোগ হলে, চোখের জ্যোতি!
বলে ওঠে, ছবি আঁকতে ইচ্ছে ? এবার ঠেলা সামলা ।
যদিও আগেকার চেয়ে, রঙগুলোকে হালকা মনে হয়,
তবুও যেন রঙেরা, অক্ষরে মনের কথা বলতে চায়।
কেন জানি না ভালোবাসার ঐ লাল গোলাপ দেখেও,
সবটাই আজকাল কেমন যেন মন ভোলানো, বিষাক্ত,
সন্দেহজনক আর পুরোপুরি মিথ্যে বলেই মনে হয়।
ইউক্রেনের যুদ্ধের হাজার মানুষের লাল রক্তের কথা,
ধোঁয়া,ছাই,বারুদ,ভাঙা বাড়ি ও হৃদয় মনে পড়ে যায়।
তবে কমলালেবু! ওখানকার শিশুর হাসি মনে করায়,
ওদের তা দিয়ে, কান্নাটা কি সাময়িক থামানো যায় !
ঠাঁ ঠাঁ রোদে কাঁধে ঝোলান এক হলুদ জলের বোতল,
অজানার পথে হেঁটে যায় ছেলে , চোখে তার জল ।
সুখে ছিল ঘরে, বাবা-মা হারিয়ে পা যে করে টলমল।
সাদা ধোঁয়া দেখে হঠাৎ কি করে যেন ঘী এর সাথে,
জলখাবারের গরম, গরম, সুগন্ধী আতব চালের ,
সকালের নরম ফ্যানাভাতের কথা মনে পড়ে যায়।
সেই স্নিগ্ধ ছোটোবেলা অথবা প্রিয় গোলাপী ফ্রক,
অতীতের জানালা খুলে বর্তমানের দিকে তাকায়।
এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার সকলের আছে অধিকার,
হায়! কেন বার বার অকারণে মাথা কাটা যায় তার ?
নতুন ডাল পাতার বাহার নিয়ে আজ সবুজ লকুচ ,
মাথা নাড়লেও, মনের খুশীতে ডাল পালা নাচালেও,
ফিরবে কি তার সেই অমূল্য সময় ! কে দেবে উত্তর ?
হবে কি মনমতো সমাধান, সেই সহজ সরল প্রশ্নটার !
গাছ কি করে যে অতি বেগুনী রশ্মীর জ্বালানি দিয়ে,
পাতার রান্না ঘরে বানায় রহস্যময় কনা, কনা খাবার !
বোঝে কেউ, ওতে যত্ন আর ভালোবাসা রয়েছে তার!
কে, কবে, কোথায় গাছের মনের দাম দেয় আবার!
নীল ঐ আকাশের আছে অফুরান ভরসা ও বিশ্বাস,
জানে পৃথিবীর সব লোক নেয়, এই বাতাসেই শ্বাস!
ভয় কি ! কল্পনায় যদি তারা নীলকন্ঠকে সাথে পায়,
পরিবেশ অনায়াসেই আবার হবে শান্ত ও নির্মল ।
কি করে সুন্দর কালো-বাদামী শক্তিশালী ভীমরুল ,
তার ধূসর সম্ভ্রান্ত বাসা বানায়, বোঝা খুব মুশকিল।
সূর্য্যের সোনালী রঙ, যখন ভেঙে সাত ভাগ হয়ে যায়,
বর্ণালীর খেলায় মেতে, পৃথিবীর রঙের মিলন মেলায়,
মেশামেশি করে সহস্র রঙ তো ওরা নিজেরাই বানায়।