বিক্ষিপ্ত
বিক্ষিপ্ত
শব্দ যখন আকাশ ছোঁয়া,
কন্ঠ তখন কঠিন।
রাত্রি বড়ই বিভীষিকাময়,
ন্যায়-মুক্তি গৃহহীন।
ছায়ার ইশারায় রক্তের ছিটে,
অগ্নি তেজে জ্বলছে ভিটে।
অন্যায় তখন মুচকি হাসে,
বিচার-বিবেচনা ঝুলল ফাঁসে।
অন্ধকার ঘনায়, ব্যাঘাত ঘটে তন্ত্রে!
জঠিল অসুখ নিরাময় হবে এমন কোন মন্ত্রে?
বাঁচার লড়াইয়ে কারা যেন আজ মৃতপ্রায়!
ভগ্ন স্বাস্থ্যে, লাঠি ঠুকে তারা ভিক্ষা খুঁজে বেড়ায়।
কন্ঠ যেদিন শক্তি পাবে, হারিয়ে যাবে ভাষা,
আলোর দিশা ভুল করে পথ, লুন্ঠিত হবে আশা।
শূন্যস্থানে, জ্ঞানের বাণী শোনাবে মনীষীগণ,
মুক্তির পথ বহু দূরে, রয়েছে বাকি ঋণ।
এখনও তারা ঘুমিয়ে আছে, কাগজে মুখ ঢেকে,
কবে তাদের ভাঙবে ঘুম! রক্তক্ষরণ দেখে?
স্বপ্নটাতো এমনও হতে পারতো,
যদি অন্যায়য়ের টুটি চেপে ধরতো!
ঋণ নেই বাকি, শুল্ক শুন্য,
ন্যায়ের মুখে হাসি।
বিকচ্ছে পণ্য ন্যায্য মূল্যে ,
বিরহের গলায় ফাঁসি।।
