বিধাতার অভিশাপ
বিধাতার অভিশাপ
সময়ের সাথে বদলে গিয়েছে শান্তি প্রিয় মন,
ব্যঙ্গার্থক কটু কথায় শুধু অশ্রু বিসর্জন।
মনের কষ্ট নিমীলনের চেষ্টা কারো নেই,
জীবনের যত দুর্বিপাকে হিতৈষীর দেখা নেই।
লেখাপড়াতে ভালোই ছিলাম, মেধায় পেতাম স্থান,
গুরুজনদের আশীর্বাদে বাড়ে, শিক্ষাগত মান।
অনেক আশা বাবা-মায়ের, মেয়ের দেবে বিয়ে,
সুন্দর ঘর, মনোমত বর, পাবে একরত্তি মেয়ে।
সাহস করে, সাধারণ ঘরে, হলো কন্যারত্ন দান,
ভরসা ছিল, গুণী ছেলে দেবে যথোচিত সম্মান।
অর্থকষ্টে দিন কাটলেও, একে অন্যের সাথী,
সংসারটা নতুন হলেও, হবে খুশিভরা দিবারাতি।
হয়তো তাদের প্রয়োজন ছিল শুশ্রূষারই লোক,
নরম মনের বৌমা পেয়ে ধন্য বাড়ির লোক।
হারিয়ে গেলো সকল আশা, উচ্চাশা যায় ভেসে,
বড় হওয়ার স্বপ্ন গুঁড়িয়ে উদাস দৃষ্টি ভাসে।
দুষতে থাকে ভাগ্যেরে, মানে বিধাতার অভিশাপ,
বাবার সম্মান বজায় রাখতে সংসার মাঝে ঝাঁপ।
অপরিসীম গঞ্জনা বাড়ে কয়েক বছর পরে,
চেষ্টা করেও সন্তান যখন এলো না কোলটি জুড়ে।
উঠতে বসতে প্রতি পদক্ষেপে তীক্ষ্ণ মুখের বুলি,
ভালো ঘরের তকমার 'পরে পিচ কালো রং তুলি।
ডাক্তারি যত পরীক্ষার ফলে ছেলের অক্ষমতা,
মেয়ে মানুষের কপাল দোষে ভাগ্যের রসিকতা।
দেখা তো যায় না, মনের বেদনা, কান্না গুমরে ওঠে,
নিজ সংসারে, মঙ্গল তরে, শুকনো হাসি ঠোঁটে।
একচোখো এই সমাজ দেখে নারীর যতেক দোষ,
পরিবর্তনের চেষ্টার মাঝেও কমছে না আক্রোশ।
