ভালোবাসলি কেন ওরে মন!
ভালোবাসলি কেন ওরে মন!
আজ কষ্টেরা দলাপাকিয়ে
কথা করেছে রুদ্ধ,
মন পাখি দম বন্ধ হওয়ার যন্ত্রণায়
করছে ছটফট,
সে চায় মুক্তি!
নিতে চায় শান্তির নিঃশ্বাস!
গগনভেদী চিৎকার করে প্রশ্ন
করতে চাই একটাই
ভালোবাসলি কেন ওরে মন?
ভালোবাসলি কেন?
স্বার্থপরতার কাছে ভালোবাসা
হয়েছে পদলিত,
লাশকাটা ঘরের মত গুমরে
কাঁদে মনের আঘাত যত।
সাজানো স্বপ্নেরা তাসের
ঘরের মত ভেঙ্গে পড়ে,
মন আপমান আর অবহেলার
যন্ত্রণায় দ্বগ্ধে মরে,
ভালোবাসলি কেন ওরে মন??
ভালোবাসলি কেন?
ভালোবাসার আগুনে পোড়ালি
কেন নিজেকে?
ভালোবাসার কদর্যরূপ দেখলি
নিজের চোখে!
অনুভূতিরা আজ একটু একটু
করে হচ্ছে মৃত,
আবেগের বন্যা আর ভাসিয়ে
নিয়ে যায় না অবিরত।
ভালোবাসলি কেন ওরে মন?
ভালোবাসলি কেন??
কোথায় যেন অদৃশ্য এক
বেড়াজাল উঠেছে গড়ে,
ভালোবাসা তাই আজ হেরে যাচ্ছে
স্বার্থপরতা উঠছে বেড়ে।
আমার একার আকাশ আজ মন
খারাপের কলো মেঘে গেছে ঢেকে,
উজ্জ্বল রবি বিদায় নিয়েছে নীরবে।
অবুঝ মন দিকভ্রান্তের মত ছুটে
চলে ভালোবাসার পিছু পিছু,
এত আঘাত সহ্য করেও মন
বুঝতে চায়না কিছুই!
ভালোবাসলি কেন ওরে মন?
ভালোবাসলি কেন??
মনকে যে বন্দী করে রাখা বড় দায়!
সে যে নিজ পথে চলে নিজের মত,
তাকে কি করে বোঝাই!
সে যে শোনেনা কোন মানা!
মায়াজালে জড়িয়ে ফেলে নিজেকে,
হৃদয় গভীর ক্ষততে হয় ভরা,
কষ্টেরা হয় নিত্যসঙ্গী,
আর ভালোবাসার ছলনা ভরা আগুনে
পুড়তে থাকে বন্ধনের শক্ত গাঁটছরা।
ভালোবাসলি কেন ওরে মন?
ভালোবাসলি কেন?
বেশতো ছিলি নিজের মত একলা,
এই কষ্টের সাথে নিজেকে জড়ালি কেন?
এখন হৃদয়ের ক্ষত গভীর থেকে হবে
আরো গভীর, রক্তক্ষরন হবে অবিরত,
জীবন কষ্ট আর যন্ত্রণায় হবে জর্জরিত।
নিঃস্বার্থ ভালোবাসার অবদান হিসাবে
এটাই সঠিক প্রাপ্য।
তাই বারবার প্রশ্ন করতে ইচ্ছে
করে একটাই
ভালোবাসলি কেন ওরে মন
ভালোবাসলি কেন

