বেলাশেষে পেনিনসুলা
বেলাশেষে পেনিনসুলা


বহু পথ হেঁটেছি আমি, পেয়েছি বার্ধক্যের বেশ কিছু নুড়ি পাথর
শ্যাওলা পড়েছে, অথচ চকককে তবু মাননীয় রোচিষ্ণু
মৌজায় বিহান হয়েছে বটে, শহর গোত্রে মৌতাত
তোমার চোখে জোনাকি উপভোগ্য, আমার চোখে রাতের সূর্য !
নিচে পোঁতা মৌর্বী আজ মৌরুসী
মোকাম মূল্যহীন, নদীর বুকে কলম বন্ধ
হৃদাকাশ শুধুই উজান-ভাটি দেনা-পাওনা শীত-গ্রীষ্ম
গললগ্ন তেরছা চাঁদ কখনো বিদূর কখনো বয়স্য !
মাটির চামড়ার ভাঁজ পরেছে তোমার উল্লাসে
ট্রাম লাইন শুয়ে তো আছে, ব্যবহৃত হয়েছে
এই কবিতাও পৌঁছোবেনা ডাকবাক্সে, লোহার তালা আছে
সুবিধাবাদীরাও আজ কার্নিশে পিরামিড বাক্স যন্ত্রের মাথায় কন্ডোম আর মুখে নিয়ে কলম...
শেষের পথ আমাকেই খুঁড়ে খুঁড়ে মস্ত দেশ আজকাল দেখিয়েছে
কিন্তু ফুলহীন বাগানের মাটিতে জোনাকি আজও একটাই পৃথিবী খোঁজে ! সূর্যগ্রহণ হয় !
যে পৃথিবীতে মানুষ বাস করে
যে মানুষ নুড়ি কে নুড়ি, নদী কে নদী বলেই ভাবে...
এ আমার অঞ্জলি সেই প্রকৃত সূর্যের পায়ে
যে সূর্যে স্নাত ইন্দু, যে আলোতে জীবন বাঁচে !
আমার মৃত্যুর শেষে অনেক গুলো অমাবস্যা আসবে
পূর্ণিমার চাঁদে কবিতা নবযৌবন পাবে
সমস্ত বিশ্ব ফুল খুঁজতে বাগানের পথে হাঁটবে
জোনাকি টা তখনো একটা পৃথিবীতেই থাকবে...