বাসের অপু-দূর্গা
বাসের অপু-দূর্গা


রেডিও আর ভাঙা রেডিও,
কাটায় একসাথে দিন রাত।
ছেলেটির বয়েস হবে তিন,
মেয়েটি ছয় কিংবা সাত।
কন্ডাক্টর থেকে বাস প্যাসেঞ্জার,
ওড়াচ্ছি খিল্লি ওদের নিয়ে,
পয়সার খোঁজে গাইছে দিদি,
ভাই ও চলছে সঙ্গত দিয়ে।
হেস্টিংস থেকে পার্কসার্কাস,
এসপ্লেনেড থেকে ভবানীপুর
এদের জীবন ছুটছে বাসে
কত উপহাসে ভরপুর।
ভাইটা তো চিল-চিৎকার করে,
দিদির গলায় ও সুর ঠুর নেই।
রেডিও আর ভাঙা রেডিও
নাম দুটো সেই কারণেই।
করুণ মুখে আর্জি জানায়,
কিছু পয়সা দিন না কাকা!
আমরা ইচ্ছে হলে ওদের হাতে
কেউ গুঁজে দেই দু-এক টাকা।
p>
সজলবাবু আমাদের মতন,
যাই এক বাসে একসাথে।
আজ তবে উনি ঘুরতে যাচ্ছেন,
বউ আর ছেলের সাথে।
রেডিও আর ভাঙা রেডিও
আজকেও আবার উঠলো বাসে।
ওরা গান গেয়ে ফের আর্জি জানায়
সজল বাবুর কানের পাশে।
সজল বাবুর ছোট্ট ছেলে
বয়স তিন কিংবা চারের ঘরে।
ভাঙা রেডিও কে বন্ধু ভাবে,
একই সাথে গানটা ধরে।
সজল বাবুর এক শাসানি
চ' ফোট, নইলে দেব পুতে।
তার ছোট্ট ছেলে হাতটা বাড়ায়,
ভাঙা রেডিও কে পায় না ছুঁতে।
নাই বা লাগলো হাতের ছোঁয়া
কি-ই বা তাতে এসে গেল!
উপহাস ভরা জীবন খানায়
অপু-দূর্গা তো বন্ধু পেলো।