ঝগড়া
ঝগড়া
সেদিন সেকি ঝগড়া মশাই,
সূয্যি মামা আর চন্দ্র মামায়।
ঝগড়া না ঠিক,ঝগড়া না ঠিক,
সে যে পৌঁছেছিল এক দাঙ্গামায়।
সূর্য বলে, ওহে চন্দ্র ভায়া,
দেখেছো আমি কত বড়!
চন্দ্র বলে তাতে হয়েছে টা কি!
এক-ই আকাশে তো স্থান আমার-ও!
ঠিক ই ছিল। এই সময় চাঁদ টা আবার বেড়ে পাকামো মেরে সূর্যের পাঙ্গা নিতে গেলো।
আমায় নিয়ে গান কবিতা
চারিদিকে লোকে লেখে কত!
সূর্য বলে তাও তো লোকের ভিড় জমে না
দেখতে চন্দ্রোদয় বা চন্দ্রাস্ত।
বৃষ্টি হলে বা মেঘ এলে
মাঝেমধ্যে ছুটি নিলে
লোকে সারাদিন ওয়েট করে
আমি কখন উঠবো বলে।
নিয়ম করে তুই যখন
নিস ছুটি মাঝেমাঝে,
কে ওয়েট করে তোর জন্য!
অমাবস্যার কালো সাঁঝে।
এই বলে সূর্য খ্যাকখ্যাক করে হাসতে লাগলো। চাঁদ ই বা মানবে কেন বলুন তো!চাঁদ ও হাতা গুটিয়ে তেড়ে এলো।
ছাতা টুপি ইউজ করে
তোর থেকে বাঁচতে লোকে
কত লোক তো অসুস্থ হয়
তোর জন্য সান- স্ট্রোকে।
লোকে দরজা জানলা বন্ধ করে
তুই দুপুরে আসিস বলে,
শেষে রাতে যখন আসি আমি
লোকে দরজা জানালা আবার খোলে।
সূর্য বলে থাম রে,থাম।
আমার ক্রাশ , সূর্যমুখী,আমার দিকে
মিষ্টি মুখে দুস্টু চোখে
সারাটা দিন তাকিয়ে থাকে।
ঝগড়া প্রচন্ড চড়ে গ্যাছে তখন।এ এই মারে কি ও সেই মারে।চাঁদ তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে বলে
সূর্যমুখী ক্রাশ নাকি তোর,
লজিক খানি বোকাবোকা,
আমার কাছে আছে রানী
নাম চন্দ্রমল্লিকা।
এমন সময় এই ঝগড়া দেখে বাইরের গ্রহ উপগ্রহ গুলো হো হো করে হাসতে শুরু করে।
চাঁদ আর সূর্য সেসব দেখে মুচকি হেসে হাতে হাত রেখে বলে,
এক বাসা তে থাকতে গেলে
লাগে একটু ঠোকাঠুকি,
তবে লোকে আমাদের ভালোবাসে,
এতে আমরা খুবই সুখী।
আর এটা ঝগড়া নয় রে
এটা আমাদের খুনসুটি।
এসব দেখে মজা নিচ্ছিস!
কে রে তোরা চুনোপুঁটি!