অশোক
অশোক
আমি তো মেনকা নই তুমিও নও উমা,
হয়তো কারো কারো তুমি মা, অথবা দিদিমা।
নাম তো তোমার এখনো আমি জানি না,
হয়তো শেফালী, আরতী কিংবা মলীনা!
নবমী নিশি যে কিছুতেই আর কাটে না।
মন খারাপ হয়, মুঠিতে তেমন কিছুই নেই,
তবু কেন যে একটু আলগা করতে পারিনা।
তুমি তো বেশ চলে গেছ মায়ার বাঁধন কাটিয়ে,
আমার নবমী রাত কাটে যে না ঘুমিয়ে।
রাতেই শুনেছি খবরটা তাই ভীষন মন খারাপ,
শুধু তাই নয়, মাথায় ছিলো যে ব্যাথা চাপ চাপ।
এপাশ ওপাশ করে রাত তিনটার পরে,
এসেছে আমার চোখে ঘুম ধীরে ধীরে ফিরে।
জানি, মৃত্যু সহজ একটি ছোট্ট ঘটনা এই পৃথিবীতে,
তবু কেন যে চোখে ঝরে জল বুঝিনা কোনোমতে।
এই করোনা বয়ে এনেছে পৃথিবীর যতো অভিশাপ,
যখন তখন যে কেউ হঠাৎ করেই হচ্ছে যে বলি,
শোক, তাপ করবার লোকের আজ ঘটেছে অভাব।
অশোক গাছ নাকি শোক জয় করেছে,
কলিঙ্গ যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে রাজা যুদ্ধ ছেড়েছে।
রাজা অশোক দেশের জনগনের সেবায়,
নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন।
জলসত্র, রাস্তা, পশুপাখিদের জন্যে হাসপাতাল!
তাই মানুষ তাঁর ভালো কাজ আজো মনে রেখেছে।
শুয়ে-বসে শোক করলে তা আরও বেশি চেপে ধরবে,
জন্মানো মানেই এটা স্হির যে মানুষ একদিন মরবে।
মৃত্যুসহ যে কোনো শোক ভুলতে কাজ করা জরুরী,
সব চলে যাবে একদিন আছে যত বিপদ বা মহামারী।