অভিযোজনের সীমা
অভিযোজনের সীমা
ট্রেনের শেষ বগিটা যখন রেলব্রীজ
পার হয়ে যায়, কিংবা যখন সশব্দ
ভুটভুটি,প্রবল বেগে নদীর বুক চিড়ে
চলে যায়,তখন সেই স্তব্ধতার আওয়াজ
শুনেছো?.
আমার মনে হয়,যেন এই স্তব্ধতারও
একটা করুণ অথচ শান্তির আওয়াজ
আছে,যার জন্য প্রতিপল অপেক্ষা করে
থাকে প্রকৃতি....
আমি কখনও চাই না,সেই ক্ষণটাতে
প্রকৃতির কাছে থাকতে।
সেই অনুভবটা থাক শুধু তার
একান্ত আপন.....
তবু আমার হৃদয় ছুঁয়ে যায় সেই
অনুভূতি.....
যেন অস্ফুটে বলে যায়, আর কত,
আর কত বদলাব নিজেকে?
আর কতদিন পরে,করব অভিযোজনের
সীমা পার?....
কেউ কোন উত্তর দেয় না।
শুধু আকাশ ছুঁয়ে থাকা ঐ বহুতল
ইমারতটা,তার দিকে তাকিয়ে
কুটিল ভ্রুকুটি করে যায়.....
আরও একটা ট্রেন, বিদ্রুপের হাসি
হেসে এগিয়ে আসে,সেই স্তব্ধতাকে
খানখান করে দেবার জন্য......