আসল মা
আসল মা
মেয়ে জন্মের পরম প্রাপ্তি তো জানা কথাই মাতৃত্ব,
যদিও এতে আছে অনেক কষ্ট, তবে কথাটা সত্য।
মেয়েবেলাটা কেটে যেতো রান্নাবাটি খেলা করতে,
বড় হয়ে কবে নিজে মা হবে তা ভাবতে ভাবতে।
তবে ব্যতিক্রম বরাবরই ছিলো, আছে ও থাকবে।
আশা ছিল যে, সমাজ ভালো টুকু বেছে নেবে।
আগে বিত্তবান কিছু বাড়িতে রাখা হতো দুধ মা,
অসম্মত হতেন মাতৃদুগ্ধ করাতে পান, আসল মা।
দিন পাল্টেছে,খুব ভালো,মেয়েরা পড়াশোনা শিখছে,
নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারছে, স্বাবলম্বী হচ্ছে।
কিন্তু কারো কারো যে এতে মাথাটাও বিগড়ে যাচ্ছে!
প্রথম অসুবিধে হলো, বিয়েতে আপত্তি, কেন করবে?
কাউকে পছন্দ হলে একসাথে লিভ টুগেদারই যথেষ্ট,
কথায় অথবা আচরণে অনেকেই বুঝিয়ে দেয় স্পষ্ট।
বিয়ে করলেও আরেকটা চিন্তা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে,
সন্তানের জন্ম দেওয়ায় পুরুষ ও প্রকৃতির অবদান,
হওয়া চাই তুলা দন্ডে মেপে একদম সমান সমান।
এখানেও ব্যবসায়িক মনোবৃত্তি কাজ করে, বিধি বাম,
সন্তান যেন ভাজা অথবা কাঁচা, যেমনই হোক বাদাম।
কেন একা বধুটিই করবে তার শরীরে সন্তান ধারণ !
চিন্তা কি? আছে তো এখন মুশকিল আসান, বিজ্ঞান,
সরোগেট পদ্ধতিতে পাল্টানো যায় ভ্রুনের বাসস্থান !
কাগজে কলমে অবশ্য টাকা পয়সার উল্লেখ থাকেনা,
বিনা স্বার্থে এ কাজে উৎসাহ পান সরোগেট মাদার !
আমার তো কথাটা মোটেও বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়না।
আসলে মায়ের পেটের থলিও বিকোয় মনে হয় !
তা নাহলে, অভাব গিলে খেতে আসে সেই মাতৃহৃদয়।
বাধ্য হয়ে গরীব মাতাটি হাসি বজায় রেখে রাজি হয়,
নাড়ি ছেঁড়া ধন, অপরের হাতে তুলে দিতে বাধ্য হয়।
যদি আসল বাবা-মায়ের ক্ষেত্রে কোনও জটিলতা,
বা শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকে তখন তবু মানা যায়,
কিন্তু যখন দুজনেই সুস্থ, কোনোরকম অসুবিধে নেই,
মা হবার কষ্ট স্বীকার করতে আসল মা রাজি নয় !
অর্থ গর্বে গরবীনী সেই মাকে কি আসল মা মনে হয়?