আঁকা বাঁকা চড়াই
আঁকা বাঁকা চড়াই
সেনা জওয়ানেরা পাহাড়ের পথে পথে,
অতন্দ্র প্রহরী হয়ে পাহরা দিয়ে চলেছে।
বাড়ি, ঘর, ছেলে-মেয়ে-বৌ, বাবা-মা, অথবা___
নিজেকেও যেন আজ তারা ভুলেছে।
দেশমাতার পায়ে জীবন যৌবন দিয়ে দিয়েছে।
বরফের হিমে অতি ঠান্ডায় জমে যেতে চায়,
শরীরের প্রতিটি শোণিত বিন্দু।
জানে এসব কথা দেশের মাটির প্রতিটি কনিকা,
যত আছে তারা সমতলে বা গিরি-মরু হতে সিন্ধু!
দেশমাতা যেন আছে জেগে আছে শোকে মৃয়মাণ,
কখন হানা দেয় কোনো জঙ্গী অথবা তালিবান !
রুখতে তাদের, ভেস্তে দিতে প্ল্যান,
জীবন নিজেদের কুরবান, করে নিঃশেষে দান!
রক্ত করবীর ফুল হয়ে ফোঁটে যেন এক একটি প্রাণ,
ভালোবাসার আশীষ হয়ে অকালেও ঝরে পড়ে,
বন্দিনী সীতার এ যেন এক বিরাট অশোকবাটিকা।
শহীদের তরে ফেলা চলবেনা চোখের জল,
হাসতে হাসতে তারা উৎসর্গ করেছে যে প্রাণ !
বাঁচাতে দেশের মান, হয়েছে বলিদান,
কথাটা ভেবেও পরিবারের আজ মুখ হয় উজ্জ্বল ।
জীবনের এই পথে চড়াই উৎরাই রয়েছে নানা,
গিরি কন্দরে হিংসা রয়েছে হয়তো ঘাপটি মেরে,
সুযোগ বুঝেই তারা দিতেই পারে হানা।
ক্রমান্বয়ে তাই সেনারা দেয় যে পাহারা,
ঘুমোনো তখন তাদের কিছুতেই চলবেনা।
মরুতে হয়তো তৃষায় বুক ফাটে,
শরীর অবসন্ন, হতে পারে আঁখি লাল,
পাহাড়ের ঠান্ডায় জীবন হয়ে পড়ে বেহাল,
কিন্তু সেনারা জানে যে ওরাই দেশবাসীর ঢাল!
সামাল! সামাল! করছে তো ওরাই কামাল !
ওরা জেগে থাকে রাতে, তাই আমরা ঘুমোই নিশ্চিন্তে,
ভারতের নানা প্রান্তের নানা জাতের ছেলেমেয়ে,
সেনা ছাউনিতে ভাই - বোনেদের ব্যাটেলিয়ান যেন,
কাঁধে কাঁধ রেখে লড়াই করে রক্তকরবীরা
ফুঁটে থাকে ভালোবেসে গাছের ডালে একই বৃন্তে!
টুপ করে কেউ যদি হঠাৎ ঝরেও পড়ে,
সময় নেই তাদের সেদিকে ফিরে তাকাবার তরে।
