আহ্বান
আহ্বান


গ্ৰীষ্মের প্রখর উত্তাপ যখন
সহ্য সীমা অতিক্রম করতো,
তখন প্রকৃতির অশ্রুধারা বৃষ্টি রূপে
পৃথিবীতে নেমে আসতো।
ভিজিয়ে দিতে আমার শরীর
এক অপূর্ব মায়াবী গন্ধে,
এমন করেই আনন্দ কলতানে
এক অনন্য ছন্দে ।
জল নিয়ে খেলতে খেলতে
হারিয়ে যেতাম এক জলের দেশে,
রূপকথার রাজ্যে যেতাম আমি
এক রাজপুত্রের বেশে।
তখনই কালো মেঘ হঠাৎ সরে যেত,
আর কাশফুলে ভরে যেত নদীর তীর,
আর আমি আকাশ জুড়ে দেখতে পেতাম
সহস্র কোটি মেঘবালিকার ভীড়।
এমন করেই হঠাৎ রোজ
বদলে যায় ক্যালেন্ডারের পাতা,
দিনগুলো সব অজানা রকেট চড়ে
হতো বেমালুম বেপাত্তা।
এভাবেই কি জানি কেমন করে
শীত চলে আসে,
প্রকৃতি তার শিশির ভরা মায়াবী হাত
বুলিয়ে দিত ঘাসে।
এমন করেই কখন যেন শীত
অচেনা প্যারাস্যুট চড়ে
হারিয়ে যেত অনন্ত অসীম
অজানা যাত্রার তরে।
ফিরে আসত রঙিন বসন্ত
রঙের ঝুলি নিয়ে,
আবার কখন হারিয়ে যেত
ফুল সাজিয়ে দিয়ে।
এভাবেই প্রকৃতি সাজায় পৃথিবী
আপন খেয়াল নিয়ে,
পৃথিবীকে ভরিয়ে দেয়
প্রতিটি রং দিয়ে।
রঙ ভরা সেই প্রকৃতি আজ
অতীত হয়ে আছে ,
বসন্ত তার রঙগুলো সব
ফুরিয়ে হারিয়ে গেছে।
কি জানি আবার আসবে কবে
হারানো দিনগুলি:
তাই, চলো এই পৃথিবীকে আমরা
নতুন করে আবার সাজিয়ে তুলি।