১৪২৮এর বৈশাখ
১৪২৮এর বৈশাখ
বোশেখ মাসেতে শুরু গ্রীষ্মের কাল,
রোদের বিষম রোষে মাটি ফালাফাল।
ঘাম আর ঘামাচি'রা ভরায় শরীর,
তপ্ত হলকা বহে ধূলির প্রাচীর।
খালবিল শুষ্ক, জলহীন কূপ,
চোখেতে আঁধার দেখি, গনগনে ধুপ!
সকাল নটার আগে প্রখর অরুণ,
গরম ঘরের ছাদ, মেঝেতে আগুন।
রাঁধুনির বস্ত্র সপসপে ভিজে,
পানীয় জলের ঘট রাখো গিয়ে ফ্রিজে!
জানালার খসখসে দিতে হয় জল
প্রতি ঘন্টার অন্তরেতে কেবল!
রসালো ফলের সমাহার ভালোমতো,
কাঁঠাল, লিচুর ঝাড়, জাম, বেল তত।
দুক্কুরে যদি বেশি ঘামো বসে বসে,
তরমুজ কামড়াও, ভরপুর রসে!
আম কলা দুধ দিয়ে চিঁড়ে মেখে খেলে,
ভালোই আরাম পাবে গরমের কালে।
বাইরেতে বেরোলে ছাতা নিও সাথে,
নাকটা নাকা'তে ঢেক গেলে রাস্তাতে।
তেতে পুড়ে ফিরে এলে শরবত খাবে,
বেশি গরমেও জ্বর, সাবধানে রবে!
হালখাতা উৎসবে আয়োজন কম,
গ্রীষ্মের সাথে আছে কোভিডের যম!
কভু ভেবে দেখেছো কি, যত ডাক্তার,
পি পি ই পরার থেকে পাবে নাকো পার!
ডোমেরা কেমন করে রাতদিন ধরে
সারে সারে শব দাহে অনলের দ্বারে!
তবু প্রার্থনা করি, বাড়ুক গরম,
নাজেহাল হোক গিয়ে জনসমাগম!
রৌদ্রের দাবদাহে সব পুড়ে ছাই,
হোক আরো বেশি করে সূর্যের খাঁই!
ঠা ঠা গরমের তাপে প্রাণ করে হায়,
তবে যদি বাইরেতে কম লোকে যায়!
অতিমারী যাবে তবে বিদায়ীর দলে,
কাঁটায় কাঁটার শেষ প্রকৃতির কোলে।।
