স্মৃতি ফিরে ফিরে আসে
স্মৃতি ফিরে ফিরে আসে
চরিত্র—২(সম্পূর্ণ পুরুষ বর্জিত)
কথাকলি(মা)
কবিতা (মেয়ে)
বাড়ির দাওয়া,কথাকলি একটা বড় শিঙের চিরুনী নিয়ে মেয়ে কবিতার মাথায় যত্ন করে চিরুনী করছে।এমন সময়-
কবিতাঃ—মা আজকাল তুমি যে কি কর না বুঝতেই পারি না!
কথাকলিঃ—কেন রে ?আমি আবার কি করলাম?
কবিতাঃ—কি করলাম মানে! যেন জেনেও না জানার ভান করছো।সেই যখন থেকে তুমি মাথায় চুল চিরুনী করতে বসেছো তখন থেকেই খেই হারিয়ে কোথায় যেন ডুবে যাচ্ছো কে জানে?
মাঃ-অ্যাঁ,কই নাতো।তুই যে আমায় কি ভাবিস কে জানে!
কবিঃ-কী বললে তুমি কই না'তো!আর আমি তোমাকে কি ভাবি? তুমি না একটা যন্তর গো- সত্যি সত্যিই একটা যন্তর।তা না হলে কেনই'বা এদিকে আমার মাথায় এতোটা ব্যথা লাগছে৷তুমি কি এদিকে একটু ধ্যান দিতে পার না!
কথাকলিঃ~না'রে সোনা,আমার ধ্যান ঠিকই আছে৷তবে—তোর চুল চিরুণী করতে গিয়ে কেন জানিনা আমার শৈশবটা মনে পড়ে যাচ্ছে৷
কবিতাঃ-তোমার আবার ছেলেবেলা ছিল না'কি?আমি তো জানি পুরুষের ছেলেবেলা হয়।তোমার তো মেয়েবেলা হওয়া উচিৎ ছিল।
কথাঃ-সে তুই যাই বলতে পারিস।তবে তোর মতো আমিও মায়ের কাছে মাথাটা এলিয়ে আমার ঘনকালো চুলগুলো বাড়িয়ে দিতাম।জানিস কবিতা - আর আমার মা না খুব পরিপাটি করে বাড়িতে পেশাই ঘানির তেল দিয়ে মাথায় চিরুনী করার পর বিনুনী করে তাতেই লাল ফিতে লাগিয়ে ফুল বানিয়ে দিতো।
এখন তো তোরা মাথায় তেল দিতেই চাস না।এখন তোদের খালি স্যাম্পু আর কন্ডিশনার ব্লিচ আর মেহেন্দী।আমাদের সময় তো এ সবের কোন কিছুই পেতাম না।তবুও আমাদের সেই ঘন কালো চুল তোদের মাথায় দেখতে পাইনি বলে আজ তোর চুল বিনুনী করতে গিয়ে সব মনে পড়ে যাচ্ছে৷আজ আমি মন থেকেই বেশ বুঝতে পারছি,সত্যি সত্যি স্মৃতিরা বারে বারে ফিরে ফিরে আসে৷
