অব্যক্ত
অব্যক্ত
কি?গো-গ্রাসে পড়ে যাচ্ছো তো-!
জানি আমার গল্প তোমাদের ভালো লাগে না তবু কেন যে পড়ে যাও কে জানে!
আমি তো জানি, তোমাদের হার্টথ্রব হতে পারবো না কখনো আর এই চশমা আটা চোখে তেমন জেল্লাও খুঁজে পাইনা যে আমার বদন তোমাদের আকর্ষণ করতে পারে।তাইতো তোমাদের চশমিস কাটুনমার্কা ছেলেটা একটু সবার পেছনেই থাকতে ভালোবাসি।যাতে তোমাদের মধ্যে থেকে কেউ আমায় দেখে টিটিকিরি করতে না পারে।কিন্তু দেখো কি পোড়ার ভাগ্য কোথা থেকে যে এই লেখার নেশা টা পেয়ে বসল আর স্কুলের দেওয়াল পত্রিকায় লেখাটা শুরু করলাম আমি জানি না।তবে পত্রিকার লেখাগুলো পড়ার শেষে তোমাদের আড় চোখে আমার দিকে দেখা আর মুখ টিপে টিপে হাসা আমাকে বুঝিয়ে দেয় আমি শুধুমাত্র তোমাদের চোখে চশমিস নই।আমি একটা বোকার হদ্দ।
লেখা টা পড়তে পড়তে রুমানীর চোখে জল আসে।অর্কটা না আগে এ রকম ছিলো না।ক্লাসে পড়াশোনায় মোটামুটি ভালই ছিল হটাৎ কি কারণে যেন ও অসুস্থ হয়ে প্রথম যেদিন স্কুলে চশমা পরে আসে সেদিন ওকে দেখে রুবেল চশমিস ডাকার পর থেকেই কেন যেন আলাদা হয়ে যায়।ও আর আগের মতো সবার সঙ্গে মেশে না।বরং সবার থেকে আলদা থাকে আর নিজেকে নিয়ে যে এমন ভাবতে পারে সে ধারণাটা মনেই আনতে পারে নি রুমানী।অথচ তারা অর্ককে সাপোর্ট করতে একটু মিচকি হাসির ফোয়ারা ছোটায়।যাতে ছেলেটা খুশি হয় তার জন্য।অথচ সেটা কে ও যে অর্ক উপহাস বলে মনে ভাবতে পারে আজ ওর লেখাটা না পড়লে হয়তো কোন দিন জানা হোত না।লেখাটা পড়তে গিয়ে ওর মনের গভীরের ক্ষতে কত জমাট বাঁধা ব্যথা জানতে পারে রুমানী।সেই শৈশব থেকে রুমানীর অর্কর প্রতি একটা আলাদা টান ছিলো সেটা যে এখন তার কাছে ভালবাসার অনুরাগে পরিনত অর্ককে বোঝাবে কে।তাই অর্কের অনুযোগে রুমানীর চোখে জল আসে আর সে মনে মনে স্থির করে নেয় কাল স্কুলে গিয়ে সে অর্ক কে কাছে ডেকে তার ভুল ভাঙিয়ে অর্ককে তার হৃদয়ে লুকিয়ে থাকা ভালবাসার কথা জানাবে।কথাটা ভেবে সে রাত্রিতে ঘুমিয়ে পড়ে রুমানী।পরের দিন যথারীতি স্কুলে পৌঁছে সে অর্কর খোঁজ করতে থাকে।তখন সহপাঠী রা তাকে অর্কের কাছে নিয়ে যায়।সদ্যযুবতী রুমানী অর্ক কে দেখা মাত্র কাঁপতে থাকে।আর সর্বাঙ্গ যেন শিথিলতায় পেয়ে বসেছে।আর সে সেখানে থাকতে পারলো না।তার সমস্ত বক্তব্য অব্যক্ত হয়ে রইল।