সেই রাতে
সেই রাতে
কোনো এক গাঁঁয়ে এক গরিব পরিবার বাস করতো, পরিবারে ছিল মা আর তার তিন সন্তান, তিন টিই কন্যা সন্তান আর বৃদ্ধ শশুর. বৌয়টার বর থাকতো শহরে. মাসে একবার করে আসতো. বৌটার বাপের বাড়ি ছিল দুটো গাঁর পরের গাঁ. একরাতের কথা, ভারি বৃষটি বাইরে, রাতের খাবার খেয়ে মহিলা তার তিন মেয়েদের নিয়ে শূতে গেল, চারিদিকে তখন বৃষ্টি পরার আওয়াজ, গভীর রাত তখন চারিদিক নিস্তব্ধ, হঠাৎ কে যেন কাঠের দরজায় টোকা মারছে, মহিলা প্রথমটা বুঝতে পারে নি, কিন্তু খানিকক্ষণ পরে আবার কেউ যেন দরজা টাতে আঘাত করছে, শেষে বিরক্ত হয়ে দরজা টা খুলে দেখে যে তার বর বৃষ্টি তে ভিজে দাঁড়িয়ে ছিল, মহিলা চমকে ওঠে জিগ্যেস করলো তাকে যে " তুমি এতো রাতে, কোনো খবর না দিয়ে, শরীর খারাপ নাকি?" বর বলল যে সে খুব দুর্বল, রাতটা কাটিয়ে কাল ভোরে শহরে রওনা দিবে, মহিলা তার বর কে ছোট্ট মেয়ের পাশে শুতে, সে যথারীতি তাই করলো, ঘরের আলো নিভিয়ে দিয়ে শুতে গেল, মাঝরাত চারিদিক নিস্তব্ধ, হঠাৎ এক অদ্ভুত শব্দে মহিলার চোখ খুলে যায়, একটা শক্ত কিছু চিবানোর শব্দ শুনতে পেল সে যেখানে তার ছোট্ট মেয়েটা শুয়ে আছে, আর শব্দ টা আরও বারছে, মহিলা ভয় পেয়ে গেছিল, পরে সাহস করে সে তার বড়ো মেয়েকে আসতে করে জাগিয়ে তার কানে বললো যে সে তার মেজো বোন কে আসতে করে জাগিয়ে তাকে কাদতে বলে, বড়ো মেয়ে তাই করলো, মহিলার মেজো মেয়ে উঠে কাদতে লাগল, মহিলা জেগে উঠল আর জিজ্ঞেস করাতে সে বলল যে তার পেটে ভীষণ ব্যাথা হচছে, মহিলা তাকে কাধে নিয়ে ঘরের বাইরে চলে এল আর তার পিছনে বড় মেয়েও বেরিয়ে এল, তার পর কোনো দিকে না তাকিয়ে দৌড়, পথে বড়ো মেয়ে জিজ্ঞেস করল যে সে কেন ছোট বোন কে সাথে নিলোনা,উত্তরে সে বলল যে সে আর জীবিত নেই।