সেই থেকে!
সেই থেকে!
রবিবারের সকাল, তাই একটু দেরিতে ওঠা হলো. সকালের নাস্তা সেরে বাজারে এলাম, ভাবলাম আজ কষা করে মুরগির ঝোল দিয়ে দু বেলার খাবার টা সারা হোক. কিছু সবজি নিলাম, বললাম " কিগো আজ কি সবজি এনেছো?" সে বলল সবরকম সবজি আপনি পাবেন, কি কি লাগবে আমার, আমি সবজি কেনার পর মাছের বাজারে গেলাম, রবিবার হওয়াতে ভীড় টা অন্য দিনের চেয়ে বেশি, এদিকে আমাকে প্রায় লোকই চেনে. হঠাৎ দেখি এক বৃদধা আমার দিকে এগিয়ে এসে আমার হাত টা ধরে হাসতে হাসতে বলে আমি কেমন আছি জানতে চায়, আমি প্রথম টাতে ঘাবড়ে গেছিলাম, তার পরে সে বৃদ্ধা নিজের পরিচয় দিল, আমি অবাক হলাম তাকে দেখে, সে আমার পরিবারের সদস্যদের খবর জানতে চাইলে আমি তাকে বললাম, আমি ও তার খবর নিলাম, জানতে চাইলাম যে সে এতদিন কোথায় ছিল, কি করছিল, সে আর আমাকে বিশেষ কিছু বললো না, সে আমায় হাসি মুখে বিদায় জানিয়ে চলে গেল, আমার মুখ দিয়ে আর একটা কথা ও বেরলনা. আমার চোখ দুটো শুধু জলে ভরে গেল. সে আর কেউ নয় আমার পিসি, মলিন কাপড় আর রুগ্ন শরীর তাকে যেন চেনা গেল না. আমার মনে হচ্ছিল যেন মাটিতে লুটিয়ে পড়তে. তার পরিবার আর তাকে দেখে না. তিনি খুব উচ্চ শিক্ষিত, পতির মৃত্যুর পর তিনি একলা হয়ে গেছিলেন, সেই সুযোগে তার সমস্ত সম্পওতী তার একমাত্র ছেলে আর বউ নিজেদের নামে লিখিয়ে নিয়ে তাকি বাড়ি থেকে বের করে দেয়. উনি খুব জেদী তাই আর আমার কাছে আসেনি.