ধর্ম
ধর্ম


রোজ চেনা রাস্তা টা দিয়ে অফিস যাই, এখন প্রায় সকলের সাথে পরিচয় হয়ে গেছে। সকালের খাবারটা সারি বাবলু দার দোকানের গরম ঘুগনি আর পাউরুটি দিয়ে। আজ ও তার ব্যতিএম হয়নি। আজকে ও সেই একই রাস্তা দিয়ে যাই অফিসের দিকে। দেখি এক বৃদ্ধ একা পথের ধারে বসে আছে । তাকে এরিয়ে এগিয়ে গেলাম। আজ অফিসে ব্যসত তাটা কম ছিল, তাই আজ একটু আগেই বেরিয়ে এলাম। ফেরার পথে সেই বৃদ্ধকে দেখি বসে থাকতে। এখন প্রতিদিনই দেখি তাকে পথে বসে থাকতে। রুখখ আর রুগ্ন মলিন শরীর। দেখেকেমন যেন মায়া হল। ভাবলাম পাগল হলে যদি তেরে আসে। একটু সাহস করে এগিয়ে তার কাছে গিয়ে বললাম, আপনি কোথায় থাকেন, কি নাম ? বৃদ্ধ প্রথম টায় কোন উওর দিল না।আবার তাকে জিজ্ঞেস করলাম সেই একই প্রশন, সে আমার দিকে তাকিয়ে ইংলিশে বললো যে তার নাম হল মিঃ অমল মিএ। আমি অবাক হলাম, তার পর অনেক কিছু জিজ্ঞেস করলাম তাকে, সে ও আমাকে যথারীতি উওর দিতে লাগল।পরে আমার একবার ও মনে হল না আমার অসবাভাবিক বলে। কিন্তু তার সাথে কথা বলতে বলতে আমার যেন একটু জানি বলে মনে হল। তাকে তার কাজের ব্যাপারে প্রশন করাতে, তিনি উওরে বলেন,তিনি এক সময়ে লালনপুরের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কাজ করতেন। গত দশ বছর হল, তিনি বেকার, চোখে কম দেখতে পান এখন। শরীর খারাপ হয়, দীর্ঘ পঁয়ত্রিশ বৎসর শিক্ষকতা করে কাটিয়েছেন, এখন আর শরীর সাথ দেয়না। পরিবারের লোকজন আর তার প্রতি খেয়াল রাখেন না।প্রতিদিন অমানবিক নির্যাতন চলত,তাই অভিমানে গৃহ ত্যাগ করেছেন। আমার দুই চোখেখ তখন জল।আমার পরিচয় করিয়ে তাকে জানালাম যে, এক সময়ে আমার শিক্ষা সেই লালপুরের সকুল থেকে ই হয়ে ছিল আর তিনি আমার প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তিনি আমাকে চিনতে পারলেন না। তিনি আমার কাছে খমা চাই লেন আমাকে চিনতে না পারার জন্য।আমি আর কিছু না বলে তাকে সঙ্গে করে আমার বাড়ি তে নিয়ে এলাম, আমার ছাত্র হওয়ার দায়িত্ব পালনের জন্য। অবাক ও হলাম আর নিজেকে ধন্য বলে মনে করলাম।