সব গল্প লেখা হয় না
সব গল্প লেখা হয় না


"... আস্তে করে একটা চাপা শব্দ হল দরজায়। চমকে উঠলো জোনাকি।..."
এমন সময় প্রসূন চেঁচিয়ে উঠলো - "পম্পা মাছের ব্যাগটা কোথায়? আর বাজারের ফর্দটা হোয়াটসঅ্যাপে দিয়েছ?"
পম্পার সাত বছরের ছেলে অর্ক মনে করিয়ে দিল - "মা আজ কিন্তু বিকেলে চিকেন সামোসা করে দেবে, প্রমিস করেছ। "
- "হ্যাঁ হ্যাঁ "
- "আরে এসো না এদিকে। পড়ে লিখো ওই সব ছাইপাশ। ব্যাগটা পাইনি এখনো।"
- "ছাইপাশ?"
- "নয় তো কি? এই সব সাবস্ট্যান্ডার্ড বাংলা লেখা কারা পড়ে কে জানে?"
-"বাঃ। কি সুন্দর কথা। আমার কথা বাদ দাও। তুমি শেষ কবে কোন বাংলা বইটা পড়েছ শুনি?"
" আমার অত সময় নেই ডার্লিং।"
" তা না পড়েই কি করে বুঝলে যে সব ছাইপাশ?"
জবাবে প্রসূন কিছু একটা বলতে যাচ্ছিল ঠিক তখনই সশব্দে বেজে উঠলো পম্পার বেআক্কেলে ফোনটা।
-"হ্যালো"
-"ঝর্না বলছি বৌদি। আজ যাব না। ছেলের কাল রেত থেকে খুব জ্বর। ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছি।"
"আচ্ছা"
তারপর ঝড়ের গতিতে সংসারের যাবতীয় কাজ সেরে আবার লিখতে বসলো পম্পা মানে পলাশপ্রিয়া লাহিড়ী। একসময়ের তুখোড় আইটি প্রফেশনাল। মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকাকালীন শখেই শুরু করেছিল লেখালিখি। তারপর সেই লেখার টানেই সাহস করে একসময় ছেড়ে দেয় চাকরিটা। একটা দুটো করে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লিখতে লিখতে আজ সে মোটামুটি প্রতিষ্ঠিত লেখিকা।
আগামী দিনে এরকম আরো অনেক গল্পই হয়ত মনি মুক্তোর মত ঝরে পরবে পলাশপ্রিয়ার লেখনীতে ভর করে। কিন্তু অনেক লেখার ভিড়ে কোনো দিন হয়তো বলা হবে না লেখিকার নিজের জীবনের গল্পটা।