The Stamp Paper Scam, Real Story by Jayant Tinaikar, on Telgi's takedown & unveiling the scam of ₹30,000 Cr. READ NOW
The Stamp Paper Scam, Real Story by Jayant Tinaikar, on Telgi's takedown & unveiling the scam of ₹30,000 Cr. READ NOW

Indrani Bhattacharyya

Children Stories Classics Fantasy

4.3  

Indrani Bhattacharyya

Children Stories Classics Fantasy

সাত রাজার ধন

সাত রাজার ধন

8 mins
1.2K



পিকলু- 'মা একটা গল্প বলো না !'

মা- 'আচ্ছা বলছি। বনে ছিল একটা বাঘ। সে ছিল ভারী দুষ্টু।....'

পিকলু- 'না, এটা শুনবো না ।'

মা- 'তাহলে এটা শোন। এক যে ছিল রাজা। তার ছিল...'

পিকলু- 'না এটাও শুনবো না। আগে বলেছ। অন্য কিছু বলো।'

মা- 'তাহলে গোপাল ভাঁড় কিংবা পাগলা দাশুর গল্প বলি?'

পিকলু- ' এ মা ! সেগুলো তো বইতেই আছে। সব পড়া আমার।'

মা- 'কি জ্বালাতন। রোজ রোজ নতুন গল্প পাই কোথা থেকে ? '

পিকলু-' সত্যিই তো চিন্তার বিষয়। তুমি বরং বাবাকে বলে বারান্দায় একটা নটে গাছ এনে লাগাও। '

মা-'তাতে কি হবে?'

পিকলু-' কেন, তুমিই তো বলো, আমার গল্প ফুরোলো , নটে গাছটি মুড়োলো । তার মানে নটে গাছে যতক্ষণ পাতা থাকবে তুমিও ততক্ষণ গল্প বলতে পারবে। ব্যাস, হয়ে গেলো মুস্কিল আসান।'

মা-'তাই বুঝি? তাহলে শোন একটা মজার ঘটনা বলি।

কাল রাতে স্বপ্নে লালপরী আর নীলপরী আমার সাথে গল্প করতে এসেছিল। অনেক কথা হলো সারা রাত ধরে ওদের সাথে। আজ তোকে সেই গল্পই বরং বলবো।'

পিকলু - ' নিশ্চয়ই খুব মজা করেছো তোমরা? ইস, আমার সাথে দেখা হলো না তো! পরের বার এলে বলো যেনো আমার সাথেও স্বপ্নে একবার দেখা করে যায়। জানো তো মা এর আগেরবার যখন এসেছিল ওরা তখন আমাকে কথা দিয়ে গিয়েছিল আমার জন্য পরীদের দেশ থেকে হীরে মানিক দিয়ে সাজানো সোনায় মোড়ানো লাল নীল স্বপ্ন এনে দেবে।'

মা- 'আচ্ছা, সে বলবো খনে । এবার গল্পটা শোন দেখি চুপটি করে ।'

পিকলু - ' হ্যাঁ, হ্যাঁ বলো। পুরোটা বলবে কিন্তু ঠিক যেমনটা দেখেছিলে। একটুও বাদ দেবে না। মনে থাকে যেন । '

'বেশ তাই হবে। আগে শুরু তো করতে দে।!'- এই বলে গল্প বলা শুরু করলো পিকলুর মা। 

 ' ব্যাপারটা হলো নীলপরী আর লালপরীদের রাজ্যে নাকি কদিন আগে গোল বেঁধেছিল ভারী। পরীদের রাণীমা ফুল পরী ঠিক করেছিলেন লাল পরী আর নীল পরীর বিয়ে দেবেন আর সেই কারণে একটি স্বয়ম্বর সভারও আয়োজন করেছিলেন। লাল পরী যেমন রূপসী, নীল পরী তেমনি বিদুষী । স্বয়ম্বর সভাতে যোগ্য পাত্রের দাবিদার হিসেবে তাই ভিড় জমিয়েছিল ত্রিলোকের বহু কিন্নর, রাজপুত্র, গন্ধর্ব, সুর ,অসুর। কিন্তু দুই পাত্রীই শর্ত রেখেছিল, আবেদনকারি পাত্রদের তাদেরকে বিয়ে করার জন্য দিতে হবে যোগ্যতার পরীক্ষা। সে পরীক্ষা কিন্তু ভারী কঠিন। দুই পরীকে তিন রাত্রির মধ্যে এনে দিতে হবে সাত রাজার ধন এক মানিক। যে বা যে দুজন প্রথম এনে দিতে পারবে তাদেরকেই তারা বিয়ে করবে।


ব্যাস্! এর পরে তো হুড়োহুড়ি পরে গেলো আবেদনকারীদের মধ্যে। সবাই ভাবতে লাগলো এমন অমূল্য রতন পাবো কোথায়? কেইবা সেই সাত রাজা আর কোথায়ই বা তাদের সেই ভুবনবিখ্যাত ধন। শুধু তাই নয়। সেই ধন দেখতেই বা কেমন? প্রকৃতিই বা কি। এইসব নানা বিষয়ে চলতে লাগলো জোরদার জল্পনা কল্পনা। হুলুস্থুলু কান্ড বেঁধে গেলো স্বর্গ- মর্ত্য -পাতাল জুড়ে। কেউ বা পাতাল ফুঁড়ে এনে হাজির করলেন একখানি মস্ত সুবর্ণ গোলক। আবার কখনো স্বর্গের এক দেব পুরুষ নিয়ে এলেন চোখ ধাঁধানো নাগমণি । মর্ত্যবাসীও বা কম যায় কিসে। পৃথিবীর বিভিন্ন রাজ্য থেকে আগত রাজপুত্রেরা নিজেদের বুদ্ধি খরচ করে বহু অর্থ ব্যয়ে বহু দেশ ঘুরে মূল্যবান সব জিনিস এনে হাজির করতে লাগলেন পরীদের সামনে। তার মধ্যে যেমন ছিল সমুদ্র ছেঁচে তুলে আনা রাজ হাঁসের ডিমের মত ইয়াব্বড় মুক্ত, তেমনই ছিল পল কাঁটা মস্ত হিরে যাকে দেখে নাকি হাসতে ভুলে যাবে সূর্য্য। কেউ এনে দিল সব দেশ ঢুঁড়ে বাছাই করে আনা হাজার ফুলের সৌরভ ভরা আতরদানী, আবার কেউ দিল সোনা রুপোর জড়িতে বোনা চাঁদ তারা গাঁথা দুই খানি চমৎকার উত্তরীয়। গন্ধর্ব লোকের পানিপ্রার্থিরাও এসব ব্যপারে পিছিয়ে পড়ার বান্দা নয় মোটেই। তারা তিন ভুবন চষে, যুদ্ধ জিতে নিয়ে আসলো কল্পলোকের অধীশ্বর আগুনরঙা পাখনা মেলা পক্ষিরাজ ঘোড়া। এরকমই আজব কিসিমের হরেক রকম মূল্যবান উপহারে দুদিনেই ভরে উঠলো পরীদের ছোট্ট রাজ্য। ঠাঁই নাই , ঠাঁই নাই রব উঠলো চারদিকে। যদিও সেসব উপহারের কোনোটিতেই মন ভরলো না দুই পরীর। তারা সব উপহার দেখেশুনে সটান জানিয়ে দিল এর কোনোটিই তাদের ইপ্সিত সাত রাজার ধন এক মানিক নয়। সুতরাং তার অর্থ দাঁড়ালো এই যে পরীদের দেওয়া পরীক্ষায় বলতে গেলে ডাহা ফেল করলো দুনিয়ার সমস্ত বাঘা বাঘা পানিপ্রার্থি।

এদিকে ততক্ষণে কেটে গেছে পরীদের ধার্য করা তিন রাত্রির সময়সীমার মধ্যে দুই রাত্রি। হাতে বাকি পরে আছে সবে মাত্র একটা দিন।সবাই আবার শেষ মুহূর্তে নতুন উদ্যমে কোমর বেঁধে খুঁজতে শুরু করলো সেই মহার্ঘ দ্রব্য।

মর্ত্যলোকে রুদ্রনগড়ের রাজা প্রতাপাদিত্যও ছিলেন আবেদনকারীদের মধ্যে একজন । তিনিও মনে প্রাণে চাইছিলেন পরীদের আকাঙ্খিত জিনিসটি চটজলদি হাজির করে পরীদের ইচ্ছেপূরণ করতে আর সেই সাথে তাদের রূপনগরের মহারানী করে রাখতে। এদিকে একদম সময় নেই আর তার হাতে। সেই কারণে পরীদের রাজ্য থেকে ফিরেই রাজসভায় এই নিয়ে গভীর চিন্তায় মগ্ন ছিলেন রাজা। অবশেষে বুদ্ধি দিলেন প্রধানমন্ত্রী আর সেই পরামর্শ মোতাবেক সমস্যা সমাধানের জন্য রাজসভায় জরুরি ভিত্তিতে তলব করা হলো রাজ্যের সভাকবি চন্দ

চন্দ্রোদয় বিদ্যাবিনোদকে। সবাই এই সিদ্ধান্তে সায় দিয়ে বললো তিনি প্রাজ্ঞ ব্যক্তি। বহু বিষয়ে তার সমুদ্রসম ব্যুৎপত্তি। যদি কিছু সমাধান করার হয় তবে তিনিই পারবেন সঠিক দিশা দেখাতে।


এদিকে সেই সময় সভাকবি সবে মাত্র রাজপ্রাসাদ থেকে নিজের বাড়িতে ফিরে ছেলেকে পড়াতে বসেছিলেন। তাঁর ছেলে বসন্ত ছোটবেলা থেকেই পড়ালেখায় খুব চৌকষ। মহারাজের জরুরি এত্তেলা পেতেই তাড়াতাড়ি করে ছেলেকে বাড়িতে একা না রেখে, তাকে বগলদাবা করে হাজির হলেন রাজদরবারে। রাজা বললেন - 'সভাকবি মহাশয়, ভেবে দেখুন দেখি, বলতে পারেন কিনা কোথায় পাবো সাত রাজার ধন এক মানিক!' সভাকবি মাথা চুলকিয়ে গোঁফ চুমড়িয়ে অনেক ভেবে ভেবেও এই অদ্ভুত প্রশ্নের কোনো সন্তোষজনক কিনারা করতে পারলেন না।শেষমেশ হাল ছেড়ে মহারাজের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে তিনি যখন রাজসভা ত্যাগ করতে যাবেন এমন সময় হঠাৎই সভাকবির ছেলে বসন্ত বলে বসলো - ' আমি জানি উত্তরখানা'। রাজা তাচ্ছিল্যের সুরে বললেন - 'হাতি ঘোড়া গেল তল, ব্যাঙ বলে কত জল! তা বলে ফেলো কি জানো'। রাজার কথায় সুর মিলিয়ে রাজসভার বাকি সভাসদরাও বসন্তের প্রতি বিদ্রুপের হাসিতে ফেঁটে পড়লেন।


রাজা উপেক্ষা কানে না তুলে সভাকবি পুত্র বসন্ত প্রত্যয়ের সঙ্গে বলে উঠলো - ' মহারাজ আপনার প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি হল পৃথিবী'। উত্তরটা শোনার পর ভালো করে মহারাজ চেয়ে দেখলেন বসন্তের দিকে। বসন্তের মুখ চোখে ফুটে ওঠা জ্ঞানের দৃপ্তি চোখ এড়ালোনা রাজার। তিনি এবার একটু ব্যস্ত হয়ে বসন্তকে সুধোলেন -' তুমি সবটা ঠিক মত জেনে বুঝে বলছ তো। '? বসন্ত নিজের উত্তরে অবিচল থেকে আবার একই ভাবে মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানালো। রাজা সেই দেখে আর বসন্তকে অবহেলা করার সাহস দেখালেন না। বানের জলে ভেসে যাওয়া মানুষের মত শেষ খড় কুটো হিসেবে উত্তরখানা সম্বল করে সাথে সাথে রওয়ানা লাগালেন পরীদের রাজ্যে। যাবার আগে সভাস্থলে দাঁড়িয়ে সকলের সামনে বসন্তকে উদ্দেশ্য করে বলে গেলেন -'যদি তোমার উত্তর ঠিক হয় তবে সোনায় মুড়ে দেবো তোমাদের । যা চাইবে সারা জীবন তাই পাবে তোমরা। আর যদি ভুল হয় তবে জেনে রেখো গর্দান যাবে তোমার '। সভাকবি তো ভয়ে আতঙ্কে ছেলেকে খুব বকতে লাগলেন আর তারপর রাজা দেশে ফেরার আগেই সাত তাড়াতাড়ি তল্পিতল্পা গুটিয়ে ছেলেকে নিয়ে দেশান্তরিত হলেন তিনি।

দেখতে দেখতে এসে গেলো পরীদের ধার্য করা সময়সীমার শেষ দিন ।আবেদনকারীরা সবাই শেষ বারের মত চেষ্টা করতে লাগলেন বুদ্ধি আর শক্তির এই পরীক্ষায় জিতে সসম্মানে দুই পরীর সাথে পরিনয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হতে । কিন্তু আগের দুদিনের মতোই একে একে সকলেই প্রায় বিফলমনোরথ হয়ে ফিরে যেতে লাগলেন।

বেশিরভাগ পানিপ্রার্থী যখন ঘরে ফেরার পথ ধরেছেন তখনই এক সময় এগিয়ে গেলেন রুদ্রণগরের তরুণ সুদর্শন রাজা প্রতাপাদিত্য। দুই পরীকে যথাবিহিত সম্মান এবং অভিনন্দন জানিয়ে বললেন - 'উত্তরটা আমি জানি । যদি আজ্ঞা পাই তবে নিবেদন করি এই বেলা'। দুই পরী একে অপরের মুখের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে ব্যাঙ্গের সুরে শুধল - ' শুনি কি উত্তর'। রাজামশাই বললেন- 'সাত রাজার সেই অমূল্য ধনটি হলো পৃথিবী মানে ভূগোলোক'। উত্তর শুনে সাথে সাথে বদলে গেল দুই পরীর চোখ মুখের ভাষা। এক আকাশ রামধনু রং ঝিলমিলিয়ে উঠলো তাদের সোনালী দুই ডানায়। সঙ্গে সঙ্গে সোল্লাসে লাল পরী বলে উঠলো - 'একদম ঠিক, একদম ঠিক'। পরী রাণী ফুল পরীও খুব খুশি হলেন এতক্ষণে সমস্যার সমাধান হওয়াতে। রাজা মশাইয়ের তো আনন্দের কোনো সীমা পরিসীমা রইলো না। মনে হলো এক উত্তরে যেনো তিনি জিতে নিয়েছেন ত্রিভুবন। এমন সময় নীল পরী কি যেন ভেবে হঠাৎ বলে উঠলো - ' মহারাজ আপনাকে অভিনন্দন। বুঝলাম আপনি সঠিক উত্তর দিয়েছেন। কিন্তু এই প্রতিযোগিতায় আপনাকে বিজয়ী বলে মেনে নেব তখনই যদি বুঝি আপনি উত্তরটা নিজের মাথা খাটিয়ে দিয়েছেন। আপনাকে বলতে হবে কেনো পৃথিবীই হবে সাত রাজার ধন এক মানিক?' রাজামশাই এবার প্রমাদ গুনলেন মনে মনে। তাড়াহুড়োতে তো তিনি বসন্তের থেকে ব্যখাটাই জেনে নিতে ভুলে গেছেন বেমালুম । দুই পরী এবার রাজাকে ইতস্তত করতে দেখে চেপে ধরল তাকে। রাজা অবশেষে চাপের মুখে পড়ে বাধ্য হলেন সত্যিটা বলতে।

সবটা শুনে রাজাকে তারা দূর দূর করে তাড়িয়ে দিল পরীদের রাজ্য থেকে। তারপর দৈবশক্তি বলে বসন্তের অবস্থান জেনে পৃথিবী থেকে সসম্মানে আর সমাদরে নিয়ে আসা হলো বসন্ত আর তার বাবা পন্ডিত চন্দ্রোদয় বিদ্যাবিনোদকে।


বসন্ত বললো - ' রাণীমা, সাত রাজার ধন এক মানিকের যখন খোঁজ হচ্ছিল তখনই বুঝেছিলাম যে নিশ্চয়ই তা হবে খুবই মূল্যবান এবং অনন্যসাধারণ আর সেই জিনিসের অধিকারী সাত রাজাকেও হতে হবে যথেষ্ট বড়ো মাপের রাজা। তখনই মনে পড়লো গুরুকুলে শেখা বিদ্যেখানা। গুরুমশায় শিখিয়েছিলেন আমাদের মর্ত্যলোকে সবচেয়ে বড়ো রাজা হলো এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ,উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, অ্যান্টার্কটিকা ও অস্ট্রেলীয়া -এই সাত মহাদেশের রাজা। আর এই সাত মহাদেশকেই ধারণ করে আছেন আমাদের পৃথিবী মা , যা দিয়ে গড়া এই সাত মহাদেশ। তার মানে সসাগরা বসুন্ধরাই হলো সাত রাজার ধন এক মানিক। আর এই পৃথিবীকে সঙ্গে করে না নিয়ে এসে বরং সেই পৃথিবী মায়ের কোলে তোমরা বাস করা শুরু করলেই হাতে পাওয়া হবে সাত রাজার ধন এক মানিক।'

এমন প্রাঞ্জল ব্যাখ্যা শুনে খুব খুশি হল নীল পরী। এমন গোছানো জবাব শুনে হাততালি দিয়ে উঠলো লাল পরীও। কিন্তু মুশকিল হলো অন্য জায়গায়। বসন্ত যে একেবারেই ছোট ছেলে, বিয়ে করার উপযুক্ত বয়স হতে তখনও ঢের দেরি তার। তাই প্রশ্নের উত্তর পেলেও এ যাত্রায় আর বিয়ে করা হলো না পরীদের।

কাল সেই দুঃখের কথাই স্বপ্নে আমাকে বলছিল দুই পরী।'

পিকলু এবার ছোট্ট একটা হাই তুলে পাশ ফিরে শুয়ে বলল - ' বুঝলাম । এবার কিন্তু আরেকটা গল্প বলতে হবে মা । এটা বড্ড ছোট ছিল। শুরু হয়েই শেষ হয়ে গেলো।'

মা বললো চোখ পাকিয়ে- 'ওরে দুষ্টু ছেলে, শিগগির ঘুমো আগে। আর একটাও গল্প নয়।'

পিকলু বাবু তো ঘুমিয়ে পড়ল এরপর। আমারও এখন যাবার সময় হলো।যাবার আগে চুপিচুপি বলে রাখি এই বেলা। বসন্ত বড়ো হলে আবার কিন্তু পরীরা এর থেকেও কঠিন স্বয়ম্বর সভার আয়োজন করবে। তখন তোমরাও যে বড়ো হয়ে যাবে অনেকটা। তাই পরীদের খুশি করতে হলে এখন থেকেই বসন্তের মত মন দিয়ে পড়াশোনা করতে থাকো সকলে। আর কখনো সুযোগ পেলে ঘুরে এসো মেঘের দেশে পরীদের রাজ্য থেকে।




Rate this content
Log in