Ananya Podder

Classics Inspirational

4  

Ananya Podder

Classics Inspirational

রেফ্রিজারেটর

রেফ্রিজারেটর

8 mins
352


অতনু আর অপর্ণা,, দুই ভাইবোন | নিম্নবিত্ত পরিবারে গরীব বাবামায়ের দুই সন্তান | অতনু অপর্ণার চেয়ে দশ মিনিটের বড়ো | দশ মিনিটের সময়ের তারতম্যে পৃথিবীতে আসা দুজনের, কিন্তু মেধাতে যেন কয়েকশো কিলোমিটার এগিয়ে অতনু, অপর্ণার থেকে |

অপর্ণা একটু বড়ো হতেই বুঝেছিলো, ঈশ্বর তার বাবা মায়ের দারিদ্র ঘোচাতে ছেলের মস্তিষ্কেই বুদ্ধি ঢেলেছেন বেশি | মেয়ে, বিয়ে থা করে পরের বাড়ি গিয়ে হেঁসেল সামলাবে, তাই তার মস্তিষ্কে বুদ্ধি একটু কমই ঢেলেছেন ভগবান | ছোটবেলা থেকেই অতনু লেখাপড়ায় তুখোড় ছিল বলে, অপর্ণা নিজের ভাগের পড়ার খরচটাও যতটা পারতো, অতনুকে দিয়ে দিতো | বাবার যৎসামান্য আয়, তার মধ্যে দুটো ছেলেমেয়ের লেখাপড়া চালানো বড়ো কষ্টসাধ্য ছিল ওদের বাবা নৃপেন গাঙ্গুলীর কাছে | তবুও তিনি যতই চেষ্টা করেছেন, দুই ভাইবোনকে সমান ভাবে বড়ো করতে, ততই যেন কম পড়ে গেছে তার সামর্থ্য-এ | তখন ওই, মুশকিলাশান হয়ে এগিয়ে এসেছে অপর্ণা |

অপর্ণার মা জয়া বলতেন, " তোর কী কখনো নিজের জন্য ভাবতে ইচ্ছে করে না অপু ?? "

অপর্ণা হাসতো, বলত, "মা, যে গোরু দুধ দেবে, সেই গরুকেই ঘাস খাওয়ানো ভালো নয় কী ?? আমি তো গাধা মা, গাধার দুধ তো কাজে লাগবে না | তাই, তোমার গরুর জন্যই দানা তুলে রাখো | "

মেয়ের কথায় জয়াও হেসে বলতেন, "শেষে দেখিস, আমার গাধাই আমাকে আগলে রাখবে | "

মা মেয়ে হেসে জড়িয়ে ধরতো দুজনকে | গরীবের ঘর, কিন্তু শান্তি ছিল অনেক | নৃপেনবাবু হলদিয়াতে কাজ করতেন | গড়িয়া থেকে হলদিয়া রোজ যাতায়াত করতেন | তাই সংসারের সবটুকুই সামলাতে হতো জয়াকে | রোজকার বাজার হাট, রান্নাবান্না করতে করতে ক্লান্ত জয়া বলতেন, "আর পারি না রে, রোজকার এই হেঁসেল ঠেলতে | সংসারে যে কবে একটু পয়সা আসবে, একটা ফ্রিজ কিনবো আমি | কবে যে দেখবো সে সুদিন | "

অতনু বইয়ের পাতার থেকে মুখ তুলে বলত, "আর কটা বছর মা, আমি চাকরি পেয়ে গেলে সবার আগে তোমাকে ফ্রিজ কিনে দেবো | "

অপর্ণা চুপ করে থাকতো, কারণ সে জানতো, মাকে এসব বিলাসী জিনিস কিনে দেবার সামর্থ্য অতনুরই আছে, তার নেই |

অপু দেখেছে, প্রত্যেক পুজোতে বাবা মাকে শাড়ী দিতে চাইলেই মা বলত, "যে টাকাটা আমার জন্য খরচ করবে, সেটা বরং আমায় দিয়ে দাও | আমি জমাই সেটা | "

নৃপেন বাবু হেসে বলতেন, "একটা ছাপা শাড়ির দামের টাকা জমিয়ে তুমি কত বছরে একটা ফ্রিজ কিনবে বলো তো ?? "

জয়া আঁচল দিয়ে ঘাম মুছতে মুছতে বলতেন, "আর পারি না গো, রোজ এই বাজার করতে | একটা ফ্রিজ থাকলে একটু বেলার দিকে বাজার গেলে সস্তায় একটু বেশি জিনিসও নিয়ে আসা যায় | সস্তায় মাছ কিনে দুদিন রেখেও খাওয়া যায় | এই গরমে কোথাও গিয়েও শান্তি নেই, মনের মধ্যে আতঙ্ক থাকে, এই বোধহয় তরকারি সব নষ্ট হয়ে গেলো | ফ্রিজ থাকলে তো আর সেই অসুবিধেটা থাকবে না, বলো | তাছাড়া মাঝে সাঝে কেউ এলে আগে থেকে একটু কোল্ড ড্রিংকস এনে রাখা যায় | আমরাও মাঝে সাঝে একটু আধটু ঠান্ডা জল খেতে পারি | "

অপর্ণা বুঝতো, মায়ের ফ্রিজ কেনাটা যতটা প্রয়োজন, তার চেয়েও বেশি শখ | মানুষের তো কত রকমেরই ইচ্ছে থাকে | এই সংসারটাকে তো একা হাতেই সামলে যাচ্ছে মা | তার নিঃশব্দ ত্যাগের মধ্যে এই যে ছোট্ট একটা শখ, এটার মূল্যই বা কম কী!! মনে মনে অপর্ণা ভাবে, "ইস, আমি যদি মাকে একটা ফ্রিজ কিনে দিতে পারতাম !! "

সেই ফ্রিজ কেনার শখের জন্য জয়া লাল রঙের লক্ষ্মীর ঘটে একটু একটু করে সঞ্চয় করতে শুরু করেছিলেন | কত বছরে যে সেই স্বপ্ন পূরণ হবে তা অবশ্য জানা ছিল না কারোরই |

এরই মধ্যে অতনু, অপর্ণা দুজনেই উচ্চমাধ্যমিক পাশ করলো | অতনু যত বয়সে বড়ো হয়েছে, স্বার্থপরতাতেও বড়ো হয়েছে তার চেয়েও বেশি | বোনের দিকে খেয়াল রাখা তো দূর, বাবা মায়ের জন্যও যে সন্তান হিসেবে ভাবতে হয়, সেটাও ভুলে যেতে থাকলো সে | নিজের খাওয়া, পরা নিয়ে মাথা ঘামায় বেশি অতনু, নিজের জগৎ নিয়েই থাকতে ভালোবাসে |

সেই অতনুর যখন ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি হওয়ার সময় এল, তখন ব্যাঙ্ক ব্যালান্স ভেঙ্গেও নৃপেন বাবু পুরো টাকা জোগাড় করতে পারলেন না, কিছু টাকা কম পড়ে গেলো |

তখন অপু এগিয়ে এসে বাবা মাকে বলল, "এক কাজ করা যাক | অতনু এ বছর ভর্তি হয়ে যাক ইঞ্জিনিয়ারিং এ | আমি বরং পরের বছর ভর্তি হবো | পড়ছি তো আর্টস নিয়েই | "

চিন্তিত নৃপেনবাবু বললেন, "এবছরটাতে তো অনার্স পাচ্ছিস | কিন্তু পরের বছর যদি অনার্সটা না পাস, তখন কী হবে ?? "

অপু স্বাভাবিকভাবেই জবাব দিলো, " না হলে, ওপেন ইউনিভার্সিটি তো আছে বাবা, চিন্তা করছো কেন ?? এবছর বরং অতনুর জন্যই সব টাকা খরচ করো তুমি | "

মেয়ের যে বরাবরই খুব উদার মনের, সেটা জানতেন জয়া | সংসারে বাবা মাকে একটু চাপ কম দিতে মেয়ে যে সবসময় তৎপর থাকে সেটা খুব ভালো ভাবেই লক্ষ্য করেছেন তিনি |

তাই তিনি এবার এগিয়ে এসে মেয়েকে বললেন, "অনেক পাকামি করেছো, আর পাকামি করতে হবে না তোমাকে | নিজে কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য তৈরী হও | এলেন আমার দাতা কর্ণ, নিজের কবচকুন্ডল দান করতে !! অতনুর কলেজে ভর্তি হওয়ার চিন্তা আমার আর তোর বাবার, তোর নয় | "

তারপরে সেই পরম যত্নে রাখা লক্ষ্মীর ভান্ডারটা দিলেন আছাড় মেরে | লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে তিলতিল করে জমানো স্বপ্নটা গেলো একমুহূর্তে ভেঙে |

অপর্ণা দৌড়ে এসে বলল, "এটা কী করলে মা তুমি?? তোমার কত দিনের শখ !! আর শখই বা বলি কেন | প্রয়োজনও কী কিছু কম নাকি !! "

জয়া মাটি থেকে টাকাগুলো কুড়িয়ে গুছোতে গুছোতে বললেন, "সময় আর পরিস্থিতির সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনটাও বদলায় রে | এখন তোদের দুজনেরই কলেজে ভর্তি হওয়াটা বেশি প্রয়োজন | "

অপর্ণা দেখেছিল, মায়ের ফ্রিজ কেনার ইচ্ছেটা মায়ের মন থেকে একটু একটু করে দূরে সরে যাচ্ছে | মা আবার রোজ বাজার যাবে, আবার দুবেলা তরকারি গরম করবে, দুধ জাল দেবে, যাতে গরমে দুধ কেটে না যায় | মায়ের হাঁটুর ব্যথা বাড়বে বই কমবে না | কারণ মাকে দুবেলাই রান্নাঘরে কাটাতে হবে |

অতনু চার বছরে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে নয়ডাতে পোস্টিং পেলো | কলেজে পড়তে পড়তেই একটি মেয়ের সাথে ভালোবাসা হয়েছিল | দুজনেরই একই জায়গায় চাকরি হওয়ায় বিয়েটাও সারলো চটপট | নয়ডাতে বাড়ি ভাড়া করে ঘর সাজালো ফ্রিজ, টিভি, ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওভেনে | কারণ, দুজনেই যখন চাকরি করে, তখন এই হোম এপলায়েন্সগুলো সত্যিই খুব প্রয়োজনীয় | তবুও অপর্ণা ভেবেছিলো, "অতনু এতো কিছু কেনার সাথে মায়ের কাঙ্খিত সেই ফ্রিজটাও কিনবে হয়তো | "

কিন্তু অতনু স্বার্থপর | তাই মায়ের ইচ্ছের কথা ভাবলোই না | এখানে অতনুর বৌয়ের কোনো দোষ দেখে না অপর্ণা | যা দোষ সব তার ভাইয়েরই | সেই তার মায়ের কষ্ট, মায়ের অনুভূতি অনুভব করতে পারেনি | কিন্তু অপর্ণারও কিছু করার নেই | সেও এখনও বেকার |

নৃপেনবাবু রিটায়ার হবার আগেই মেয়ের বিয়ে দিলেন এক স্বল্প পুঁজির ব্যবসায়ীর সাথে | তন্ময় ছেলেটি ব্যবহারে, চরিত্রে খুবই ভালো, কিন্তু একটু পয়সা কম | জয়া আপত্তি করেছিলেন, "আমার মেয়েটাও শেষ পর্যন্ত আমার মতোই অভাবেই জীবন কাটিয়ে দেবে | বাবার ঘরেও ত্যাগ করে গেলো, বিয়ের পরে স্বামীর ঘরে গিয়েও কষ্ট করবে !! "

অপর্ণা জানতো, তার গরীব বাবা এর চেয়ে আর ভালো ছেলে খুঁজে পাবেন না | আর অপর্ণা নিজেও যেতে চায়নি কোন বিত্তবানের ঘরে | তন্ময়ের সাথে বিয়ে করে সুখেই ছিল অপর্ণা | বিশাল সচ্ছলতা ছিল না তন্ময়ের, কিন্তু মনটা বড়ো উদার ছিল | বিয়ের পরেও অপুকে প্রচুর সরকারী চাকরির পরীক্ষায় বসার সুযোগও করে দিয়েছিলো তন্ময় |

দিন এভাবেই চলছিল | হঠাৎ করে নৃপেনবাবু মারা গেলেন কোনো রকম নোটিস না দিয়েই | অতনু বাবার শ্রাদ্ধের কাজ করেই আবার ফিরে গেলো নিজের কাজের জগতে | অতনুর বৌ শাশুড়িকে বলেছিল, "মা, আপনি চলুন না আমাদের সাথে | এখানে একা একা থেকে কী করবেন ?? "

জয়া হয়তো চলেও যেতেন, কিন্তু গেলেন না | কারণ, তাকে নিয়ে যাবার ইচ্ছে যতটা তার বৌমার ছিল, ততটা ইচ্ছে তার ছেলের মধ্যে ছিল না | তাই পাশ কাটিয়ে বলেছিলেন, "না মা, বিদেশ বিভূঁইয়ে কাউকে চিনবো না, জানবো না | তোমরাও সারাদিন বাড়ি থাকবে না, আমি হাঁপিয়ে উঠব ওখানে | তার চেয়ে এখানেই থেকে যাই আমি | "

অতনু চলে যাবার পরেও বেশ কিছুদিন স্বামীর ভিটে আগলে পড়ে থাকলেন জয়া | মাঝে মধ্যে অপর্ণা আসতো মায়ের সাথে দেখা করতে | কিন্তু এর মধ্যেই অপর্ণার পি. এস. সি. এর চাকরি হয়ে গেলো | সেও ভীষণ ব্যস্ত হয়ে পড়লো, তারও মায়ের কাছে আসা কমে গেলো |

তখন তন্ময় আর অপর্ণা ঠিক করলো, মাকে নিজেদের কাছে নিয়ে আসবে | কিন্তু দু কামরার ফ্ল্যাটে একটিতে তন্ময়ের মা থাকেন, আরেকটিতে থাকে ওরা স্বামী স্ত্রী | সেখানে জয়া গিয়ে উঠলে অসুবিধে যে হবে সেটা বিলক্ষন |

তাই জয়াই যুক্তি দিলেন মেয়ে জামাইকে, " একটা কাজ করো, এই বাড়িটা বেচে দিয়ে তোমাদের ওখানে একটা ফ্ল্যাট কিনে দাও আমাকে | "

জয়ার কথামতো তন্ময় সব ব্যবস্থা করে দিলো | নতুন ফ্ল্যাটের গৃহপ্রবেশে ছেলে, ছেলেবৌ, মেয়ে সবাই উপস্থিত ছিল | অতনুর বৌ চন্দ্রা বলল, "মা, বলুন, আপনার নতুন ফ্ল্যাটের গৃহপ্রবেশে কী নেবেন আমাদের কাছ থেকে ?? "

জয়া বললেন, "কিচ্ছু লাগবে না, তোমরা সবাই পুজোতে আছো, এটাই খুব আনন্দের | "

গৃহপ্রবেশের আগেরদিন জয়া তার ছেলে বৌকে নিয়ে পুজোর জোগাড় যন্তর করছেন, এমন সময় একটি ছেলে এসে বলল, "এটা কী জয়া গাঙ্গুলীর ফ্ল্যাট?? "

জয়া সম্মতি দিতেই ছেলেটি বলল, "আপনার নামে একটা ফ্রিজ আর ওয়াশিং মেশিন ডেলিভারি আছে | "

জয়া বললেন, "আমার নামে ফ্রিজ ?? কে কিনে পাঠালো বাবু ?? "

ছেলেটি কিছু বলার আগেই সিঁড়ি দিয়ে উঠতে উঠতে অপর্ণা বলল, " তোমার মেয়ে পাঠিয়েছে মা | "

তারপরে ছেলেটিকে বলল, " যাও, ভাই নিয়ে আসো তোমরা জিনিস দুটো | "

জয়া বললেন, "এসবের কী দরকার ছিল অপু?? সবে চাকরি পেয়েছিস | কোথায় নিজের সংসারটা সাজাবি তা নয়, এইখানে এসব পাঠানোর কোনো মানে হয় ?? "

অপর্ণা ঘরে ঢুকে বলে, "জানো চন্দ্রা, মায়ের যে কী ফ্রিজের শখ ছিলো, তুমি ভাবতেও পারবে না | বাজার করা মায়ের কোনো কালেই পছন্দের ছিল না, তবুও মাকে রোজ সেই অপছন্দের কাজটা করতে হতো | বছরের পর বছর নিজের পুজোর শাড়ী স্যাক্রিফাইস করে মা টাকা জমাতো একটা ফ্রিজ কিনবে বলে | কিন্তু সে টাকাও বেরিয়ে গেছে আমাদের দু ভাইবোনকে কলেজে ভর্তি করানোর জন্য |

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ফ্রিজ সত্যিই খুব প্রয়োজনীয় একটা এপলায়েন্স | কিন্তু কখনো কখনো প্রয়োজনটা যে কখন শখে বদলে যায়, সেটা আমরা নিজেরাই জানিনা | আমাদের মা নিজের সেই শখ নষ্ট করেছে আমাদের জন্য | আজ আমাদের ফেরত দেওয়ার পালা | তাই মাকে যেন আর কষ্ট করে রোজ বাজার যেতে না হয়, রোজ বিকেলে নিয়ম করে তরকারি গরম করার জন্য বাড়িতে আটকে বসে থাকতে না হয়, তার ব্যবস্থা করে দিলাম | "

জয়া বললেন, "আর ওয়াশিং মেশিনটা ?? ওটা তো আমার শখ ছিল না !! "

অপর্ণা বলল, " মা, এটা ধরে নাও আমার শখ | আমি চাই না, আমার মা হাঁটু ভাঁজ করে বাথরুমে বসে বসে জামাকাপড় কাঁচুক | "

জয়া বললেন, "জানো তো বৌমা, ভগবান আমার অতনু আর অপুকে যমজ করে পৃথিবীতে পাঠালেও মস্তিষ্কে বুদ্ধি বেশি দিয়েছিলেন আমার ছেলেকে | সেই নিয়ে আমার মেয়ের ক্ষোভও কম ছিল না | কিন্তু অপু কোনোদিন জানতোই না, ভগবান সমান ভাবে ভাগ করে পাঠিয়েছেন | ছেলেকে মস্তিস্ক ভর্তি বুদ্ধি যেমন দিয়েছেন, ঠিক মেয়েকে দিয়েছেন মন ভর্তি অনুভূতি, বোধ আর বিবেক | বুদ্ধির চেয়ে কী এর দাম কিছু কম, বলো?? "

চন্দ্রা বলে, "না মা আপনি ঠিকই বলেছেন, আজও বিবেকের মূল্য বুদ্ধির চেয়ে অনেক বেশি, আর তা অপুদি প্রমাণ করে দিয়েছে | "

এমন সময় ছেলেটি আরও দুটি ছেলের সাথে ফ্রিজটা নিয়ে ঘরে ঢুকলো | জয়া ছুটলেন, জলের বোতলগুলো ভরতে, ফ্রিজে ঢোকাবেন বলে | তার কত দিনের শখ, নিজের ফ্রিজের একটু ঠান্ডা জল খাবেন বলে !!.......

------------------------------------------------------------

সমাপ্ত



Rate this content
Log in

Similar bengali story from Classics