Madhuri Sahana

Drama Others

3  

Madhuri Sahana

Drama Others

ফল্গু

ফল্গু

8 mins
11.6K



তীর্থ আজকে সকালে একটা খুব ভয়ের স্বপ্ন দেখে, ঘুম ভেংগে মা মা করে ডাকে উঠলো। দেবী একটু ছুটেই এলো তীর্থের কাছে মশারী সরিয়ে ছেলের কপালে হাত রেখে কি হয়েছে জিজ্ঞেস করল "কি হলো? স্বপ্ন দেখে ভয় পেয়েছিস?"  তীর্থ পুরোপুরি ঘামে ভিজে গেছে, উঠে বসে জানালো ও পরীক্ষার হলের স্বপ্ন দেখছিল , ঘন্টা পরে গেছে কিন্তু ওর লেখা শেষ হয়নি, স্যার ওর খাতা জমা নিয়ে নিয়েছে । দেবী বুঝতে পারলো পরীক্ষার টেনশনে এরকম হয়েছে। সামনেই তীর্থের মাধ্যমিক পরীক্ষা । তীর্থের বিছানাটা গুছিয়ে দিতে দিতে দেবী বললো চোখেমুখে জল দিয়ে এসে পড়তে বস , পরীক্ষার আগে এই ধরনের সমস্যা প্রায় সব ছাত্র ছাত্রীদের হয় । তীর্থ জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা দেবে। এবার এতো দিন স্কুলের পরীক্ষায় ও সবসময় প্রথম হয়েছে কিন্তু এবার প্রতিযোগিতাটা অন্য রকম।  প্রায় তিরিশ লক্ষ ছাত্র ছাত্রী এবার মাধ্যমিকে বসবে সেখানে নিজের কৃতিত্ব দেখানোর সুযোগ কম , যদিও স্কুলের শিক্ষকদের অনেক উৎসাহ তীর্থকে নিয়ে ।  


দেবী সবিতাকে দরজা খুলে দিতে, রাতের এঁটো বাসন বার করে নিয়ে সবিতা বাসন মাজতে গেল । দেবী গ্যাস জ্বেলে চায়ের জল চড়িয়ে খবরের কাগজ ও দুধের প্যাকেট ডাইনিং টেবিলে রেখে হরলিক্স ও বিস্কুট নিয়ে তীর্থকে দিয়ে এলো । শ্বশুরমশাই ঘুম থেকে উঠে পড়েছেন । আজকাল বাবা ঘরে বসেই চা খান দেবী ওষুধের কৌটো ও জল এগিয়ে দিল । সবিতা কাজ করে চলে গেছে। সকালের রুটি তরকারি টিফিন করেছে । আগের দিনের বাসি খাবার থাকলে সবিতা সেসব নিয়ে যায় । দেবী শ্বশুর আর ছেলেকে রুটি তরকারি খেতে দিয়ে বাজারে যাওয়ার জন্য তৈরি হলো ।‌ তমাল মালদায় পোস্টিং।  রোজ সকালে একবার ফোন করে বাবা ও ছেলের খোঁজ নেয়। দেবীর সাথে কাজের কথা ছাড়া তেমন কথা হয় না । দেবী তীর্থর ঘরে ঢুকে দেখলো তীর্থ পড়েছে । শ্বশুরকে বলে দেবী বাজারে বেরিয়ে পড়ল , রাস্তায় যেদিকে তাকাও মানুষ থিক্ থিক্ করছে দেবী বিরক্ত , একটা রিক্সা করলে একটু শান্তিতে চলা যায় কিন্তু আজকাল রিক্সা ভাড়া বড্ডো বেড়ে গেছে।  আসা যাওয়াতে পঞ্চাশ টাকা লেগে যাবে , দেবী হাঁটতে থাকে ; (NFHS 4) জাতীয় পরিবার স্বাস্থ্য সমীক্ষার পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতের (TFR) টোটাল ফার্টিলিটি রেট সবচাইতে বেশি । 

তীর্থ খুব নার্ভাস হয়ে যাচ্ছে যত পরীক্ষা শুরুর দিন এগিয়ে আসছে দেবী তমালকে কথাটা ফোনে জানিয়েছে কিন্তু তমাল এখন ছুটি নিয়ে আসতে পারবেনা । শ্বশুর মশাই দিন দিন অথর্ব হয়ে পড়ছে । দেবী খুবই বিচলিত ; ভাবছে একবার কোনো কনসালটেন্টকে সব সমস্যার কথা খুলে বলে এডভাইস নেবে । এই সময়ে নিজের একটু শান্ত থাকার দরকার তীর্থকে ঠিক করে বড় করে তুলতে হবে । 


আজকে তীর্থর এডমিটকার্ড আনতে যাওয়ার দিন ; তীর্থর স্কুল বাড়ি থেকে হাঁটা পথ । দেবী ভাবলো তীর্থর সঙ্গে যাবে তাড়াতাড়ি শাড়ি পাল্টে তৈরী হয়ে নিল ।‌ স্কুলের প্রধান শিক্ষক তীর্থকে খুব স্নেহ করেন । এবার স্কুলের প্রাইজ ডিস্ট্রিবিউশন অনুষ্ঠানে একটা বই "আনে ফ্রাঙ্কের ডাইরী " উনি তীর্থকে উপহার দিয়েছিলেন । বইটা দেবী তীর্থকে পড়তে দেয়নি তুলে রেখেছে হলোকাস্ট বুঝতে তীর্থ এখন পারবে না । দেবী কলেজে পড়ার সময় নাৎসি গণহত্যার বিষয়টি পড়েছে হিটলার দুর্ভাগা ইহুদীদের ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে যেতো তারপর সেখান থেকে ডেথ ক্যাম্পে নিয়ে নির্যাতন করে হত্যা করত । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে হাজার খানেক ইহুদী কোনো রকমে প্রাণে বেঁচে যান । 


বাড়িতে রোজ পেপারে খবর দেখে শ্বশুর মশাই বেশ উত্তেজিত হয়ে পড়েন উনি সিপিএম পার্টির সমর্থক ছিলেন যদিও বামজমানার শেষের দিকে বামেদের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছিলেন তবে ওনার রাজনৈতিক আস্থা এখনোও বামঘেষা । বর্তমানে পেপারে রোজ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) আর জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (NRC) নিয়ে যে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে তাতে বাবা বেশ উদ্বিগ্ন সেটা বোঝার যাচ্ছে । দেবী নিজেও খানিকটা চিন্তিত তীর্থ বড় হচ্ছে কয়েক দিন পর কলেজে পড়তে যাবে আর রোজ রোজ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা রাজনৈতিক হিংসার বলি হচ্ছে এটা বড়ই উদ্বেগের কথা । দেবীর মাথায় নানারকম চিন্তা কিলবিল করে নিজের জন্য ভাবার অবকাশ নেই। হাতিবাগনে একটা শাড়ির শোরুমে একটি শ্যাওলা রঙের ঢাকাই শাড়ি খুব ভালো লেগেছিল তমালকে নিয়ে শাড়িটা কেনার খুব ইচ্ছে ছিল ।


কিন্তু এখন আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে দামি শাড়ি পরে যাওয়ার জায়গা নেই শুধু শুধু আলমারি বোঝা করা তার চেয়ে রোজকার পরার মত সিফন শাড়ি বেশ ভালো ধোঁয়াকাঁচার জন্য আলাদা পরিশ্রম করতে হয় না । তীর্থের জামা প্যান্ট দ্রুত ছোট হয়ে যাচ্ছে একবছর আগে কেনা সার্ট প্যান্ট এবার বাদ দিতে হয়েছে । রোজই স্কুলের পরে টিউটোরিয়াল ক্লাসে যেতে হয় তাই ওর জন্য ভালো কিছু সার্ট প্যান্ট কিনে রাখতে হয়েছে । বাবার কিছু পেনসন আর তমালের কিছু পাঠানো টাকা দিয়ে সব খরচ চলছে তাই বাহুল্য টুকু বাদ । বিয়ের প্রথম দশ বছর দেবী তমালকে নিয়ে খুব সুখেই ছিল তারপর আবিষ্কার করে তমালের প্রথম প্রেম ওর জীবনে আবার ফিরে এসেছে ; খুব কষ্ট পেয়েছিল ; তারপর তমাল ট্রান্সফার নিয়ে মালদায় চলে যায় বছরে একবার দু'বার আসে ছেলে আর বাবার প্রতি কর্তব্য করতে আর রোজ একবার ফোন করে কথা বলে । দেবী তীর্থ আর বুড়ো শ্বশুরকে‌ আগলে রয়েছে । দেবী এখন কোন অনুষ্ঠান বাড়িতে যায় না ; আত্মীয় স্বজনদের এড়িয়ে চলে । 

তীর্থ পরীক্ষা ঠিকমতই দিয়েছে আজকে শেষ পরীক্ষা ভূগোল । বাড়িতে ফিরেতে একটু দেরি হয়েছে দেবী রোজই ছেলের সাথে যেত স্কুলের বাইরে একটা মাঠে গাছের নিচে চাদর বিছিয়ে কয়েক জন মহিলার সাথে বসে থাকতো । এবার কয়েক দিন একটু স্বস্তি । বাড়িতে ফিরে টেবিলের উপর একটা আমাজনের প্যাকেট দেখে তীর্থ লাফিয়ে উঠলো দাদুকে জিজ্ঞাসা করলো কখন এসেছে দাদু বললো তিনটের সময় । তমাল ছেলের মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হলে একটা স্মার্ট ফোন দেবে বলেছিল সেটাই এসেছে । তীর্থ ফোন নিয়ে মেতে উঠেছে দেবী বাড়ির ল্যান্ড ফোন ব্যবহার করে মোবাইল এখনও প্রয়োজন হয়নি । 


তীর্থ এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয়ার জন্য তৈরি হবে ও নিয়ে সায়েন্স পড়বে । দেবী তাই বাবার সঙ্গে বসে তীর্থর জন্য প্রাইভেট টিউটরদের টিউশন ফি নিয়ে আলোচনা করছিল এবারে খরচ আরো বাড়বে । তীর্থকে নিয়ে দাদুর অনেক স্বপ্ন তীর্থর কোনো অসুবিধা ওর দাদু হতে দেবেনা সেই ভরসা দেবীর আছে । দেবী নিজের বাবা অনেক দিন আগেই গত হয়েছেন কিন্তু শ্বশুরবাবার প্রতি একটা আস্থা ও ভরসা দেবীকে অনেক স্বস্তিদেয় । দেবীর দুইদাদা একজন পুনেতে আর একজন বিশাখাপত্তনমে থাকে কলকাতায় এলে একটু দেখা করে যায় এই পর্যন্ত । খুড়তূতো পিসতূতো দিদি দাদাদের দেবী এড়িয়ে চলে ওরা মাঝে মাঝে যোগাযোগ করতে চায় কিন্তু দেবী পাস কাটিয়ে যায় । 


কিছুদিন আগে পর্যন্ত বিষ্ণুবাবু চলা ফেরা করতেন , বিকেলে পার্টির অফিসে গিয়ে অনেক সয়ম কাটাতেন বা বাড়ির পিছনের একফালি জমিটুকুতে বেগুনের চারা লঙ্কা চারা কুমড়ো শাক লাগিয়ে তার দেখাশোনা করতেন পোস্ট অফিসের লাইনে দাঁড়িয়ে পেনসন তুলতেন । গতবছর ঠান্ডায় বিষ্ণুবাবুর বুকে কফ জমে ব্রঙ্কাইটিস মতো হয়েছিলো জ্বরে ভুগে খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন তাছাড়া বয়সের একটা ভার রয়েছে । এখন খুব একটা নড়াচড়া করতে পারেন না ঘরের বাইরে খুব বেশি দুর যেতে পারেন না বুকে কষ্ট হয় তাই বাড়ির মধ্যে থাকেন‌ ওনার ঘরে টেলিফোন থাকে কেউ ফোন করলে কথা বলেন । তমাল বিষ্ণুবাবুর একছেলে, তমালের মায়ের মৃত্যু হলে দেবীকে ছেলের বৌ করে বাড়িতে এনেছিলেন । তমাল ,দেবী আর তীর্থ এরাই ওনার জীবন । বিষ্ণুবাবুর এক বোন কসবায় থাকেন বিধবামানুষ মাঝে মাঝে আসেন দাদার সঙ্গে দেখা করতে দেবীকে বৌমা বলেন । পিসিশ্বাশুড়ি বলে একটু দেমাক আছে', মাঝে মাঝে খোঁটা দিয়ে কথা বলেন তবে ছোঁয়াছুয়ির বাতিক তাই খাওয়া দাওয়া করেন না ঘন্টা খানেক কথাবার্তা বলে ফিরে যান । ওনার ছেলে ও ছেলের বৌ দুই জনই রেলে চাকরি করে এবং নাতি নাতনি কনভেন্ট স্কুলে পড়াশোনা করে । ওরা তীর্থকে খুব ভালোবাসে । পিসিমা রাধাগোবিন্দ পূজো করেন প্রত্যেক পূর্ণিমার দিন ভোগ নিবেদন করে পূজো হয়। আগে তমালের সাথে অনেক বার পিসিমার বাড়িতে গেছে দেবী । এবার অনেক দিন যাওয়া হয়নি তমাল বাড়িতে থাকে না তারপর ছেলের পড়াশোনার চাপ বেড়েছে বিষ্ণুবাবু অসুস্থতা এই সব কারনে । শুনেছে পিসিমার কোমর ভেংগে গেছে উনি বিছানায় শয্যাশায়ী । একবার বাড়িতে গিয়ে দেখা করা উচিত কিন্তু দেবী আজকাল এসব লৌকিকতা কে বেশি গুরুত্ব দিতে চায় না তবে পিসিমার ব্যপারে একটু ভাবতেই হবে বিষ্ণুবাবু বোনকে খুবই স্নেহ করেন এতদিন ছেলের পরীক্ষা বলে এড়িয়ে গেছে ।


দেবী পিসিমার বাড়িতে যাওয়ার কথাটা তুললো শ্বশুরের কাছে ঠিক হলো রবিবার একটা উবর বুক করা হবে । আগে কোথাও যেতে হলে ট্যাক্সি করতে হতো এখন এই অ্যাপ ক্যাবগুলোর খুব চল হয়েছে । দেবী ফোন করে ফাল্গুনী বৌদিকে জানিয়ে দিল ওরা রবিবার পিসিমাকে দেখতে যাবে । রবিবার সকালে সাড়ে দশটার সময় ওরা উবর অ্যাপের গাড়িতে করে কসবায় চলে এলো আগে বলা ছিল তাই বড়দা দরজা খুলে মামাকে ধরে গাড়ি থেকে নামালো অন্যান্য বার বড়দা নিজেই গাড়ি ড্রাইভ করে নিজের গাড়িতে করে নিয়ে আসতো । পিসিমা খুবই অসুস্থ ট্রাকশন দিয়ে রাখা হয়েছে একজন নার্স রয়েছে বিষ্ণুবাবুকে দেখে খুব কান্নাকাটি করতে শুরু করেছেন । বিষ্ণুবাবু নীরবে চোখের জল মুছতে লাগলেন । দেবী বিয়ে হয়ে এসে থেকে পিসিমাকেই শ্বাশুড়ি জেনে ছিল নিজের শ্বাশুড়ীকে ছবিতে দেখেছে । দেবী চোখের জল ধরে রাখতে পারলোনা । শেষের দিন গুলো ভীষণ ভয়াবহ বলে মনে হলো ।


বিষ্ণুবাবুর পেনসনের টাকা তুলতে এখন দেবী যায় , এবার পোস্ট অফিসের একজন নতুন স্টাফ এসেছে বেশ অল্প বয়সী সুন্দর দেখতে একটা মেয়ে দেবী টাকা গুনে নেওয়া সময় দেখলো বেশ কিছু টাকা একেবারে ঘীয়ে ভাজা ; ও টাকা গুলো বদলে দিতে বলায় মেয়েটি খুব বিরক্তি প্রকাশ করলো দেবী রেগে গিয়ে পোস্ট মাস্টারকে দুচার কথা বলতে মেয়েটি রীতিমতো দেবীকে অপমান করলো পোস্ট অফিসের অন্য স্টাফরা নিয়মিত আসার যাওয়ার কারণে গ্রাহকদের সঙ্গে পরিচিত হয়ে যায় তারা তখনকার মত ঝামেলাটা মিটিয়ে দিল কিন্তু দেবী বুঝতে পারলো ও একটু বেশি অসহিষ্ণু হয়ে পড়ছে । প্রতিদিনের কাজ গুলো খুবই একঘেয়ে ; তীর্থ বড় হচ্ছে ওকে এবার নিজের মতো চলতে দিতে হবে আর বাবা বৃদ্ধমানুষ । 


আজকে সকালে সবিতা আসেনি ওর গত দুই দিন জ্বর ইনফ্লুয়েঞ্জা কবে আসতে পারবে তাও জানেনা । দেবী ফোনে খবর নিয়ে দেখেছে । সবিতা কাজে না এলে সংসার কেমন যেন অচল হয়ে যায় । সকালটা দুধ কর্নফ্লেক্স দিয়ে চালিয়ে নিয়েছে তীর্থ বললো ভাতটা রান্না করে নিতে যোমাটো অ্যাপে কিছু অর্ডার দিয়ে এনে নেবে । আজকাল এই এক সুবিধা হয়েছে " গিগ ইকনমি " ডিজিটাল ব্যবসা বাড়িতে বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেয়া ডেলিভারি বয় রেটিং ভালো পেলে বুকিং বেশি পায় তাতে তার ইনসেনটিভ বাড়ে ।


তীর্থ সকালে টিভি খুলে রেখেছে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার দিন আজকে ডিক্লেয়ার করবে মধ্যশিক্ষা পরিষদ । বিষ্ণুবাবু ঘর থেকে উঠে এসে চেয়ারে বসেছেন দেবীও কানটা খাঁড়া করে রেখেছে । তমাল আসবে জানিয়েছে ; ছেলের রেজাল্ট বেরনোর সময় ছেলের সঙ্গে থাকতে চায় । 


তীর্থ মাধ্যমিকে ৯৪ শতাংশ নাম্বার পেয়েছে ওদের স্কুলে তীর্থ প্রথম হয়েছে । বাড়িতে আজ খুশির হাট বসেছে তমাল , তীর্থ , বিষ্ণুবাবু কত পরিকল্পনা কত হাসি শুধু দেবীর বুকের ব্যথাটা ভীষণ , চোখটা খুব জ্বলছে ।


 



Rate this content
Log in

Similar bengali story from Drama