ওয়ার্ম হোল - 52 weeks challeng
ওয়ার্ম হোল - 52 weeks challeng


নিয়মিত গল্প লেখার অভ্যেস আমার কোনোদিনই ছিল না। কোনো নামী পত্রিকায় লেখা নিয়মিতভাবে লেখা প্রকাশ করার সৌভাগ্য আমার এখনও হয়ে ওঠে নি। তবু, মনের মধ্যে প্রতিদিনই এক একটা অস্পষ্ট গল্পেরা জন্ম নেয়। কিন্তু তাদের দুর্ভাগ্য এই যে, আমি তাদের গল্পের আকার দিতে অক্ষম।
আকাশের দিকে তাকিয়ে এইসবই আবোল তাবোল ভাবছি এমন সময় পাশে শোয়া অবস্থায় স্ত্রী বলে উঠলো, " আজ বৃষ্টির কারণে ওয়েদার কেমন ঠান্ডা ঠান্ডা। আজ ভালো ঘুম হবে, কি বলো? "
ঘাড় নেড়ে সম্মতি জানালাম। মনে পড়লো, কত পুরানো দিনের কত স্মৃতি, যা কখনও ভুলে যাবার নয়।
তখন হয়ত মাঝরাত। তেষ্টায় গলা ভিজানোর জন্যে উঠে ফ্রীজ খুলে জল বের করে খেলাম। তারপর বাথরুমে গিয়ে প্রস্রাব করে দরজা বন্ধ করে যখন শয্যাগৃহের চৌকাঠে পা রেখেছি, তখন অন্ধকার ভেদ্য এক চকমকে আলো আমার চোখের সামনে ভেসে উঠলো। যে দৃশ্য আমার চোখের সামনে ভেসে উঠলো, সেই দৃশ্য আমার অ
তি পরিচিত।
বিছানার উপর আমি শুয়ে আছি নগ্ন অবস্থায়। আমার ঐ শিশু অবতারের বয়স খুব বেশি হলেও হয়তো হবে তিন মাস!
আমার পাশে বসে আছেন আমার মা। যিনি বর্তমানে জীবিত নন।
মাকে দেখে মনটা প্রফুল্লিত বোধ করলো। বুঝলাম, এ আমি ঘোর স্বপ্ন দেখছি, কিন্তু না। এ কোনো স্বপ্ন ছিল না। এই দৃশ্য ছিল বাস্তবের রূপান্তরিত এক দৃশ্য, যা আমাকে নিয়ে গিয়েছিলো অতীতে।
এই দৃশ্য সুখকর হলেও মনে ভয় জন্মালো। পিছন ফিরে চৌকাঠ পেরোতেই চোখের সামনে আবার অন্ধকার নেমে এলো। আবার বর্তমানের অন্ধকার ফিরে এলাম আমি।
পরের দিন আমার বৈজ্ঞানিক বন্ধুকে গতকালে ঘটে যাওয়া ঘটনার বিবরণ দিতেই সে বলল, " ওয়ার্ম হোল। মহাকাশের এক আশ্চর্য আবিষ্কার। কিছুক্ষণের জন্যে এর পোর্টাল ওপেন হয়, আবার বন্ধও হয়ে যায় আপনা হতেই।"
বুঝলাম, ওয়ার্ম হোলের অস্তিত্ব কাল্পনিক নয়। শতভাগ সত্য।
সমাপ্ত...