মুক্তি
মুক্তি
সুমন ছেলেটা খুব ভালো। অন্তত তার মা এর মত। এসকল কথা শুনে সুমনের সাথে জয়ার বিয়ে দিয়েছিলো জয়ার দিদি। জয়ার বাবা মা বয়স্ক। বড়ো বোনের স্নেহে আদরে মানুষ জয়া কর্পোরেট এ চাকুরীরতা আর ভীষণভাবে স্বাধীনচেতা। একটু সম্মান ভালোবাসা দিয়ে জয়াকে সহজেই খুশি করা যায়। হাসিখুশি মেয়েটা বিয়ের পর পাল্টাতে শুরু করলো। স্বাধীনচেতা মেয়েটাকে মানসিক নির্যাতন দিতে শুরু করলো সুমন। পারোতোপক্ষে নির্যাতন বলে মনে না হলেও জয়া নিজেকে খুবই একা অনুভব করে। বাপেরবাড়ির কোনো লোক কে ফোন করলে নানা কথা শুনতে হয় তাকে। সে নাকি পরিণত হয়নি সব কথা মা দিদির সাথে বলতে হয়। উপরন্তু জয়ার বন্ধু দের সাথে ও মেলা মেশা বন্ধ করিয়ে দেয় সুমন। জয়ার বন্ধুদের সম্বন্ধে নানা মিথ্যেকথা বলতে থাকে জয়া কে। জয়া সেগুলোকে সরল বিশ্বাসএ বিশ্বাস করতে থাকে প্রথম দিকে। কিন্তু সে দেখে যে এটা তার প্রত্যেক বন্ধু নিয়েই হচ্ছে হোয়াটসআপ বা ফেসবুকএ কথা বললেই স্বামীর মুখের পরিবর্তন । ক্রমেই জয়া বুঝতে পারে যে সুমন কর্তব্যপরায়ণ কিন্তু শুধু তার পরিবার এর ক্ষেত্রে যেখানে জয়া পরাধীন। জয়া তার বাড়িতে জানায় এবং ঠিক করে আর সুমন এর সাথে সে থাকবে না। দিনের পর দিন অবিশ্বাস আর অপমানের জ্বালায় সে জ্বলবে না। প্রতিটা মানুষের মতো তারও বাঁচার অধিকার আছে নিজের মতো। সে ভালোবাসার গোলাম পরাধীনতার নয়।