মাষ্টার সাহেব।
মাষ্টার সাহেব।
সকাল না হতেই আমার কাজ শুরু। বাজার করে আনা।আরেকটা বাচ্চাকে বাড়িতে গিয়ে পড়ানো । ফিরে এসে খাবার দাবার খেয়ে তোমাদের বাড়িতে পড়াতে চলে আসে। কথাগুলো বলছিল আমার ছেলের টিউশনি টিচার। বয়স হয়ে গেছে ঠিকই তবে রোজগারের হাত এখনো ছাড়েনি। প্রথমদিন জিজ্ঞেস করেছিলাম
''পড়াতে পারবেন তো আপনি....?
অনেকটা গর্বের সাথে আমাকে উত্তর দিয়েছিল,,
'''নিশ্চয়ই পারবো, নিশ্চয়ই পারব একসময় হাই স্কুলের টিচার ছিলাম আমি, কত ছাত্র-ছাত্রীকে আমি পড়ালেখা শিখিয়েছি। আমাকে দেখলে অনেক শ্রদ্ধা করে.....।
স্ত্রী এবং একজন নাতি নিয়ে তার সংসার। নাতির পড়ালেখার খরচ চালাতে তার এত কিছু করা। ছেলেটা এবার চতুর্থ শ্রেণীতে পরে। মাশরাফ তার নাম । মা বাবা মারা গেছে। তারপর থেকে কষ্টের শিষ্টে কোন রকমে পড়ালেখা করাচ্ছেন তার দাদা। ছেলেটাকে নিয়ে তাদের অনেক আশা ভরসা। মাস্টারসাহেব এর একজনই ছেলে ছিল। সন্তানের অকাল মৃত্যুতে অনেকটাই ভেঙ্গে পড়েছিল তারা । তবে ভেঙে পড়লে কি চলবে। ছেলের বাচ্চাটা কেউ তো মানুষ করতে হবে। এটাই যে তাদের সব থেকে বড় রত্ন। এক সময় ভালো শিক্ষক হিসেবে খুব নাম ছিল তার। তবে বয়স হয়ে গেছে বলে অনেকে পড়াতে নিতে চায় না। তবে আমি লক্ষ্য করেছি ভালোই পড়ায় উনি। তবে কি আর করার মানুষকি আর পুরাতন জিনিসের দাম বুঝে। আমার ছেলে ও উনার পড়া ভাল বুঝে। আমার ছেলের জন্য উনাকে আমার বোন ঠিক করে দিয়েছিল। আমার বোন ওনার ছাত্রী। আমার বোন মাস্টার সাহেব কে অনেক সম্মান করে। আমার বোনকে মাঝে মধ্যে মাস্টার সাহেবের দুর্দশার জন্য আফসোস করতে দেখা গেছে। আফসোস করে আর কি লাভ যা কপালে ছিল তাই হয়ে গেছে। ঐদিন প্রচুর বৃষ্টি ছিল। বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে তিনি আমার ছেলেকে পড়াতে চলে আসে। ছাতা ছিল, তবে প্রচন্ড বৃষ্টিকে ছাতা সইতে পারেনি। আমি উনাকে বললাম,,
''
আজ যখন বৃষ্টি ছিল বাড়িতে না হয় থাকতেন। এত বিজে আসার প্রয়োজন ছিল কি মাষ্টার সাহেব....?
""তিনি আমাকে বললেন....আমার নাতির পরীক্ষা ছিল বলে কিছুদিন একটা বাচ্চাকে পড়াতে পারিনি তাই আমাকে বাদ দিয়ে দিয়েছে বাবা।২দিন পর একটা দাওয়াত আছে। দুদিন বন্ধ হতে পারে। তাইতো ভিজে চলে আসলাম।এখন কাজ চলে গেলে চলবে না। স্কুল এর বেতন বেশি।নাতি বলছে এক জুরা দামি জুতা কিনে দিতে।বই খাতা ও কিনতে হবে । কোনটা করে কোনটা করব বুঝতে পারছি না।
আমি বললাম,,,
'' কোন সমস্যা নেই। যেদিন আসতে পারবে না ওইদিন আমাকে কল করে জানাবেন। আপনার বাড়িতো অনেক দূর।এত দূর থেকে বৃষ্টিতে ভিজে এসেছেন শরীর খারাপ করবে তো। তখন যে আরও বেশি বন্ধ হবে ।,,,,,
মাস্টার সাহেব কথাটা শুনে মুচকি হাসলো। তারপর পড়াতে বসলো। আমার ছেলেটা খুবই শান্ত। দুষ্ট হলে সামলাতে কষ্ট হয়ে যেত তার। সবাই বলে আমার মত হয়েছে। আমার ছেলেটা লেখালেখির অভ্যেসও আমার মত হয়েছে। যখনই লিখতে বসে পাশে এসে মনোযোগ দিয়ে দেখে আমি কি লিখছি। ঐদিন একটা কবিতা লিখে আমার কাছে নিয়ে এসে বলে ''
"'বাবা একটু দেখো তো কেমন হয়েছে,,
আমি বলে দিলাম পড়ালেখায় মনোযোগ দাও।মাস্টার সাহেব ওকে খুব ভালো করে পড়ায়। ও খুব ভালো বুঝতে পারে। কদিন পর থেকে আমার ছেলের পরীক্ষা শুরু হবে। মাস্টার সাহেব জানলেন তার নাতির ও নাকি তখন পরীক্ষা। আমি জানালাম না আসলে চলবে না । কি আর করার। নাতিকেও তো উনার পড়াতে হবে। উনি উনার কাজটা হারাতে চায় না। বারবার উনি আমাকে বলছিল....
"""বাবা একটু ভেবে দেখো। ছেলেটাকে ও তো পড়াতে হয়।না হলে তো রেজাল্ট খারাপ করবে ওকে নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন।,,,,
অনেকবার ভেবেচিন্তে বললাম.....
''''আপনার নাতিটা নিয়ে আসবেন আমার ছেলের সাথে একসাথে পড়বে।,,,
মাস্টার সাহেব অনেক খুশি হলেন
পরদিন থেকে তিনি তার নাতিকে সাথে করে নিয়ে আসলো একসাথে পড়াবে বলে।দাদার হাত ধরে একসাথে ঘরে ঢুকলো।
'''' মাস্টার সাহেব হেসে মুচকি হেসে বলল......
""আমার নাতিটা অনেক দুষ্ট। সারাদিন জ্বালাতে থাকে ওর দাদিকে। রেগে মারতে গেলে আমি নিষেধ করি। আমার এটিম নাতি তার উপর হাত তুলনা তুমি। '''''
মাস্টার সাহেবের মুখে এতিম কথাটা শুনে আমি সিউড়ে উঠলাম। ছেলেটার দিকে তাকালাম। বাচ্চাদের চেহারাটা খুবই মায়াবী। ছেলেটাকে বললাম।
''''''তুমি খুবই দুষ্টু। তাই না? এই যে তোমার নামে এক্ষুনি বিচার দিল তোমার দাদুভাই.... দুষ্টু বাচ্চাদেরকে আমি খুব মারি, বুঝতে পেরেছ.....?
মাশরাফ তার বড় বড় চোখ গুলো দিয়ে কতক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। তারপর বলে।
""""আমার দাদুভাই আমার পাশে থাকতে আমার একটুও ভয় করে না আমার দাদুভাই আমার সামনে থাকলে তুমি আমাকে মারতে পারবে না।,,,, তুমি জান? সে পাড়ার মলি আমাকে একদিন মেরেছি, আমি মেরে জিততে পারিনি বলে আমার দাদু ওকে মেরে দিয়েছিল।,,,,,,,
মাস্টার সাহেবের দিকে তাকাতে মাস্টার সাহেব লজ্জা পেল। এসে বলল কি করবো বাবা প্রত্যেকদিন ছেলেটাকে মারে। যে সময় দেখে ওই সময় মারে। একবার বাড়িতে এনে আদর করে সব বুঝিয়েছি। এমন করতে নেই। তাও বুঝে না তাই একদিন ভয় দেখিয়েছি,,,।
আমি একটু হাসলাম।তারপর ঘরে গিয়ে পড়তে বসলো ।দুজন মিলে পড়তে থাকলো। তবে মাস্টার সাহেব তার নাতিকে পড়াতে গিয়ে অনেকটা থুতবুত খেয়ে যাচ্ছে। দুষ্ট বলে কথ। ছেলেটা দুষ্টুমিতে আমার বাচ্চাটা অনেকটা বিরক্ত হয়ে যাচ্ছিল । আমারই স্ত্রীও অনেকটা বিরক্ত। বারবার আমাকে ডেকে নিয়ে বলছিল। সামনে ছেলেটার পরীক্ষা,, এমন হলে চলবে....?উনাকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে খুঁজে নাও না .।কথাটা শুনে আমি একবারে নিষেধ করে দিলাম। ভাবলাম আমি জানি ওনার দুর্দশার কথা। কি করে আমি এমন কিছু করি। আমি এটা কোনদিনও করতে পারবো না। কিছুক্ষণ পর মাশরাফ সরাঘরে ছুটুছুটি করতে লাগলো। মাস্টার সাহেব থামাতে পারছিল না। কিছুক্ষণ পরিয়ে তিনি বাড়িতে যাওয়ার জন্য বের হয়। যাওয়ার সময় আমাকে বলে........
সারাদিন কাজের উপরে থাকি, ওকে পড়ানোর সময় পাইনা....... আগে যতটুকু সময় পেতাম ততটুকুই ওকে পড়াতাম এখন যদি ওরকমই অল্প সময় ধরে পড়াতে থাকি ভালো রেজাল্ট আসবে না
ছেলেটার মাথায় পড়ালেখা ধরতে অনেক দেরি হয় বাবা। তুমি বলো আমি আনবো কিন? যদি নিষেধ করো তাহলে আমি আর আনবো না.....
আমি নিশ্চিন্ত বলে দিলাম""""" না কোন সমস্যা নেই।...ওকে নিয়ে আসবেন।,,,
মাস্টার সাহেব চলে যাওয়ার পর আমার স্ত্রী আমার সাথে অনেক রাগারাগি করে। একপ্রকার ঝগড়ার মতই। মাস্টার সাহেব পরদিন ঠিকই উনার সাথে উনার নাতনিকে নিয়ে আসে। যা দেখে আমার স্ত্রী আবারও মন খারাপ করে। কিন্তু আজ মাশরাফ এতো একটা দুষ্টুমি করলো না। কদিন এভাবেই চললো। সবসময় এর মতো ঐদিন ও তার সাথে করে নিয়ে আসলো। মাশরাফ এর চোখে জল ছিল। আমি ওকে জিজ্ঞেস করলাম ''''কি হল বাবু কাঁদছো কেন??দাদুভাই মেরেছে বুঝি.....?
মাস্টার সাহেব বলতে থাকলো,,,,,,?
""""আর বলো না বাবা, দুদিন ধরে নতুন বায়না ধরেছে। সাইকেল কিনে দেওয়ার জন্য।এতকিছু সামলে ওকে সাইকেল কি করে কিনে দেবো, বলো?
মাশরাফ এর অশ্রুভেজা চোখ গুলো দেখে বড্ড মায়া হয়। কোনো কিছু চিন্তা না করে তৎক্ষণিক একটা কাজ করে বসলাম। ঘর গিয়ে মানিব্যাগ কিছু টাকা নিয়ে আসলাম । সাহেবের হাতে দিয়ে বললাম.....
"""""এই টাকাটা রাখুন। ওকে একটা সাইকেল কিনে দিবেন। তবে রাস্তায় দাঁড়াতে দিবেন না। দুর্ঘটনা ঘটবে।
মাস্টার সাহেব বারবার বলতে থাকলো।এ কি করছো একি করছো? কদিন আগে না বেতন দিলে,,?
আমি বললাম '''নিন না ওকে একটা সাইকেল কিনে দিবেন......
মাস্টার সাহেব বলতে লাগলেন,, আমি কিছুতেই এই টাকাটা নিব না বাবা। তুমি রেখে দাও।
তারপরও আমি অনেক জোরাজুরি করে টাকাটা উনাকে দিয়ে দেই।টাকাটা হাতে নিয়ে খুশি হয়ে তিনি তার নাতির দিকে তাকালো।তিনি আমার ছেলেকে পরিয়ে বাড়িতে চলে গেল। আমার স্ত্রী আমাকে অনেক বকাঝকা করল। দু-তিনদিন পরের ঘটনা।আমার ছেলেটারও পরীক্ষা শুরু হয়ে গেল। ঐদিন মাশরাফ খুব বেশি দুষ্টুমি করছিল।আমার ছেলেটা তাই বিরক্ত হচ্ছিল । আমার ছেলেটা ক্লাস ফাইভে পড়ে। বুদ্ধিশুদ্ধি এত বেশি একটা হয়নি। মাস্টার সাহেব কারো সাথে ফোনে কথা বলার জন্য কিছু সময়ের জন্য উঠে গেল । মাশরাফি আর আমার ছেলে হঠাৎ ঝগড়া শুরু করল । ঝগড়ার এক পর্যায়ে হঠাৎ আমার ছেলের মাথায় স্টিল এর স্কেল দিয়ে আঘাত করে বসলো। আমার ছেলের চিৎকারে আমি ছুটে গেলাম। গিয়ে দেখি আমার ছেলের মাথা কেটে রক্ত বের হচ্ছে । মাস্টার সাহেব ও ছুটে আসলেন। আমার ছেলের এ অবস্থা দেখে তিনি তার নাতির গলে দু একটা থাপ্পড় বসালে। তারপর কপাল চাপড়াতে শুরু করলেন। আমি আমার ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালের যেতে লাগলাম। মাস্টার সাহেব পিছনে পিছনে যাচ্ছিলেন। আমার স্ত্রী ওনাকে ধমকের সুরে বললেন """""
আপনি আমাদের সাথে আসার কোন প্রয়োজন নেই আপনি আপনার নাতিকে এখান থেকে নিয়ে বাড়ি চলে যান।
তুমি মাস্টার সাহেব কথাটা কে উপেক্ষা করে আমার পিছনে পিছনে ছুটতে লাগলো। ছেলেটার মাথাটা ভালোই কেটেছে।অনেক রক্ত বেরোচ্ছে। মাশরাফ ভয়ে চিৎকার করে কাঁদছে। আমার ছেলের এমন অবস্থা দেখে আমার কোন হুশ জ্ঞান ছিল না। আমি অবশের মত হসপিটালে দিকে ছুটতে থাকলাম। একটা গাড়িতে করে হসপিটালে সামনে নামলাম। হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করালাম।
হাসপাতালে সকল সমস্যার মিটিয়ে বাহিরে এসে দেখি মাস্টার সাহেব বসে আছেন।আমি আসতেই তিমি আমার কাছে ছুটে এলেন।....... বলতে থাকলেন বাবা কি খবর। আমি তোমার কাছে কি করে মাফ চাইব আমি বুঝতে পারছি না। তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও বাবা। আমার জন্য আজ তোমার ছেলের এই অবস্থ, ডাক্তার কি বলেছে বাবা?
আমি ওনাকে বললাম......
ডাক্তার বলেছে হসপিটালে ভর্তি হতে। সেলাই করতে হয়েছে মাথায় । আমার ছেলেটা আজ পরীক্ষা দিতে পারবেনা।
আমার মুখে এমন কথা শুনে মাস্টার সাহেব কাদতে লাগলো......।
বলতে লাগলো
"""""আমাকে ক্ষমা করে দিও বাবা। আমার এই পাপী চেহারা তোমাকে আর কোনদিনও দেখাবো না।,,,, আমি বললাম...
""তাতে আপনার দোষ নেই।আমার ছেলের জন্য দোয়া করুন। আপনি বাড়িতে চলে যান।মাশরাফির পরীক্ষা দিতে নিয়ে যান।....
মাস্টার সাহেব তার দুটো চোখ মুছে বাড়ির দিকে রওনা দিল । সবকিছু ঝামেলাতে মাস্টার সাহেবের কথা কদিন মনে করিনি। ওবছর আমার ছেলেট পরীক্ষা দিতে পারেনি। খুবই অসুস্থ ছিল। মাথাটা অনেকটাই কেটেছিল।আমার স্ত্রী আমাকে অনেক বকাঝকা করেছিল। সবকিছু আমি সহ্য করে নিলাম। আমার ছেলেটা কেঁদে কেঁদে আমায় বলেছিল বাবা মাশরাফির জন্য সবকিছু হয়েছে। আমি ওকে বললাম। কিছু করার নেই বাবা ও ছোট মানুষ। আমার ছেলেটার বয়স কম ও কি এসব বুঝে।
হঠাৎ একদিন আমার বোনের কাছ থেকে জানতে পারলাম। মাশরাফি আর নেই।সাইকেল চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মারা গেছে। সাইকেলটা আমার কিনে দেওয়া সাইকেলটাই ছিল। কথাটা শুনে নিজেকে দোষী মনে হতে লাগলো। মনে হচ্ছে এক্সিডেন্টের জন্য আমি দায়ী কথাটা। একজন সৎ মানুষের বুক থেকে যেন আমি এক রত্ন কেড়ে নিলাম । শুনতে পেয়ে আমি যেন আকাশ থেকে পড়লাম। তাৎক্ষণিক ফোনটা কেটে দিয়ে আমি মাস্টার সাহেবের কাছে কল করলাম। দু তিনবার ফোনটা বাজার পর মাস্টার সাহেব আমার কলটা তুললেন।আমার কন্ঠস্বর পেয়ে তিনি বলতে লাগলেন.........
""""'"'তোমার ছেলেটার শরীর কেমন আছে বাবা। আমার নাতিটার জন্য এবছর পরীক্ষা দিতে পারিনি।......
"আমি বলতে লাগলাম......
মাশরাফি এমনভাবে কি করে চলে গেল মাস্টারসাহেব।
কথাটা শুনতে মাস্টার সাহেব ডুকরে কেদে দিল
কেঁদে কেঁদে বলতে লাগলো.....
"""""এটা নিয়তির পরিহাস ছিল বাবা,,,
আমি আর নিজেকে সামলাতে পারছিলাম না....
আমি কেঁদে কেঁদে বলতে থাকলাম
""
এটা আমার জন্য হয়েছে মাস্টার সাহেব আমাকে আপনি ক্ষমা করে দিবেন। আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিবেন তো বলুন । তার জন্য আপনি আমাকে যা শাস্তি দিবেন আমি তা মাথা পেতে নিব।,,,
এর উত্তরএ মাস্টার সাহেব বেশি কিছু বলেনি। শুধু এতটুকুই বলল....
""এতে তোমার কোন দোষ নেই বাবা,,ভালো থেকো. তাৎক্ষণিক ফোনটা কেটে দিলো...
আমি সাথে সাথে রওনা দিলাম মাস্টার সাহেবের বাড়িতে যাওয়ার জন্য।
"'"""''সবশেষে আমি একটা কথাই বলবো
মাস্টার সাহেবের সবথেকে দামি জিনিস হারানো পেছনে একমাত্র দায়ী আমি ।এটা আমি এখনো মনে করি। আমার দেয়া সাইকেল এর জন্য মাস্টার সাহেবের নাতি মারা গেছে। এটা আমি সব সময় মনে করি,,,,,,,,,
