Ignite the reading passion in kids this summer & "Make Reading Cool Again". Use CHILDREN40 to get exciting discounts on children's books.
Ignite the reading passion in kids this summer & "Make Reading Cool Again". Use CHILDREN40 to get exciting discounts on children's books.

Arunava Sar

Tragedy Thriller Children

3.8  

Arunava Sar

Tragedy Thriller Children

লকডাউন এর এক সন্ধ্যে

লকডাউন এর এক সন্ধ্যে

3 mins
214


ঝড়ে আজ পুকুর এর রাস্তা বেয়ে উঠছে গাড়ি নিয়ে কে এক উঠোনে,

  " হরি , ওকে আটকাও " - চিৎকার এলো

    পুকুর পাড় থেকে ।

পাশে একটা রাজাদের আমলের বাংলো আছে।

বাংলোর এক দিক এর প্রায় বেশ অনেক টা

অংশ , দরজা - জানলা ভাঙ্গা , মন্দির ও আছে

বাইরে , ওখানে মন্দির এ পুজো হয় ,

মাঝখানের রাস্তা টা ঝকঝকে পরিষ্কার !

 সকাল সন্ধ্যা যখন ই তাকাও বাচ্ছা বেলা

 থেকে দেখছি নোংরা চোখে পড়ে না।

এক দিকে ঢুকে আরেক দিকে বেরোবার রাস্তা আছে

মধ্যিখানে আনাজ বিক্রিও হয় সন্ধেতে ,

 কিছু রকের ছেলে গাড়ি নিয়ে গাড়ি নিয়ে পুকুর এর রাস্তা বেয়ে ঢুকে বাংলোর পরিষ্কার রাস্তা দিয়ে

 বেরুতে দেখলে বাঁধা দেয় , আর দেবেই না কেনো

 প্রতিদিন সাফসাফাই করে !

  হরি একজন মালা - প্রসাদ ব্যবসায়ী , ও ই লোক ডেকে ঝাট দেওয়া করায় ।

    

   আমি জানলা থেকে সরে এলাম ।

   সেপ্টেম্বর এর এই মাঝামাঝি একে গরম , তারপর করোনা , 

  ব্রাউজারে কী একটা সার্চ করছিলাম , একটা

  ক্লায়েন্ট কে মেইল করতে হবে ৬ টার মধ্যে ।


আমি শ্রীরামপুর এ মামার কাছে এসেছি এক সপ্তাহ হয় এ গেছে ,প্রায় বেরোইনি ছ ' মাস কেটে গেছে ।


 টোকা টক মেসেজ ঢুকছে , গল্প বইটার ভেতর মোবাইল টা চাপা দেওয়া আছে । আজকাল একা যাওয়াটা অভ্যাস করে নিতে হোয়েছে ।

  প্রথমে জীবনটা এমনটা ছিলো না ।

দমকা ঝড়ে বই এর পাতাগুলো উড়তে শুরু করেছে।


আজকের দিনেই মনে পড়ে গেলো যখন আসতাম , 

বাড়িতে আলু বোম পড়ত , আজ বেশ একা একা লাগছে , মামার ছেলেটা এখন জয়েন্ট এরকোচিং করছে , একা ঘরে সারা দিন রাত পরে এক করে।

অন্যমনস্ক ভাবে মোবাইল টা তুলে নিলাম

ব্রাউজারে যা সার্চ করছিলাম , খুঁজে পেলাম না 

৫ টা ১০ !


এবার তো যা হোক রেডি করতেই হবে ,ভুলে গেছি একদম , কী সার্চ করছিলাম।


 হিস্টরি তে গিয়ে ক্লিক করলাম , একটা ডাইনোসর দাড়িয়ে ! 

 তার মানে  ইন্টারনেট কানেকশন নেই । 

 যাঃ !  

 ঠিকাছে , যা হোক একটা একটা কারণ 

  দিয়ে দেওয়া যাবে !।..

     অফিস তো আর যেতে হচ্ছে না !

  আরাম এখন ! .. ফ্যান এর রেগুলেটর টা ৫ দিয়ে , বিছানায় গা গল্প বইটার ওপর মাথা দিয়ে ঘুম ই এসে গেছিলো ,

  কী ঠিক তখনই টোকা টক মেসেজ

 খুলে দেখি - দুটো ইমেইল 

এক টা তে লেখা , " ফ্যান্টাস্টিক ওয়ারক "

সঠিক পৌঁছেছে , সেটা জানানো হয়েছে , 

অ্যাঁ ? আমি তো আজ ই এটা নিয়ে বসেছিলাম !

একবার আবার চেক করলাম , এতো ঠিক ই ।

আমাকে লিখেছে । ভুল করেও আমি কখন পাঠালাম মনে পড়ছে না !

দ্বিতীয় টা বোঝা গেলনা , খুললাম , কাল ছুটির কথা বলছে বোধয় ।


লজিক লাগালাম না,

চশমাটা বন্ধ করলাম , ডান্ডি টা ধরে সরালাম ।

ভুলে গেলাম বিকেলে চা খাওয়া হোয়নী ,

মেইল টা দেখে শান্তিতে 

এটা তো আরো ঘুম পাইয়ে দিল , এলিয়ে পড়লাম ।


ভ্রেরেরেরেরের.. ভাইব্রেশন এর শব্দ..

পায়ের তলায় চোখের সোজা সুজি ছিলো,

৮ টা ৩৫ , মোবাইল এর জলা আলোটা চোখে

পড়তে হুশ এলো , কিছু খাওয়া হোয়নি ।


একটা ফোন কল এসেছে ,

মিনিট খানেক ঘুমের ঘোর কাটতে চোখে 

পরলো , ক্লায়েনট এর কল ।


 কী মনে হতে মেইল চেক করলাম , 

  কোনো মেসেজ নেই ! রিফ্রেশ করলাম ,

  নেট তো আছে , একটু অপেক্ষা করলাম

না , কোনো মেইল নেই , 

তবে " congratulaton " কোথায় সব !

রিবুট করলাম, মিনিট খানেক বসে রইলাম 

কিছু নেই মেইল এ ।


নাকি সব ই স্বপ্ন ছিলো !  একবার ও হুশ ই হোয়নি ।  ঘোর বলে এখন যা মনে হচ্ছে , 

 তন্দ্রা তখন আসেওনি , তবে একি !  আজকের কাজ গেলো তবে !

পুরোটা তবে স্বপ্নই !

লকডাউন কী সব দেখাচ্ছে আজকাল ,

ঠিকাছে , আর কী করা যাবে !

 কিছু একটা ব্যবস্থা করেই নেওয়া যাবে না হয় !

ভাবতে ভাবতে আবার ঘোর আসছিল , 

না ! আর না ,

চশমাটা টেনে ব্যাগ থেকে মাস্ক এর সরি দুটো ধরে বার করে পড়লাম , স্যানিটাইজার টা বের করে হাতে নিয়ে আবার আটকে রাখলাম।

খাওয়া হয়নি কিছু চা - মুড়ি খেতে হবে ।

একটু বসে সিড়ি দিয়ে নেমে মামার ঘরের দিকে এগোলাম ।


Rate this content
Log in