কোরোনা অণুজীবে পরিশ্রান্ত মানব যখন অজানা "আনন্দ" কে খুঁজে পায়:
কোরোনা অণুজীবে পরিশ্রান্ত মানব যখন অজানা "আনন্দ" কে খুঁজে পায়:
বিষয় : ( আনন্দের পুনর্মিলন )
কোরোনা অণুজীবে পরিশ্রান্ত মানব
যখন অজানা "আনন্দ" কে খুঁজে পায়:
__________________________________
" আমরা খুশি , ভালই . কাটছে..তোমার?"
বাবা মোবাইল কানে চেপে কার সাথে সন্ধ্যায়
গল্পঃ করে যায় । চাকরি আপাতত নেই তেমন
বলেই চলে, মাইনে তো পায়।
কাসর ঘন্টা, শঙ্খ ধ্বনির আওয়াজ
এর যুগ হয়তো ফুরিয়ে আসছে।
ফোনেই কেটে যায় কখনো।
"" কাল তিনটে চিকেন ডিনার ! হাহা! "
খুব হালকা একটা আওয়াজ ..
দাদার ফোন অনর্গল না হলেও দিনে ১ কি ২ বার
কথা পাঠায় ।
আমার বড্ড একা লাগে, ফোন যে খুব পছন্দ
হয় ,এমনটা নয় । ইন্টারনেট খুলে মজার
অডিও ভিজুয়াল ব্যাপার গুলো মাঝে মধ্যে
ভালই লাগে..তাও একা লাগে।
মনে হয় অনেক কিছুই করা যায় , করছি না
পড়তে মন বসছে না বইতে এই কদিন..
গল্প বইটা নিয়ে বসলাম,
কোনো মজা নেই..কিন্তু এমনটা কেন?
বাকিরা তো লকডাউন মজায় কাটাচ্ছে ,
তবে আমি কেনো?
রেডিও নিয়ে বসলাম..
টিভির চাইতে এতে সমাধান ও খানিক
বেশি শুনি জিনিসের..এই যেমন আজ ই
করোনায় " কী করো" আর " কী করোনা"
তা ভালো ভাবে ডক্টর পরামর্শে বলছে...
চাষী ভাই দের সুখ দুঃখ আমাকে ও বিহবল করে..ভেসে যাই ..খানিক সমব্যথী হই ।
" বুঝছিস কিভাবে কাটায়? তোরা তো
জীবন হেলায় কাটাস " , মায়ের কথায় হুশ ফেরে
সত্যি তো এই সুখ দুঃখ তে মা এটাকে
আনন্দের সাথে গ্রহণ করছে।
সুখ - দুঃখের মধ্যেই তো আনন্দ।
" করোনা তে আক্রান্ত, " বুক কেপে যায়
খবর শুনে.." সেরে ওঠার পরিমাণ ও বাড়ছে"
কথাটা আমায় শান্তি দেয়।
এরপর আর কী?
রবীন্দ্রসঙ্গীত ,সুখ দুঃখ যেথায় মানব কে চেনায়
সেথায় আমাকে মিলন ঘটায় বেতারের মাধ্যমে
দুঃখ তো আছেই।
দুঃখ তো থাকছেই
তবেই তো আনন্দ কে পাবো ঠিক একসময়
দুঃখের মাঝেই আনন্দ,
তবে ফোনের মধ্যে ডুবে গেলে ততটা বুঝতে পারি না।
তাইতো। " আনন্দ " " সুখ - দুঃখের যুগলও ঘটে "
বুঝতে পারি " চলোভাষ " কে দূরে রেখে
" সবার সাথে মিলনেও আনন্দে মেতে উঠি
বুঝি
" আনন্দ এভাবেও হয় "
আবার কি?
ঘটনা থেকে জানা যেতে পারে
এই লকডাউন এ ঘরে থেকেও যেকোনও
মানব সুখ দুঃখ দুয়ের মাঝে পুনর্মিলন ঘটাতে পারে ।