গল্প হলেও সত্যি
গল্প হলেও সত্যি
পর্ণা সত্যিই ভালো বেসে ফেলেছিলো ওই বিদেশিকে. অমন রাজপুত্রের মতো চেহারা আর অমন মিষ্টি কথা, ওকে কি না ভালোবেসে পারা যায়
ছেলেটা ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছিল আর পর্ণা একসেপ্ট করেছিল. ব্যাস সেই শুরু, তারপর প্রেম, অবশেষে বিয়ের প্রস্তাব. সেই বিদেশী জানিয়েছিল অক্টোবরে ভারতে এসে পর্ণাকে বিয়ে করে ওদের দেশে নিয়ে যাবে. পর্ণা স্বপ্ন দেখতে শুরু করে ছিল. অবশেষে সব প্রতীক্ষার অবসান হতে চলেছে. হ্যাঁ আর কিছুক্ষনের মধ্যেই ওর রাজপুত্রের ফ্লাইট এসে পৌঁছাবে. এয়ারপোর্টে দাঁড়িয়ে ওর জন্য অপেক্ষা করতে করতে ভাবে পর্ণা. এতদিন অনেক যুদ্ধ করেছে ও. সবাই বলেছিলো", " এরা ফ্রড হয়, তুই বেরিয়ে আয় সম্পর্ক টা থেকে." কিন্তু কারো কথা শোনেনি পর্ণা, আবার পুরো বিশ্বাস ও করতে পারেনি. তাই গেছিলো ওর কলেজের বন্ধু স
ুদীপের কাছে. ও এখন এখানকার অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার. সব শুনে সুদীপ বলেছিলো "চিন্তা করিসনা, আমি পুলিশ ফোর্স পাঠাবো এয়ারপোর্টে তোর সিকিউরিটির জন্য. "
তারপর অন্যমনস্ক ভাবে বিড়বিড় করে "আমরা গত কয়েক মাস ধরে একটা আন্তর্জাতিক ফ্রড এজেন্সির ব্যাপারে তদন্ত করছি. " সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে অন্যমনস্ক হয়ে গেছিলো পর্ণা. হঠাৎ দেখলো ওর রাজপুত্র হাত নাড়তে নাড়তে ওর দিকে এগিযে আসছে. প্রোফাইল ফটোর সেই মুখটা চিনে নিতে ভুল হয়নি পর্ণার. কিন্তু একি! কি দেখছে সে? চারদিক থেকে পুলিশ এসে ওর রাজপুত্রকে ধরে ফেলল. কিন্তু পর্ণা তো শুধু ওর নিজের প্রটেকশন এর কথা বলেছিলো সুদীপকে, ওর রাজপুত্রকে এরেস্ট করার জন্য তো বলেনি. তবেকি সত্যিই ও ফ্রড? কিন্তু ওর রাজপুত্রকে যে ওর অনেক কথা বলার ছিল !