গায়িকা
গায়িকা


নজরুল মোড়ের কাছে এসে একটা পানের দোকানের সামনে অমিত দাঁড়াল।চকলেট কিনতে হবে, মুখটা খারাপ লাগছে।কিনে পয়সা মিটিয়ে আবার বাইকের কাছে আসতেই শ্রুতিদিকে দেখতে পেল।শ্রুতিদি এই শহরের নামি গায়িকা।সেইসঙ্গে ভালো কবিতা এমনকি গল্পও লেখে।অমিত খুব শ্রদ্ধা করে।অমিতকে দেখতে পেয়ে শ্রুতিদি মুচকি হেসে কিছু সাধারণ কথাবার্তার পর অমিত জিজ্ঞেস করে,‘তুমি আজ রঞ্জনদার বাড়ি যাবে না?’
-না গো আমার আরেকটা জায়গায় নিমন্ত্রণ আছে।
অমিত আর কথা না বাড়িয়ে বাইক স্টার্ট করল।রঞ্জনদার ঘরে একটা গেট-টুগেদার রয়েছে।শহরের অনেক কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী আসছেন।অমিতের পৌঁছতে একটু দেরিই হয়ে গেল।গান, কবিতা ও গল্প পাঠের শেষে রঞ্জনদা বলে উঠল,‘সবাই এল শুধু শ্রুতিটাই আসতে পারল না।ফোন করেছিলাম, বলল বিছানা থেকে উঠতে পারছে না।’অমিত সব শুনেও রঞ্জনদাকে কিছু বলল না।আসার সময় কেনা চকলেটগুলো থেকে একটা মুখে ভরে নিল।শ্রুতিদিকে একটা চকলেট দিলে ভালো হত।