Ushri Chatterjee Bandyopadhyay

Romance Action Thriller

3  

Ushri Chatterjee Bandyopadhyay

Romance Action Thriller

বৃত্তের বাঁধনে (Part 2)

বৃত্তের বাঁধনে (Part 2)

8 mins
345



সুশ্চম :

-----------

মেঘদূতবাবু বড় সাধ করে নিজের বাড়ির নাম রেখেছিলেন 'সুশ্চম' যার অর্থ সুন্দরতম... সত্যিই পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর বাড়ি ছিল বোধহয় এটাই... বাবা-মা আর দুই যমজ ভাই বোন- মেঘদূত আর মেঘমালা... যেন একখন্ড স্বর্গ নেমে এসেছিল পৃথিবীর বুকে...তবে ভগবানেরও বোধহয় মাঝে মাঝে সবার সুখ সহ্য হয় না, তাই ললাট লিখন লিখে দেন- ওদের সুখ এতদিন অব্দিই ছিল... এবার ভাঙো, এই সুখের সংসার ভাঙো... বিয়ের পর পণের হিংসার বলি হলো মেঘমালা... সেদিন ছিল মেঘদূত বাবুর বাসি বিয়ে... জীবনে সেই প্রথম এবং শেষবারের মতো মেঘদূত বাবুকে রাগতে দেখেছিল সবাই... নিজের অপর অংশ, নিজের বোনকে হারিয়ে তার শেষ স্মৃতি তার সদ্যোজাত সন্তানকে সেই নরক থেকে চিরতরে নিয়ে চলে আসেন তিনি... মেঘদূত বাবুর মা অপালা দেবী মেঘদূত বাবুর স্ত্রী বৈদেহীর কোলে মেঘমালার কয়েকদিনের শিশুপুত্র সমুদ্রকে তুলে দেন... বৈদেহী নিজ গুনে আবার সুশ্চম-কে সার্থকনামা করে তোলে- আবার একখন্ড স্বর্গ নেমে আসে পৃথিবীর বুকে... সেই থেকে মেঘদূত আর বৈদেহীর দুই সন্তান - সমুদ্র আর সিয়া... বৈদেহী বড় সাধ করে ছোট্ট সমুদ্রের ভালো নাম রাখেন- 'বেদ'... পরে অবশ্য তার কন্যার নাম সমুদ্রই অপালা দেবীর নামের সাথে মিলিয়ে রাখে 'অর্ভি'..

অস্পষ্ট হয়ে আসা ল্যাম্পপোষ্টের আলোতে কালো মেঘে ঢাকা আকাশটাকে আরও অন্ধকার দেখাচ্ছে... মুষলধারায় বৃষ্টি নেমেছে, সহসা থামবে বলে মনে হচ্ছে না... মাঝে মাঝে ঝোড়ো হাওয়া এসে শরীরে কাঁপুনি ধরিয়ে যাচ্ছে... তবুও সমুদ্র জানলার পাশে তাকিয়ে জানলা দিয়ে একমনে বাইরের বৃষ্টির দিকেই তাকিয়ে আছে... মেয়েটা ওমনিভাবে কাঁদছিল কেন !!! সমুদ্র-এর জীবনের অতীত তাকে মেয়েদের গোপন কষ্ট অনুভব করতে সাহায্য করলেও তার যশোদা মা বৈদেহীর স্নেহ, ভালোবাসা তার জীবনে কোনো তিক্ততার লেশমাত্র রাখে নি... কিন্তু ঢেউ !! 'ভালোবাসা'র নামেই দরজা বন্ধ করে ওমনি করে কেঁদে উঠলো... আজ অব্দি সমুদ্র-র জীবনের অধ্যয়ণ সাধনা ব্যতিরেকে কোনোকিছুর অস্তিত্ব ছিল না... কিন্তু এই একটা দিন তার সাধনার ধ্যানকে ছিন্নভিন্ন করে দিল.... যে মেয়েটাকে প্রথম দর্শনে তার বিদ্যুৎ-এর দ্যুতির মতো মনে হয়েছিল, মেঘের গর্জনের সাথে সাথে সমুদ্র বারংবার সেই ঢেউ-এর আঁধারে মনের গভীরে ঝুঁকে পড়তে চাইছিল... নিজের মনের অজান্তেই... হঠাৎই তার ফোন বেজে ওঠে... সমুদ্র একবার ঘড়ির দিকে তাকায়, রাত পৌনে দু'টো...

সমুদ্র : (আপন মনে) এত রাতে কে ফোন করল !!!হ্যালো... কে বলছেন !!!

ফোনের অপর প্রান্ত থেকে এক আতঙ্কিত মেয়েলি গলা ভেসে আসে,

নেপথ্যে : বেদ !!! বেদ বলছো !!!

সমুদ্র : হ্যাঁ... আপনি কে !!!

ঢেউ : আ... আমি ঢেউ...

সমুদ্র কপালটা চিন্তায় কুঁচকে যায়... মনটাও একটা অজানা আশঙ্কায় কেঁপে ওঠে,

সমুদ্র : কি ব্যাপার ঢেউ !!! সব ঠিক আছে তো !!!

ঢেউ ঠুকরে কেঁদে ওঠে.. কান্নাভেজা গলায় বলে ওঠে,

ঢেউ : নাহহহহহ... কিছু ঠিক নেই... বাবাইয়া-র হঠাৎই ভীষণ Chest Pain হচ্ছে... বাবাইযা যেন কেমন একটা করছে !!! শুধু আপনার নামটাই বলতে পারলো... তাই আমি...

সমুদ্র : Okkk... Calm Down... Calm Down Dheu... আমি সিয়াকে নিয়ে আসছি... সিয়া রাতে ঠাম্মির কাছে থেকে যাবে... আমি যতক্ষণ না পৌছাচ্ছি, তুমি স্যারের জিভের তলায় একটা Sorbitrate tablet দিয়ে দাও... আর ভয় পেয় না... আমি আসছি... বিপদে উতলা হতে নেই ঢেউ, শান্ত মাথায় বিপদের মুখোমুখি হতে হয়... আমি আসছি....


Seven Star Hospital :

-----------------------------------

প্রাঞ্জল বাবুকে যখন ICU-তে দেওয়া হয় তখন ভোর ছ'টা... সমুদ্র জোর করে ঢেউকে Canteen-এ নিয়ে আসে চা খাওয়ার জন্য... মেয়েটা ভেতর ভেতর ভেঙে পড়েছে... চুপ করে আনমনে বসে আসে... গায়ের চাদরটা যে গা থেকে সরে গেছে, সেদিকে খেয়াল নেই... কাল রাতের বৃষ্টিতে একটু হিমেল পরিবেশ আছে, দু'কাপ চা টেবিলে রেখে ঢেউকে স্পর্শ না করে ঢেউ-এর গায়ের চাদরটা টেনে দেয় সমুদ্র... চমকে ওঠে ঢেউ...

ঢেউ : ভাগ্যিস তুমি ছিলে বেদ... আমি... আমি তো এত...

সমুদ্র : বাবাইয়া-কে যে এত ভালোবাসো, অনুভব করতে বোধহয় ভুলে গিয়েছিলে...

ঢেউ : মা... মানে !!!

সমুদ্র : যদি ভালোই না বাসতে ঢেউ, তাহলে মায়ের সাথে চলে যেতে... বাবাইয়া-র কাছে থেকে যেতে না...

ঢেউ : মা বাবাইয়া-কে ঠকিয়েছিল বেদ... সাথে সাথে আমারও ভালোবাসার প্রতি সমস্ত বিশ্বাস, ভরসা নষ্ট করে দিয়ে গেল... তখন আমার কত বয়স হবে বলো তো !! বছর দশ... তবুও আমি সবটা বুঝতে পেরেছিলাম জানো, ওই অবস্থায় আমি বাবাইকে ছেড়ে চলে গেলে না বাবাইয়া বাঁচতো না... মানুষটা অধ্যয়ণ নিয়েই থাকে, নিজের এতটুকু যত্ন করতে পারে না... হ্যাঁ, আমার বাবাইয়া-র প্রতি অভিমান আছে, কিন্তু...

সমুদ্র : থাক... আর বলতে হবে না... তোমার ওই উদ্বেগ, আশঙ্কা, চোখের জল তোমার হয়ে সব কথা বলে দিচ্ছে ঢেউ...

ভোরের মিঠে আলোর মতো এক চিলতে মৃদু হাসি ফুটে ওঠে ঢেউ মুখে, সেই হাসির বিচ্ছুরণ এসে পড়ে সমুদ্র-এর ঠোঁটেও... শত উদ্বেগ, আশঙ্কা স্বত্ত্বেও ঢেউ যেন কিছুটা শান্তির ছোঁয়া পেল সমুদ্রের সাথে এই কথায়...

ঢেউ : আমি কাল তোমাকে কষ্ট দিতে চাই নি, কিন্তু...

সমুদ্র : তোমাকে ভালোবাসতে হবে না ঢেউ... কিন্তু আমাদের মধ্যে একটা হৃদ্যতার বন্ধন তো তৈরি হতে পারে !!! যেখানে মুখ দেখলেই বুঝে নেওয়া যায় মন খারাপের কারণ, মুখ ফুটে বলার প্রয়োজন পড়ে না... ছোট বড় সব সমস্যাতেই এক ডাকেই পাশে পাওয়া যায়, এমন নির্ভরতার অনুভব !!! খুব যত্নে গড়ে তোলা একটা ছোট্ট বন্ধন...

ঢেউ যেন একটু বিভ্রান্ত হয়ে যায়, লক্ষ্য করে না সমুদ্র অপলক দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে আছে, অজান্তেই চোখের কোনটা চিকচিক করছে... অনেকক্ষণ ভেবে সে বলে,

ঢেউ : আচ্ছা, এই... এই সম্পর্কের... এই হৃদ্যতার বন্ধন-এর কি নাম !!!

সমুদ্র : (মৃদু হেসে, মনে মনে) মেয়েটা নিতান্তই সরল...

ঢেউ : কি হলো !! বললে না যে !!!

সমুদ্র : সব সম্পর্কের নাম হয় না ঢেউ... সব সম্পর্কের নাম থাকতে নেই... যে সব সম্পর্ক চাওয়া-পাওয়ার উর্ধ্বে হয়... সে সম্পর্কে থাকে শুধুই হাতে হাত রেখে পথ চলার অঙ্গীকার- সেই সম্পর্কের কি সত্যিই কোনো নাম হয় !!!

ঢেউ : আমি তো পুরো ঘেটে ঘ হয়ে গেছি... তাই এই কঠিন কথার উত্তরে আরো কঠিন কোনো শব্দগুচ্ছ এই মূহুর্তে আমার মাথায় আসছে না... আসলে আমি না ভীষণ এলোমেলো, অগোছালো... তাই আমার জীবনের সম্পর্কগুলো আর সেই সম্পর্কগুলো সম্বন্ধে আমার ধারণাগুলো ঠিক গোছানো নয়... আসলে আমি তো 'ঢেউ'... তাই সমুদ্রের কিনারে গড়ে তোলা বালির ঘরের মতো সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়াই আমার কাজ... তাই আমার জন্যই যদি তোলপাড় হয়ে যাবে তোমার অধ্যয়ণ সমর্পিত দিনলিপি, তবে...

ঢেউ-এর মুখের কথা কেড়ে নিয়েই সমুদ্র বলে ওঠে

সমুদ্র : আমরা সবাই ভীষণ অসংলগ্ন, ভীষণ আংশিক ঢেউ.... আমাদের প্রত্যেকের একটা অসম্পূর্ণতা লাগে, যাতে দুটো অসম্পূর্ণতা মিলে আমাদের জীবনের 'বৃত্ত'-টা সম্পূর্ণ হতে পারে...

ঢেউ : তাই !!! তাহলে আমার মা বাবাইয়া কেন সম্পূর্ণ হতে পারলো না !!!

সমুদ্র : আমি যতদূর স্যারকে চিনি, তোমার মাকে নিয়েই ওনার সমস্ত শব্দ, জানা অজানা বহু কথা ছিল, কিন্তু তোমার মা তার একটা বর্ণও বোঝেন নি... ঢেউ, স্যার মানে তোমার বাবাই জীবনের আঁকা বাঁকা পথে চলতে চলতে আজ রণক্লান্ত... কিছু আপন স্পর্শ বহু বছর আগে পর হয়ে গেছে সময়ের ঘটা লেগে... চাওয়া পাওয়ার মাঝে যেন হাঁপিয়ে উঠেছে মানুষটা... কিছু আনন্দ আজ বড়ই মুমূর্ষ দুঃখের জলে ভিজে... সম্বল শুধু কিছু ভাঙাচোরা স্বপ্ন আর কিছু জমিয়ে রাখা পিছুটান...

ঢেউ-এর চোখ থেকে কয়েক ফোঁটা মুক্ত ঝরে পড়ে... সমুদ্রের একটা চেপে রাখা জমাট বাঁধা কষ্ট গলার কাছে এসে জমা হয়, দু'চোখের অশ্রু নীরবে গড়িয়ে পড়ে... কিন্তু সেই দলা পাকানো যন্ত্রণা যে কিসের, তা ঠিক সে ঠাউর করে উঠতে পারে না.... নিজের জীবনের অব্যক্ত কষ্টের সাথে মিল আছে বলে, না কি মনের মধ্যে কোথাও ঢেউ-এর প্রতি একটা নরম অনুভূতি তাকে ছুঁয়ে যাচ্ছে বলে...

সমুদ্র : আর তাছাড়া তোমার মা যে 'সকালের এলোমেলো স্বপ্ন' চিনতেই পারেন নি, যেখানে অনেক ব্যাথা অল্প উষ্ণতায় মুক্তি পায়... সেগুলো তো তোমার কাছে আছে, ঢেউ... পারবে না তোমার বাবাইয়াকে সেই স্বপ্ন ছুঁইয়ে দিতে... পারবে না ক্লান্ত হয়ে পড়া এক প্রাণবায়ুকে এক নতুন সংকল্পের টানে নতুন উদ্যমে, প্রবল ভালোবাসায় লড়তে রাজি করাতে....

ঢেউ : আমার কাছে আছে !!! আমি পারব !!!

সমুদ্র : হ্যাঁআআআ... ওই যে বললে, তুমি এলোমেলো... নিজের মনের কষ্ট লুকিয়ে সবার মুখে হাসি ফোটাতে চাও...

ঢেউ : এটা তোমাকে কে বললো !!! বাবাইয়া !!!

সমুদ্র : নাহহ... হালুমমমম...

ঢেউ একটু স্বল্প শব্দ করে হেসে ওঠে আবার মুখ চাপা দিয়ে নীরবতা বজায় রাখায় সচেষ্ট হয়, সমুদ্র-এর মুখে আলতো হাসির আভা খেলে যায়... আশে পাশে কেউ তখন কবিতা পড়ছে,

তোমার সাথে হঠাৎই যেন মিললো এসে পথ,

হঠাৎ করেই কথা শুরু, আবেগের উদ্ভব...

একটা দুটো শব্দ দিয়ে বাক্য গাঁথা শুরু,

বাক্য মাঝে হারিয়ে অজান্তেই মনের দুরুদুরু...

অল্পতেই আজকে তোমায় লাগছে বড়ই আপন,

আস্তে আস্তে অনেক কথাই চাইছে বলতে এ মন...

ভাবি নি কভু এরকম করে মিলবে মোদের পথ,

হবে দেখা এমন করে আর মন মাঝে উঠবে কলরব...

আকাশ পাতাল অনেক কিছুই

আজ লাগছে ভাবতে ভালো,

রুক্ষ মনের বদ্ধ দ্বার আজই হাতের ছোঁয়া পেল...

যেও না যেন হারিয়ে আবার হঠাৎই ছেড়ে হাত,

যেতেই হলে দিয়ে যেও শেষবেলায় বিদায় সংবাদ...

(কবিতা সৌজন্য : 'আবেগ' রচয়িতা : অভিজিৎ কুমার)

চকিতে কিছু একটা মনে পড়তেই ঢেউ আচমকাই জিজ্ঞেস করে ওঠে,

ঢেউ : আচ্ছা, বেদ 'ভরদি'-তে কি কিছু রহস্য লুকিয়ে আছে !!!

সমুদ্র : (ততোধিক চমকে উঠে) ক্কে.... কেন বলো তো !!!

ঢেউ : মানে, আমি আমার কাজ শেষ করে শুতে যাবার আগে জল খেতে Dining Room-এ এসেছিলাম... তখন বাবাইয়া-র সাথে কারুর Hot Talk হচ্ছিল... আমি শুধু এইটুকু শুনতে পাই যে, বাবাইয়া কাউকে বলছিল- 'আমার ভরদি-র দিকে হাত বাড়াবেন না'... আর তারপরেই বাবাইয়া-র Chest Pain শুরু হয়... তুমি কিছু জানো বেদ !!!!

সমুদ্র : তার মানে আমার আশঙ্কাই ঠিক... স্যার, ঢেউ-এর সুরক্ষার জন্যই আমার সাথে বিয়ে দিতে চাইছেন... সেইজন্যই স্যার এত উতলা হয়ে উঠেছেন... সেরকম হলে জোর করে হলেও আমাকে ঢেউকে বিয়ে করতে হবে... কিন্তু স্যার আর দেশের সুরক্ষার কি হবে !! ভরদি-তে যে ঐতিহাসিক সম্পদ লুকানোর আছে, সেটা ভারত সরকারের হাতে না তুলে নেওয়া অব্দি আমার আর স্যারের কর্তব্য শেষ হবে না...

ঢেউ : আবার কি ভাবতে শুরু করলে !!

সমুদ্র : ডক্টর-এর Visit-এর সময় হয়ে গেছে... চলো আগে গিয়ে কথা বলে আসি....

প্রাঞ্জল বাবুর কেবিন :

--------------------------------

ঢেউ আর সমুদ্র প্রাঞ্জল বাবুর কেবিনের বাইরে এসে পৌছাতেই একজন সিনিয়র নার্স কেবিন থেকে বেরিয়ে আসেন... ঢেউ উদ্বেগের সাথে জিজ্ঞেস করে,

ঢেউ : বাবাইয়া কেমন আছে !!! আম... আমরা ভেতরে যেতে পারি !!!

নার্স : অবস্থা খুব একটা ভালো না !!! ডাক্তারবাবু দেখছেন... আর আপনারা খেয়াল রাখবেন, দেখবেন উনি কোনোভাবে যেন উত্তেজিত না হোন... নাহলে আমাদের কিছু করার থাকবে না...

সমুদ্র : আমরা মাথায় রাখবো..

ঢেউ নিজের অজান্তেই সমুদ্রের বাহু আঁকড়ে ধরে... ঢেউ-এর মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে সে ভেঙে পড়েছে... ঢেউ-এর হাতের উপর হাত রেখে সমুদ্র আশ্বস্ত করে,

সমুদ্র : ভয় পেয়ো না ঢেউ, সব ঠিক হয়ে যাবে... তবে

স্যারের কথার অমান্য করো না... যা বলবেন তাই শুনো...

ঢেউ : (ছোট্ট বাধ্য মেয়ের মতো ঘাড় নাড়িয়ে বলে) আচ্ছা... তাই হবে.... যা বলবে, তাই শুনবো...

সমুদ্র : তাতে যদি আমাকে বিয়ে করতে হয়, সেটাও কিন্তু আমাদের করতে হবে... atleast, স্যারের সামনে Happy Couple-এর অভিনয় করতে হবে...

ঢেউ : অ্যাঁআআআআআ... তুমি আগে থেকে কি করে জানলে যে বাবাইয়া আমাকে এই প্রস্তাব দেবে !!!

সমুদ্র : তোমাকে নিয়ে স্যারের দুশ্চিন্তা থেকে... Please, তোমাকে অনুরোধ আমাকে Co-operate করো... Earnest Request... স্যার যদি বলেন, 'না' করো না....

(ঢেউ কি রাজি হবে সমুদ্রের প্রস্তাবে !!! কোন রহস্য লুকিয়ে আছে ভরদি-তে !!! সমুদ্র কি পারবে দেশের ঐতিহ্য রক্ষা করতে !!!! সে কি পাশে ঢেউকে !!!)



Rate this content
Log in

Similar bengali story from Romance