অঞ্জন কুমার

Abstract Horror

4.3  

অঞ্জন কুমার

Abstract Horror

ভয়ঙ্কর জ্বীন

ভয়ঙ্কর জ্বীন

8 mins
221



আজ থেকে বহু বছর আগের কথা। তখন গাড়ি,মোবাইল ও টিভির চল ছিল না। যাতায়াতের মাধ্যম ছিল হাঁটা নয়তো গরুরগাড়ি। আর যোগাযোগের মাধ্যম ছিল চিঠি ও দেশ বিদেশের খবর জানার জন্য ছিল বেতার মানে রেডিও। আর গ্রাম গঞ্জে তো সেটুকুর যোগাযোগও তেমন ভাবে ছিল না। এইরকমই একটা ছোট্ট গ্রাম ছিল হুগলির নবাবগঞ্জ। 


গ্রামটি ছোট হলেও তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য খুব সুন্দর ছিল। মাঠের পর মাঠ শুধু সবুজ ধানে ভরা। সারাদিন পাখিদের কুহুকলতান আর গরু মোষের ডাক, সব মিলিয়ে একদম একটি খাঁটি গ্রামের পরিচয় দিত এই নবাবগঞ্জ।


এই গ্রামের মাঝামাঝি জায়গায় ছোট্ট একটি মাটির কুঁড়ে ঘরে এক পরিবার বাস করতো। পরিবারের কর্তার নাম ছিল নিতাই সর্দার। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন পাশের গ্রামের দিনদয়াল ঘোষের মেয়ে ঝুমুরকে। বিয়ের অনেকগুলো বছর পরে তাদের একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। শিবরাত্রির দিনে জন্ম হয়েছিল বলে নিতাই আর ঝুমুর ভালোবেসে ছেলের নাম রেখেছিলেন ভোলা। মা, স্ত্রী, ছেলে নিয়ে নিতাইয়ের খুব সুখের সংসার ছিল। তাদের গ্রামের এক বড়লোক ব্যাক্তি বিনোদবিহারি শেঠের কিছু জমি ভাগে চাষ করতো নিতাই। এই করেই তার সংসার সুখে শান্তিতে বসবাস করত।


অন্যান্য জায়গার মতো নবাবগঞ্জেও বছরে একবার মেলা বসত। সেই মেলা অন্তত সাতদিন ধরে হতো। সারা গ্রামের লোক ভেঙে পড়তো মেলায়। যাত্রা, গান, নাচ আরও কতকিছু অনুষ্ঠান আর তার সাথে খেলনা আর খাবারের দোকানও থাকতো। মেলার এই কটা দিন গ্রামের লোক সন্ধ্যা হলেই মেলার মাঠে গিয়ে হাজির হত। নিতাই এই মেলাতে বাদামভাজার দোকান করতো।


প্রতিবছরের মতো সেবারেও মেলা বসেছিল নবাবগঞ্জে। নিতাই প্রতিবারের মতো সেবারেও বাদামের দোকান করেছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই ভোলার মামারবাড়ি থেকে খবর এলো তার মামার বিয়ে। ঝুমুর মানে ভোলার মা তৎক্ষণাৎ যাওয়ার জন্য ব্যাস্ত হয়ে পড়লো। কিন্তু বাদ সাধলো ভোলা। সে আগে মেলা দেখতে যাবে তার পর মামারবাড়ি। অনেক বোঝানোর পরেও ভোলা যখন শুনলো না তখন নিতাই ঠিক করলো, ঝুমুর এখন চলে যাক। সে তো মেলাতে দোকান করেই, তাই ভোলাকে সঙ্গে করে নিয়ে গিয়ে মেলাতে ঘুরিয়ে তারপর কোনো চেনা লোক দেখে ভোলাকে তার মামারবাড়ি পাঠিয়ে দেবে। ঝুমুর তার বাপের বাড়ির উদ্যেশ্যে রওনা হয়ে গেল।


সন্ধ্যা হতেই গ্রামের সব লোক দল বেঁধে মেলার মাঠের দিকে যেতে লাগলো। ছোট্ট ভোলাও তার বাবার হাত ধরে মেলার মাঠে গেল। মেলার মাঠে গিয়ে নিতাই ভোলাকে নিয়ে ঘুরে ঘুরে বাদামভাজা বিক্রি করতে লাগলো। 


অনেকটা সময় পার হয়ে যাবার পর নিতাইয়ের শ্বশুরবাড়ির দেশের একজন গেরস্থের বউয়ের সঙ্গে দেখা হলো। সেও মেলা দেখতে এসেছিল, কিন্তু এবার বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। তাই নিতাই দেরি না করে তার সঙ্গে কথা বলে ভোলাকে পাঠিয়ে দিলো তার শ্বশুরবাড়িতে। ঝুমুর দুপুরেই পৌঁছে গেছে। তাই ভোলাকে তার মায়ের কাছে পাঠিয়ে দিলো নিতাই। আর যাওয়ার সময় নিতাই ভোলার হাতে কাগজে মুড়ে কিছু বাদাম দিয়ে দিল। ভোলা সেই বাদামের ঠোঙা হাতে নিয়ে খেতে খেতে চললো সেই গেরস্থের বউয়ের হাত ধরে। 


নিঝুম রাতের জ্যোৎস্নামাখা আকাশের এক ফালি চাঁদকে সেদিন বড়ই উজ্জ্বল দেখাচ্ছিল। মেলা থেকে বেরিয়ে মেঠো রাস্তা ধরে তারা দুজন হাঁটতে থাকে। দুপাশে ধানের খেত আর তার মাঝখান দিয়ে সরু পথ। মেলা থেকে ভোলার মামারবাড়ি প্রায় সাত আট কিলোমিটার। মাঠের পথ হাঁটা শেষ করে তারা একটি বড় দীঘির পাড়ে এসে পৌঁছায়। দীঘির পাড় ধরে কিছুক্ষণ হাঁটার পর তারা আবার মাঠের মধ্যে নেমে পড়ে। কিন্তু সেখানে সবুজ ধানের খেত ছিল না, ছিল কবরস্থান। যেদিক দিয়েই যাওয়া হোক না কেন, সবাইকে এই কবরস্থান পেরিয়েই যেতে হবে। গেরস্থের বউটির এবার একটু একটু ভয় করতে লাগলো। কারণ তাদের গ্রামের সবাই জানে যে এই কবরস্থানটি খুব খারাপ। কিন্তু ভোলা দিব্যি বাদাম খেতে খেতে হাত ধরে চলেছে। তার মনে ভয় বলে কোনো জিনিসই নেই। 


মামারবাড়ির খুব কাছে এসে ভোলা সেই গেরস্থের বউটিকে বলে আপনাকে আর যেতে হবে না। ওই তো আমার মামারবাড়ি দেখা যাচ্ছে। এবার আমি একাই চলে যেতে পারবো। গেরস্থের বউটি বলে, ঠিক আছে সাবধানে চলে যেও। এই কথা বলে বউটি তার বাড়ির দিকে হাঁটা দেয় আর ভোলা তার মামারবাড়ির দিকে হাঁটা দেয়।


পরেরদিন সকাল পর্যন্ত ভোলা যখন গিয়ে পৌঁছালো না তখন ভোলার মায়ের খুব ভয় করতে লাগলো। বাপের বাড়ির দেশের লোক দিয়ে খবর পাঠানো হল নবাবগঞ্জে। ভোলাকে কি কাল নিতাই পাঠায়নি। নিতাই খবর পাওয়া মাত্র চমকে উঠলো। সে তো কাল রাতেই ভোলাকে পাঠিয়ে দিয়েছে। নিতাই সঙ্গে সঙ্গে তাদের সঙ্গে শ্বশুরবাড়ির দেশে গেল এবং সেই গেরস্থের বউটিকে খুঁজে বের করে তার কাছে সমস্ত কথা শুনলো। বাড়ির সামনে এসেও বাড়ি না ঢুকে ভোলা কোথায় গেল তাহলে। ভোলার মার কেঁদে কেঁদে শোকে প্রায় পাগল হওয়ার মতো অবস্থা। ভোলার বাবা চারিদিকে ভোলার খোঁজ করতে লাগলো। কিন্তু কোথায় ভোলা তার টিকিটাও খুঁজে পাওয়া গেলো না। 


চারদিন পরেও যখন ভোলাকে খুঁজে পাওয়া গেলো না তখন নিতাই ঠিক করলো রেডিওতে নিখোঁজের খবর দেবে আর থানায় গিয়ে ডাইরি করবে। তখন বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে ভোলাকে দেখতে পাওয়া গেলো একজন অচেনা লোকের কাঁধে চেপে বাড়ির দিকে আসছে। ভোলার মা দেখতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ছুটে গিয়ে ভোলাকে নামিয়ে কোলে জড়িয়ে ধরে অনেক অনেক ভালোবাসা আর স্নেহের চুম্বন এঁকে দেয় তার গালে কপালে আর বলতে থাকে সোনা মানিক আমার একমাত্র বুকের ধন বলে জড়িয়ে ধরে রাখে ভোলাকে। ভোলাও মা মা করে কেঁদে তার মাকে জড়িয়ে ধরে। নিতাই লোকটির কাছে গিয়ে জানতে চায়, আপনি ভোলাকে কোথায় পেলেন? কে আপনি?


লোকটি বলতে থাকে, আমি আসছি মেদিনীপুর থেকে। তিন দিন আগে আপনার ছেলে আমাদের ঐখানে গিয়েছিল। আমার মা তখন দেওয়ালে ঘুঁটে দিচ্ছিল। হঠাৎ আপনার ছেলে আমার মাকে ঠাকুমা বলে জড়িয়ে ধরে আর খুব কাঁদতে থাকে। আমরা তো অবাক হয়ে যাই ওকে দেখে। আমরা কেউই ওকে চিনিনা কিন্তু ও আমার মাকে ঠাকুমা বলছে কেন। তারপর অনেক্ষন ধরে জিজ্ঞাসা করার পর ও বলে ওর বাড়ি হুগলির নবাবগঞ্জে। আমাদের কেউই চিনতে পারেনি এই জায়গাটা। আমি তখন বাড়ি ছিলাম না। বাড়ি ফিরে এসে যখন সব শুনি তখন আমার মনে পড়ে আপনাদের এই গ্রামের কথা। অনেকদিন আগে আমি এখানে এসেছিলাম কিষেন খাটতে। তাই সেইদিনই ওকে কাঁধে করে নিয়ে বেরিয়ে পড়ি আপনাদের গ্রামের উদ্যেশ্যে। 


নিতাই সহ বাড়ির অন্যান্য লোকেরা অবাক হয়ে যায় এই কথা শুনে। একরাতের মধ্যে একটা ছোট ছেলে হুগলি থেকে হেঁটে মেদিনীপুর চলে গেছে। পথে যেতে অনেক বড় বড় রাক্ষুসে কিছু নদী পড়ে, সেগুলো ভোলা পেরোলো কি করে। 


নিতাই তখন ভোলাকে কোলে তুলে নিয়ে জিজ্ঞাসা করে, তুই গেলি কি করে অত তাড়াতাড়ি? আর কে তোকে নিয়ে গেল? নদী পেরোলি কি করে তুই ? ভোলার উত্তরের অপেক্ষায় সবাই তার মুখের দিকে চেয়ে রইলো।


ভোলা বলতে শুরু করলো, আমি মামাবাড়ির দরজায় ঢোকার সময় একজন পাঞ্জাবি,লুঙ্গি পড়া লোক আমাকে খেলনা দেখায় আর বলে তার সঙ্গে গেলে আরও খেলনা দেবে। আমি খেলনা পাওয়ার জন্য যখনই তার দিকে যাই সে আমার হাত ধরে হাঁটা শুরু করে। খুব তাড়াতাড়ি হেঁটে যাচ্ছিলাম আমরা। পথে অনেকগুলো নদী ছিল। নদীর পাড়ে গিয়ে পৌঁছাতেই দেখি আরো একটা পাঞ্জাবি, লুঙ্গি পড়া লোক এসেছে। তারা দুজনে দুদিক দিয়ে আমার হাত ধরে আমাকে সমেত তারাও উপরের দিকে উঠে আকাশে উড়ে উড়ে নদী পার করিয়ে দিয়েছে। তারপর ভোরবেলা দেখি ঠাকুমা দেওয়ালে ঘুঁটে দিচ্ছে । তাই ঠাকুমাকে গিয়ে জড়িয়ে ধরি কিন্তু পরে দেখি সে আমার ঠাকুমা নয়। তখন আমি খুব কাঁদতে থাকি। এই কাকুটা আমাকে তখন কাঁধে করে নিয়ে আসে।


নিতাই সহ সবাই চুপ। তারা বুঝতেই পারে কিছু একটা হয়েছিল মনে হয়। যাইহোক ভোলাকে পেয়ে তাদের আনন্দের সীমা রইলো না। মেদিনীপুরের লোকটিও ভোলাকে দিয়ে ফিরে গেছে। সারাদিন ভালোই কাটলো ভোলার। নিতাই মাঠে গেল জমি দেখতে। কয়েকদিন জমির দিকে লক্ষ্য দিতে পারেনি। 


পরেরদিন সকালে ভোলা এক কান্ড করে বসলো। সাতসকালে ঝুমুর ঘুম থেকে উঠে দেখে ভোলা তার পাশে নেই। সঙ্গে সঙ্গে নিতাইকে জাগিয়ে তুলে দুজনে ছুটে বাইরে বেরিয়ে এসে দেখে ভোলা তাদের বাড়ির পাশের একটা গাছে গলায় গামছা দিয়ে ঝুলছে। নিতাই আর ঝুমুরে চেঁচিয়ে উঠে কাছে ছুটে যেতে যেতেই ভোলা গামছা ছিঁড়ে পরে যায়। তারা তাকে তুলে নিয়ে ঘরে আসে। বিছানায় শুইয়ে দিয়ে ঝুমুর দুধ গরম করতে গেলে নিতাই সামনের দাওয়াতে কাঁদে গামছা ফেলে মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়ে। হঠাৎ করেই নিতাই তার গলায় খুব ব্যাথা অনুভব করে, যেন এখুনি দম বেরিয়ে যাবে, তার চোখ দুটো জবাফুলের মতো লাল আর খুব বড় হয়ে ওঠে আর জিভটা অনেকটা বাইরের দিকে ঝুলে যায়। ঝুমুর রান্নাঘর থেকে গোঁয়ানীর শব্দ পেয়ে বাইরে এসে দেখে ভোলা তার বাবার গলা টিপে ধরেছে। ঝুমুর আর ভোলার ঠাকুমা আর নিতাই তিনজনেও তাকে ছাড়াতে পারছে না। একটা সাত আট বছরের ছেলের এত ক্ষমতা তিনজনকে ধরাশায়ী করে ফেলছে। 


নিতাই যার জমি চাষ করে সেই বিনোদবিহারি শেঠ তখন ঐখান দিয়ে যাচ্ছিল। তিনি দেখতে পেয়ে ছুটে এসে পা থেকে জুতো খুলে নিয়ে ভোলার গালে দুবার মারতেই গোঁ গোঁ আওয়াজ করে নিতাইয়ের গলা ছেড়ে দেয়। নিতাইয়ের তখন অবস্থা খুব খারাপ হয়ে গেছে। গলা দিয়ে ভালো করে আওয়াজ বেরোচ্ছে না। সবাই হয়ে দেখতে থাকলে বিনোদ বাবু বলেন, আমার পায়ের জুতোটা শুয়োরের চামড়া দিয়ে তৈরি। তাই শুয়োরের গন্ধ পেতেই ছেড়ে দিয়েছে। শুয়ারকে ওরা খুব ভয় পায়। নিতাই ! তোর ছেলেকে জ্বীনে ধরেছে মনে হয়। ভালো ওঝা ডেকে নিয়ে এসে গা ঝাড়া তোর ছেলের না হলে ওকে মেরে ফেলবে আর তার সঙ্গে তোদেরকেও।


ঝুমুর একথা শোনার সঙ্গে সঙ্গে মাগো বাবাগো বলে চিৎকার করতে থাকলো। নিতাই একটু সামলে নিয়েছে এতক্ষনে। তার কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে গেলো। ভোলার ঠাকুমা বললো, তোকে চিন্তা করতে হবে না আমি কালকে ওষুধ আনবো, একজনকে আমি চিনি। 


তারপর ভোলাকে সবসময় চোখে চোখে রাখা শুরু হলো। একমিনিটও তাকে একা ছাড়েনা কেউ। পরেরদিন ভোলার ঠাকুমা ওষুধ নিয়ে আসে। অনেকদূর হেঁটে যাতায়াত করেছে এই বুড়ো বয়সে। তাই এসে ক্লান্ত হয়ে বসে পড়ে। ওষুধটা বাড়ির খড়ের চালের বাঁশের ফাঁকে গুঁজে রেখে একটু জল খাবার জন্য ঘরের ভিতরে যেতেই একটি বিরাট চিৎকার শোনা যায়। সবাই ছুটে এসে দেখে ভোলার ঠাকুমা মরে পড়ে আছে মাটিতে। চোখ দুটো যেন তার ঠিকরে বেরিয়ে আসছে। সঙ্গে সঙ্গে ভোলাকেও আর খুঁজে পাওয়া যায় না। নিতাই ছুটে গিয়ে দেখে গোয়াল ঘরে ভোলা গলায় গরুর দড়ি দিয়ে ঝুলছে মৃত অবস্থায়। কান্নার রোল পরে যায় বাড়িতে। নিতাই পাথরের মত হয়ে গেছে। ঝুমুর পাগলের মতো প্রলাপ বকছে। 


সব কাজ শেষ করে নিতাই আর তার বউ ঝুমুর যখন শুয়ে আছে তখন হঠাৎ করেই ঘরের মধ্যে তারা একটি কালো ছায়া দেখতে পায়। ঝুমুর ভয়ে নিতাইকে জড়িয়ে ধরে ফেলে। নিতাই কাঁপা কাঁপা গলায় বলে ওঠে, ক্কে ক্কে ?


ছায়ামূর্তিটি বলে, তোর ছেলে আমার কবরের উপর বাদামের খোলা ফেলেছিল তাই তাকে মেরেছি, তোর মা ওষুধ এনেছিল তাই তাকেও মেরেছি আর তোদের দুজনকেও মারবো। তোরা আমাকে বাধা দিয়েছিলিস যখন প্রথমবার তোর ছেলেকে মারতে যাই। আর তাকেও মেরে দিয়েছি যে তোদের ছেলেকে ফেরত এনেছিল। তোদের বংশকে ধ্বংস করে দেব আমি। 


পরেরদিন সকালে নিতাই আর তার বউ ঝুমুরের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায় তাদের বাড়ির ভিতরে। 


( সমাপ্ত )


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Abstract