STORYMIRROR

শুভদীপ (রাতপাখি)

Horror Thriller

3  

শুভদীপ (রাতপাখি)

Horror Thriller

ভয়ঙ্কর জঙ্গলে মৃত্যুর হাতছানি

ভয়ঙ্কর জঙ্গলে মৃত্যুর হাতছানি

8 mins
331

আচমকা একজন মধ্যবয়সী লোক থানায় এসে বললো, "মৃতের চিঠি স্যার, জঙ্গলের ভিতরে একটা অর্ধগলিত লাশ পড়ে আছে। ভাগ্যিস আপনাদের এখানে পেয়ে গেলাম। তাড়াতাড়ি আসুন আমার সাথে।"

লোকটার কথা শোনে চমকে উঠলো শিমুলতলা গ্রামের নাম করা এস.আই অরুণাভ সেন। জঙ্গলের ভিতরে লাশ, তাও আবার অর্ধগলিত

তিনি এখানকার থানার একজন এস.আই। একটা বিশেষ অভিযানের জন্য জঙ্গলের মধ্যে এই রাস্তায় চেকপোস্ট বসিয়েছেন। ওনার সাথে আরো তিনজন কনস্টেবল এখানে রয়েছে। চেকপোস্টে ওদের তিনজনকে রেখে অরুণাভ বাবু লাশটা দেখার জন্য লোকটার সাথে যেতে লাগলেন।

চাঁদনী রাত। কিন্তু জঙ্গলের ভিতর অব্দি চাঁদের আলো পৌঁছায় না। তাই এখানে বরাবরের মতো শুনশান অন্ধকার। লাইটারের নিভুনিভু আলোতে ঝোপঝাড় ভেঙে হাঁটতে তাঁকে বেশ ভোগান্তি পেতে হচ্ছে। কখনো কখনো লতাপাতায় তাঁর দুই পা আটকে যাচ্ছে। কিন্তু তাঁর সামনেই লোকটা অনায়াসে হেঁটে যাচ্ছে কোনো আলো ছাড়া। জঙ্গলের ভিতর ওর এভাবে হাঁটা দেখে সেন বাবু বুঝতে পারলেন এই জঙ্গলটা ওনার বেশ পরিচিত। তা না হলে অন্ধকারে এই ঝোপঝাড়ের মধ্যে সে কীভাবে অনায়াসে হাঁটতে পারে!

তাঁর পা বার বার ঝোপঝাড়ে লতাপাতায় আটকে যাওয়ার কারণে সেন বাবু ওর থেকে কিছু পিছনে পড়ে গেছে। যত ভিতরে উনি যাচ্ছেন তত ঝিঁঝিঁপোকার তীব্র আওয়াজ বাড়তে লাগলো। মাঝে মধ্যে আচমকা শিয়ালও ডেকে উঠছে। সব মিলিয়ে পরিবেশটা সেন বাবুর কাছে এখন কিছুটা অন্যরকম মনে হচ্ছে। লোকটাও কোনো কথা না বলে একনাগাড়ে হেঁটেই চলেছে। যত যাচ্ছে তত সে হাঁটার গতি বাড়িয়ে দিচ্ছে।

হাইওয়ে থেকে প্রায় ২৫ মিনিটের রাস্তা হেঁটে এখন অনেকটা গভীর জঙ্গলে চলে এসেছে তারা। রাতের বেলা এই বন্য পরিবেশ কতোটা ভয়ংকর দেখায় তা হয়তো জানতেন না অরুণাভ সেন। এরকম আগে আন্দাজ করতে পারলে তিনি কখনোই এভাবে লোকটার সাথে আসতেন না। অনেকটা ক্লান্ত স্বরে লোকটার উদ্দেশ্যে তিনি বললেন,- 'একটু ধীরে চলুন। আপনার সাথে তাল মিলিয়ে আর হাঁটতে পারছি না।'

লোকটি জবাব দিলো,- 'এখানে ধীরে চলতে নেই স্যার! জঙ্গলের নিয়মগুলো বড় অদ্ভুত। কখনো শান্ত, কখনো হিংস্র।'

- 'কী বলছেন আপনি! বুঝিয়ে বলুন।'

- 'বোঝার আগেই এ জঙ্গল না আমাদের বুঝিয়ে দেয় তার আসল রুপ, সে কামনা করেন স্যার।'

- 'তুমি তো রীতিমতো আমাকে ভয় পাইয়ে দিচ্ছো হে।'

- 'পুলিশ মানুষ হয়ে ভয় পাচ্ছেন স্যার! ভয় পেতে নেই। ভয় পেলে ভয় পিছু ছাড়বে না।'

- 'আচ্ছা! আর কত দূর?'

- 'দূর তো অনেক। তবে ভয় না পেলে কয়েক মিনিটের রাস্তা।'

- 'আচ্ছা চলো।'

লোকটা কেমন অদ্ভুতভাবে সব কথার জবাব দিচ্ছিল। ওর জবাবের মানেগুলো অরুণাভ এখন বুঝতে চায় না। শুধু এটাই চায়, ক্রাইম স্পটে গিয়ে সবকিছু পরখ করে আবার যেন দ্রুত ফিরে আসে সে। এই অদ্ভুত লোকটার সাথে অরুণাভ এখানে বেশিক্ষণ থাকতে চায় না।

কিছু সময়ের জন্য থেমে পকেট থেকে একটা সিগারেট বের করে ধরিয়ে নিলেন তিনি। সিগারেট ধরানোর পর মাথা তুলে সামনে তাকিয়ে লোকটাকে দেখতে পেল না। চারদিকে ভালো করে দেখে নিলেন। যতটুকু দেখা যাচ্ছে তাতে লোকটার কোনো সাড়াশব্দও নেই। হয়ত দ্রুত হেঁটে তার থেকে অনেকটা এগিয়ে গেছে। তিনিও দ্রুত হাঁটতে লাগলেন। কিন্তু লোকটাকে কিছুতেই দেখতে পেলেন না সেন বাবু। মনের মধ্যে এতোক্ষণ যে নিরবতা বিরাজমান ছিল সেটা এখন ভয়ে পরিণত হয়েছে। তিনি হাঁটার গতি কমিয়ে নিয়ে এক'পা দু'পা করে হাঁটছে। ঝিঁঝিঁপোকার তীব্র আওয়াজও পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। চারপাশের পরিবেশ এতোটা নীরব হয়ে এসেছে যে গাছ থেকে একটা পাতাও পড়লে সে শব্দ ভালোভাবেই শোনা যাচ্ছে। হাতে থাকা সিগারেট কখন যে নিভে গেছে বুঝতে পারেননি তিনি।

হঠাৎ পিছন থেকে কারো পায়ের আওয়াজ শুনতে পেল অরুণাভ। তিনি সাথে সাথে হাঁটা বন্ধ করে থমকে গেলেন। আবারও সেই নিরবতা, কোনো শব্দ নেই। নাক বেয়ে কপালের ঘাম ফোটা ফোটা হয়ে পড়ছে। পিছনে ঘুরে তাকানোর শেষ সাহসটুকু এতোক্ষণে হারিয়ে ফেলেছেন তিনি। তিনি জানেনও না যে তাঁর সাথে কী হতে চলেছে!

সেন বাবু আবারও ধীরে ধীরে হাঁটতে লাগলেন। তাঁর পেছন থেকে আবার পায়ের শব্দ ধেয়ে আসলো। তিনি এবার হাঁটা থামান নি। ভালোভাবেই তিনি বুঝতে পারছিলেন তাঁর পিছনে কেউ না কেউ তো আছে যে তাঁকে অনুসরণ করছে। মাথার মধ্যে নানান আজেবাজে চিন্তা আসতে লাগলো। আসবেই না বা কেন! পৃথিবীতে এ ধরণের জঙ্গল নিয়ে অদ্ভুত যত জল্পনা কল্পনার শেষ নেই।

সেন বাবু এবার কিছুটা দ্রুত হাঁটতে লাগলেন। হঠাৎ পেছন থেকে কিছুর আওয়াজ শুনে বুকটা ধুকধুক করতে লাগলো। কার গলার আওয়াজ। এবার ভালোভাবে শোনা গেল,- "কী স্যার! এখন তো দেখি ভালোই হাঁটতে পারছেন।" সাথে সাথে পিছনে তাকিয়ে তিনি দেখলেন সেই লোকটা দাঁড়িয়ে আছে।

সেন বাবু মনে মনে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন, "ইচ্ছে করছে রিভলবার বের করে এক রাউন্ড গুলি ওর মাথায় চালিয়ে দিই। এই যে, আপনি কোথায় মিলিয়ে গিয়েছিলেন?'

লোকটি একটু মৃদু হেঁসে বললো- 'এইতো স্যার একটু দুই নাম্বার পেয়েছিল। আমার কাজ সারতে সারতে আপনি আমাকে পেছনে ফেলে চলে আসেন। ভয় পেয়েছেন?'

- 'আরে নাহ। রাখো এসব। একটা জিনিস বলো তো, এতো রাতে তুমি এই জঙ্গলে কী করতে এসেছিলে? লাশ টা আর কতদূরে?'

- 'আমি জঙ্গলে আসি না স্যার, জঙ্গল'ই আমার কাছে চলে আসে। এইতো আর খানিকটা গেলেই চোখে পড়বে'

- 'কী বলতে চাও?'

- 'মানে স্যার, এই জঙ্গলের এক কোণে আমার ঘর। তাই রাত বে'রাত এই জঙ্গলেই আমার চলাচল।'

- 'এখানে একা থাকো?'

- 'জঙ্গলে কেউ একা থাকে না স্যার। চাইলেও পারবেন না এখানে একা থাকতে। প্রকৃতি আপনাকে ঘিরে রাখবে। আপনাকে নিয়ে খেলায় মত্ত হবে এই নিষ্ঠুর প্রকৃতি।'

লোকটা কী না কী বলেই চলেছে! ওর সব কথার মানে বোঝার সময় সেনবাবুর হাতে নেই। তাই ওর সাথে আর কথা বলে অযথা সময় নষ্ট করতে চান না তিনি। কোনোভাবে লাশটা দেখে এখান থেকে বের হতে পারলেই হলো। পুলিশ হলেও সব কিছুর পরেও তিনি একজন মানুষ। আর ভয় হচ্ছে এমন একটা জিনিস যার কাছে সাহসিকতা অতি তুচ্ছ হয়ে ওঠে মাঝেমাঝে। সেন বাবু ওকে ইশারা দিয়ে জানালেন তাঁর সামনেই সামনেই সে যেন হাঁটে। লোকটা যতই অদ্ভুত হোকনা কেন, ওকে আবার সাথে পেয়ে ভয় কিছুটা হালকা হয়েছে সেনবাবুর।

আবারও ঝিঁঝিঁপোকার ডাক তীব্রভাবে শোনা যাচ্ছে। শিয়ালগুলো যখন আচমকা ডেকে ওঠে তখন কয়েক সেকেন্ডের জন্য গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যায়। ফোর্স সাথে নিয়ে সেনবাবু জঙ্গলে আরো কয়েক বার এসেছেন। কিন্তু এই অনুভূতিটা ভিন্ন। জঙ্গলে আসার বেশিক্ষণ না হলেও মনে হচ্ছে কয়েক ঘন্টা থেকে তিনি হেঁটেই চলেছে। লোকটাকে অনুসরণ করে তিনি শুধু হেঁটেই চলেছেন। তিনি মনে মনে ভাবলেন, "জানি পথটা বেশিদূর না, কিন্তু আমার কাছে সেটা অনেক দূরের রাস্তা। লোকটার কথার মর্ম আমি এখন বুঝতে পারছি। এখানে ভয় পেয়ে গেলে কয়েক মিনিটের রাস্তা অনেক দূরের মনে হয়।"

হঠাৎ অদ্ভুতভাবে পরিবেশটা আবারও নীরব হয়ে এলো। মনে হচ্ছে জঙ্গলের সব ঝিঁঝিঁপোকা আর শিয়াল একসাথে ঘুমিয়ে পড়েছে। তাদের দু'জনের হাঁটার শব্দই শুধু শোনা যাচ্ছে। প্রকৃতি যেন এক নিমিষেই আবার থমকে গেলো। গাছের পাতা পর্যন্ত নড়ছে না। সবকিছুই যেন অদ্ভুতভাবে হচ্ছে। কখনো বাতাস, ঝিঁঝিঁপোকা আর শিয়াল জঙ্গলটাকে মাতিয়ে রাখছে। আবার কখনো নিমিষেই নেমে আসছে নীরবতা। হঠাৎ এইরকম একটা শুনশান নিরবতা কীসের ঈঙ্গিত বহন করে সেটা জানা নেই। আবারও নীরবতা ভাঙলো। তবে প্রকৃতি এখনও নিরব হয়ে আছে। লোকটা করুণ সুরে একটা গান ধরলো। চারদিকের নীরবতা ওর গানের প্রতিধ্বনি এমনভাবে ফুটিয়ে তুলছিল যেন মনে হচ্ছে ওর সাথে আরো অনেকজন গান করছে।

অরুণাভ নিজের মনেই বললেন, "লোকটা কীভাবে এতো নরমাল থাকতে পারে! এরকম একটা পরিবেশ তার উপর আমরা এখানে একটা লাশের খোঁজ পেয়ে এসেছি আর সে গান গাইছে।"

লোকটা গান থামিয়ে হঠাৎ দাঁড়িয়ে গেলো। সেনবাবুও ওর পিছনে দাঁড়িয়ে আছে। কিছু একটার পচা গন্ধ নাকে আসছে। মনে হচ্ছে দুর্গন্ধটা কাছেই কোথা থেকে আসছে। লোকটা ধীরে ধীরে তাঁর দিকে ঘুরতে লাগলো। ওর অঙ্গভঙ্গি কেমন অস্বাভাবিক লাগছে সেনবাবুর কাছে। যখন সে পুরোপুরি তাঁর দিকে ঘুরে দাঁড়ালো তখন ওনার জ্ঞান হারানোর অবস্থা। নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না তিনি। এরকম একটা দৃশ্য দেখার পর তাঁর জায়গায় অন্য কেউ হলে এতোক্ষণে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যেতো। লোকটার গলা থেকে অজস্র রক্ত বেয়ে পড়ছে। মনে হচ্ছে এক্ষুনি কেউ ছুরি দিয়ে ওর গলার শিরা কেটে দিয়েছে। ওর পরনে থাকা সাদা শার্ট রক্তে ভিজে পুরো লাল হয়ে গিয়েছে। ভয়ের পাশাপাশি অনেকটা অবাক হচ্ছেন সেনবাবু, রক্তে লোকটা একাকার হয়ে যাচ্ছে তবুও ওর মুখে মৃদু হাসি। লোকটা ওর রক্তে ভেজা শার্টের পকেটে বার বার হাত ঢুকিয়ে তাঁকে যেন কিছু বোঝাতে চাইছিল। তিনি কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলেন না।

সে এবার ওর আঙুল দিয়ে ইশারা করে সেনবাবুকে তাঁর ঠিক ডানদিকে যেতে বললো।

তিনি কিছুই বুঝতে পারছিলেন না মনে মনে ভাবলেন, "এখন আমার কী করা দরকার! হঠাৎ লোকটার এ অবস্থা কীভাবে হতে পারে সেটা ভেবে পাচ্ছি না!"

সে সেনবাবুকে তাঁর ডান দিকে যাওয়ার জন্য ইশারা করেই চলেছে। তিনি শেষ বার ওর দিকে তাকিয়ে ওদিকে যেতে লাগলেন। লোকটার মুখে তখনও সেই মৃদু হাসি। অরুণাভ যত সেদিকে যেতে লাগলেন ততই দুর্গন্ধ বাড়তে লাগলো।

হঠাৎ তাঁর পা কিছুতে আটকে গেলো। নিচে তাকিয়ে তিনি যা দেখলেন তাতে তাঁর হৃদ স্পন্দন আগের থেকে দ্বিগুণ করে দিল। একটা লাশ পড়ে আছে। আর সেটা থেকেই এতোক্ষণ দুর্গন্ধ আসছিল। লাশের মুখ নিচের দিকে করা ছিল। তিনি লাশটাকে উপর দিকে করার চেষ্টা করলেন। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুনটা করা হয়েছে কিছুদিন আগে। বডিটাতে পচন ধরে গেছে। তাই সহজে উপর দিকে করা যাচ্ছিল না। কোনোভাবে সেটাকে উপর দিকে করলেন তিনি। পকেট থেকে লাইটার বের করে জ্বালিয়ে বডিটার মুখের দিকে ধরতেই তিনি যা দেখলেন তাতে তাঁর আতঙ্কে একবারে মরে যাওয়ার উপক্রম, সঙ্গে সঙ্গে লাশ থেকে কয়েক পা পেছনে সরে এলেন সেনবাবু। এতোটা অবাক তিনি আর কোনদিন হইনি। ওকে গলা কেটে খুন করা হয়েছে। এটা সেই লোক যার সাথে সেনবাবু এই গভীর জঙ্গল অব্দি এসেছে।

তিনি খুব দ্রুত পায়ে দৌড় দিলেন লোকটা যেখানে দাঁড়িয়ে ছিল সেখানে। কিন্তু গিয়ে আর ওকে খুঁজে পেলেন না। সবকিছু মাথায় কেমন গুলিয়ে যাচ্ছে তাঁর। ঠিক তখন মনে হলো সে ওর পকেটে হাত দিয়ে তাঁকে কিছু বোঝাতে চেয়েছিল। অরুণাভ আবার লাশটার কাছে গেলেন। ওর পকেটে হাত ঢুকিয়ে কিছু একটা পেলেন তিনি। একটা কাগজ। সাদা শার্ট আর সাদা না রইলেও কাগজটা এখনো ধবধবে। কাগজটা খোলার পর তিনি বুঝতে পারলেন এটা একটা চিঠি। লাইটারের আলোয় যা লেখা ছিল পড়ে নিলেন তিনি।

হ্যাঁ, চিঠি ঐ লোকটা তার পরিবারের জন্য লিখেছিল। চিঠিটিতে একটা ব্যাংকের নাম আর কয়েকটা লকারের নাম্বারও লেখা ছিল। বুঝতে বাকি রইলো না লোকটা অরুণাভ সেনকে দিয়ে কী করিয়ে নিতে চেয়েছিল।

অরুণাভ সেন তারপর কিভাবে যে সেই জঙ্গল থেকে বের হয়েছিল সেটার ব্যাখ্যা আর দরকার নেই। পরেরদিন সেই লোকটার চিঠির সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করে ব্যাংক ও লকারের সমস্ত সম্পদ লোকটার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। এবং লোকটির মৃত্যু হওয়ার কারণ নিয়ে তদন্ত শুরু করলেন।



Rate this content
Log in

Similar bengali story from Horror